আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা সবাই? আশাকরি ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি।
বন্ধুরা চলছে রমজানের মাস।রমজান মাস মুসলমানদের জন্য অন্তত গুরুত্ব পূর্ণ একটি মাস।রমজানমাসে ছোটবেলার সকলের জীবনে কোন না কোন ঘটনা রয়েছে। আমার জীবনে তেমনি একটি ঘটনা রয়েছে। অনেক দিন হলো লেখি লেখি করে আর লেখা হয়ে ওঠেনা।আজ ভাবলাম লিখব তাই লেখা শুরু করে দিলাম।তাহলে চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক আমার জীবনের ছোটবেলার রমজানমাসের গল্প।
ছোটবেলা আমি ছিলাম অনেক নরম স্বভাবের একটি মেয়ে। আমি যেকোন কাজ করতে অনেক ভালোবাসতাম।আমরা ছিলাম পাঁচ ভাই-বোন তিন বোন ও দুই ভাই। আমি আম্মু কে বলেছিলাম আমি আগামীকাল রোজা রাখব। আম্মু আমাকে সেহেরিতে ডেকে দিল।আমরা সবাই মিলে সিহেরি খেয়ে নিলাম।তারপর সবাই ঘুমাতে চলে গেলাম । আমি ক্ষুধা সহ্য করতে পারতাম না। তাই মাঝে মাঝে রোজা রাখতাম না। এই ঘটনা হলো যখন আমার বয়স সাত থেকে আট বছর তখনকার।
তো যাইহোক দুপুর ১২টার পর থেকে আমার ক্ষুধা বাড়তে থাকে আমি চুপচাপ হয়ে গেলাম। আমার বড় আপুর বিয়ে হয়ে গেছে।বিষয়টা আমার মেঝো আপু টের পাই।আমাকে বলে কিছু খেয়ে নে।কিন্তু আমি বললাম না আমি আজ রোজা রাখব।পেটের ক্ষুধা সহ্য করা কঠিন ব্যপার তারপরেও আমি বললাম না আমি ঠিক আছি রোজা ছাড়বো না।
সময় যতই যেতে থাকে ক্ষুধা ততই বাড়তে থাকে কেমন যেন একটা অবস্হার সৃষ্টি হয়েছে। বিকাল হওয়ার সাথে সাথে আম্মু রান্নার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আপু আম্মুকে সাহায্য করে।আমি ইফতারের অপেক্ষায় বসে থাকি কখন সময় শেষ হবে।
এদিকে টেবিলে সকল ইফতারি দেখে আমার আর সহ্য হচ্ছিলো না। আমি একটি বেগুনি নিয়ে খেয়ে ফেলি।বেগুনি খাওয়ার পর খুব পানি পিপাসা পেল।আমি একটু দূরে গিয়ে পানির মোগ থেকে একঢোক পানি খেয়ে ফেলি আবার মুখ মুছে টেবিলে এসে বসে পড়ি। বিষয়টা আর কেউ জানলো না।আমার আপু একটু টের পেলেও কিছু বলল না।
আজ অনেক দিন পর ভাবলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নেই।যাইহোক বন্ধুরা আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কেমন হয়েছে বন্ধুরা মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা অন্যকোন সময় অন্যকোন লেখা নিয়ে। সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
আমার পরিচয়:
আমি পারুল। আমার মাতৃভাষা বাংলা।বাংলাদেশ আমার জন্মভৃমি।আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি।আমি নিজের মতামত প্রকাশ করি ও অন্যের মতামতকে মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি।এই অপরুপ বাংলার কোলে জন্মনিয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করি।
আপনার নিজ গল্পে যা বলতে চাইলেন তা বলতে পেরেছেন। তবে পোস্টে ছবির ব্যবহার, আরও আকর্ষনীয় করতে পারে।ভাল ছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মন্তেব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার মনে হয় এই ঘটনা প্রায় সকলের সাথে ঘটেছে। সত্যিই খুব মজার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে সবার জীবনে ঘটে থাকে আপনাকে ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit