আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমরা আজকের পোস্ট।
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে আমি প্রতি দিন চেষ্টা করি নতুন নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে আসতে। আসলে কয়েক দিন ধরে জ্বর থাকার কারণে হয়তো আগের মতো সময় দিতে পারিনি। তবে আপনাদের মাঝে না এলে সত্যি ভালো লাগে না। যাইহোক এখন আগের থেকে সুস্থ, আশাকরি এই সপ্তাহে আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসতে পারবো।আজ বেশ কিছু দিন ধরে আমার মেয়ে দোলনা ঝুলানার জন্য অস্হির হয়ে পড়েছে। আসলে আগের দড়ি গুলো নষ্ট হয়ে গেছে। তাই তার দোলনা ঝুলাতে পারছে না।গতকাল গিয়েছিলঅম অন্য কাজে বাইরে। তাই যাবার সময় বলে দিয়েছে, আবার যাবার পরে ফোন দিয়ে বলে দিয়েছে তার দোলনার জন্য দড়ি আনতে।কি আর করা বাচ্চা বলে কথা,তাই গিয়েছিলাম দড়ি কিনতে।
আমার অন্যান্য কাজ সেরে যখন দড়ি কিনতে যাব তখন মার্কেটের পাশে একটা দড়ির দোকান রয়েছে সেখানে গিয়েছি।আসলে আমি আগে কখনো দড়ি কিনিনি। তারপর দোকানদারকে বললাম আমাকে কিছু দড়ি দিন আমি দোলনা ঝুলাব।তখন দোকানদার বললো,আমি তো অল্প দড়ি নেবেন, আমি বললাম জি ভাইয়া। সেই দোকানদার বললো আমরা এখানে পাইকারি বিক্রি করি। আপনি অন্য দোকান থেকে নিন।আসলে মার্কেটের ভিতরে আর দোকান আমার দেখা নেই। তারপর আমার দুহাত ভরা জিনিস পত্র এখন কিভাবে ঘুরব বুঝতে পারছি না।আবার না নিয়ে আসলে মেয়ে তো রাগ করে বসে থাকবে।এখন দোকানদারকে জিঙ্গাসা করাই বললো আরো সামনে গিয়ে দেখেন খুচরা দোকান আছে।আমার কাছে তখন মনে হলো আমি দড়ি নেব না চলে যায়।
তারপর চলে আসার প্লান করলাম কিন্তু আমার মেয়ে আবারো ফোন দিল দড়ি নেওয়ার জন্য। তারপর কি আর করা বাধ্য হয়ে আবার অন্য দড়ির দোকানে গেলাম। আসলে সেখানে ও একই অবস্থা তারা খুচরা বিক্রি করে না। এই দড়ি কিনতে এতো ভোগান্তি পোহাতে হবে আমার জানা ছিল না। তারপর এক জন আমাকে বললো আপু আপনি বিস্কুটের দোকানের সামনে যান সেখানে খুচরা দোকান আছে। আসলে হাতে অনেক জিনিস পত্র ছিল তাই হয়তো এভাবে ঘুরতে কষ্ট হচ্ছে। তারপর সেই লোকটা দেখিয়ে দেওয়ার পর আমি খুচরা দোকানে চলে আসলাম।
সেখানে এসে দেখি একটা দড়ির দোকান। আসলে এদিকে আর দোকান নেই। দোকানদার বললো আরো দোকান আছে দোতলায়।আমি বললাম দোলনা বাধার জন্য যতটুকু দড়ি লাগবে দেওয়ার জন্য। পরে ওনারা আমাকে আধাকেজি দড়ি দিল। আর আধা কেজির দাম নিল ২০০ টাকা।আমি সব সময় কেনাকাটা নিজেই করি কিন্তু এই দড়ি কিনতে গিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়েছিলাম। যাইহোক কষ্ট হলেও অবশেষে দোলনার দড়ি আনতে পেরেছি দেখে অনেক ভালো লাগল। তারপর দোকানদার দড়ি মেপে আমাকে দিল।বাড়িতে আসার পর দড়ি দেখে মেয়ে অনেক খুশি।সত্যি বলতে মেয়ের খুশি দেখে সব কষ্টে ভুলে গেছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | লিংক |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আপনি সুস্থ হয়েছেন জেনে ভালো লাগলো এই সপ্তাহ থেকে নিজের অবস্থানে আবার ফিরে এসেছেন।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।দোলনা কিনতে গিয়ে বেশ ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছিল আপনাকে।অবশেষে খুচরা দোকানে গিয়ে পেলেন।আপনার মেয়ে দড়ি পেয়ে খুশি হয়েছে জেনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল, ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit