আসসালামু আলাইকুম
আজকে আমি একটি অসম্ভব সুন্দর জাপানিজ এনিমেশন মুভির রিভিও দিবো। যারা জানেন না এনিমেশনের দিক দিয়ে সারা পৃথিবীতে জাপানই প্রথম। শিশুদের জন্যে থেকে শুরু করে বড়দের জন্যও এনিমেশন মুভি কিংবা সিরিজ বহু বছর ধরে তৈরি করে আসছে জাপান। যারা পোস্টটি পড়ছেন তাতের মধ্যে অনেকেই হয়ত বিটিভে সপ্রচার হওয়া Godzilla, Samurai X, ডোরেমন, নিজ্জা হাতুড়ি এনিমেশন গুলো দেখে বড় হয়েছেন। এমনকি এখনও এই এনিমেশন গুলো পপুলার।
আর আর কথা না বাড়িয়ে আমার এনিমেশন মুভি রিভিও শুরু করি। আজকে যে মুভিটির রিভিও দিবো তার নাম হল "I want to eat your pancreas." মুভিটি রিলিজ হয় ২০১৮ সালে আর এখন অনেক মানুষ এটি দেখে থাকে। মূলত ইমোশনাল সিকুয়েন্সের জন্যই মানুষ এই মুভির প্রতি আকৃষ্ট হয়।
মুভিটি মূলত হাইস্কুলে পড়ুয়া একটি মেয়ে আর একটু ছেলেকে ঘিরে। মেয়েটির নাম সাকুরা আর ছেলেটির নাম শিগা। ছেলেটি চুপচাপ সভাবের আর বই পড়তে পছন্দ করে। তাই কারো সাথে তার যোগাযোগ তেমন একটা হয় না। এমন কি তার ক্লাসমেটদের সাথেও না। অন্য দিকে মেয়েটি সবার সাথেই মিশে আর সব সময় হাসি খুশি থাকে এবং ঘুরে বেড়াতে তার খুবই ভালো লাগে। দুঃখ জনক ভাবে মেয়েটি থাকে পাকস্থলীর অগ্ন্যাশয় জনিত ক্যান্সারে আক্রান্ত। কিন্তু সে তার পরিবার ছাড়া এটা কেউ জানে না এমন কি তার বন্ধু বান্ধবীরাও না।
মেয়েটি চায় তার রোগের কথা জানলে হয়তো সবাই তার প্রতি করুনার দৃষ্টিতে দেখবে নয়তো অনেকে এড়িয়ে চলবে নাহলে হয়তো স্বাভাবিক ভাবে মিশতে পারবে তার সাথে। সে চায় যতদিন সে বেঁচে আছে হাসে খেলেই কাটিয়ে দেবে। শেষবার সে যখন ডাক্তারের সাথে দেখা করে সে জানতে পারে তার কাছে আর মাত্র ৩ মাস সময় আছে। হসপিটাল থেকে বের হওয়ার সময় সাকুরার ডায়েরি কুড়িয়ে পায় শিগা। সেখানে লেখা থাকে "আমি তোমার অগ্ন্যাশয় খেতে চাই আর আমি শান্তিতে মরতে চাই।" মূলত এরপর খেকেই মুভিটি শুরু হয়।
মেয়েটি বুঝতে পারে ছেলেটি খুব ভালো তাই সে ঠিক করে তার জীবনের শেষ তিনটি মাস সে শিগার সাথেই কাটাবে। শিগার কোন বন্ধু না থাকায় সে তাতে অমত জানায় না। তারা সময় পার করতে থাকে দুজনের মতো। ক্লাস শেষ ঘুরা ফেরা খাওয়া দাওয়া। সাকুরা এটাও বলে দেয় শিগা যের তার প্রতি দূর্বল না হয়ে পড়ে কারন সে এই পৃথিবীতে আর মাত্র ৩ মাসই অবস্থান করবে।
একদিন সাকুরা বলে সে সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যেতে চায় কারন তার মনে হয়েছিলো এরপর আর তার হাতে সময় থাকবে না। ট্রেনে করে তারা অনেক হাসি ঠাট্টা করতে করতে সৈকতে পৌছায় আর সব থেকে দামি হোটেলটা বুক করে। সাকুরা চায় এই রাতই যেন তার জীবনের শেষ আনন্দঘন রাত হয়। তাই সে মদ্যপান করে রাতটা উপভোগ করতে চায়। এরপর সাকুরা ঘুমিয়ে পড়ে। শিগা হঠাৎ সাকুরার ব্যাগে কিছু একটা খুজতে গিয়ে থামকে যায়। সেখানে গাদা গাদা ট্যাবলেক, সিরিঞ্জ সহ আরো বিভিন্না প্রকার অসুধে ভর্তি যা সাকুরাকে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিদিন কয়েকবার নিয়ম অনুসারে খেতে হয়।
সেখান থেকে ফেরার পর সাকুরাকে স্কুলে দেখতে পায় না শিগা। পরে জানতে পারে সে হসপিটালে ভর্তি। অবস্থার অবনতির জন্যে সেখান থেকে সে বের হতে পারবে না। শিগা সময় কাটাতে করতে যায় তার সাথে হসপিটালে। কিন্তু তার কষ্ট শিগার সহ্য না হওয়ায় সে যাওয়া বন্ধ করে নিজেকেও একঘরে করে ফেলে। তখনই সে বুঝতে পারে আসলে সাকুরার প্রতি কতটা কাছে এসে গিয়েছিলো সে।
এরপর একদিন শিগা টিভির সামনে বসে ছিলো। হঠাৎ খবরে শুনতে পারে সাকুরা নামে একটি হাইস্কুল পড়ুয়া মেয়ে এক্সিডেন্টে মারা গেছে। শিখার নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারে না স্তব্ধ হয়ে শুনতে থাকে টিভিতে সাকুরার নাম। শিখা ভেঙ্গে পড়ে আর মনে মনে বলতে থাকে পৃথিবীতে যে মানুষটি থাকবেই আর মাত্র কয়েকটা দিন তার সাথেই কেন এমন হতে হলো।
সাকুরা মারা যাওয়ার কিছুদিন পর শিখা প্রথম দিন কুড়িয়ে পাওয়া ডাইরিটা আবার পড়তে সাকুরার মার কাছে যায়। ডাইরিটায় সাকুরা আর শিখার দুজনের এক সাথে কাটানো সময় গুলোর কথা পড়ে সে বুঝতে পারে সাকুরাও শিগাকে ভালবেসেছিল। এর পর কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে শিগা। আর এভাবেই শেষ হয় মুভিটি।
আপনি খুব চমৎকারভাবে জাপানিজ একটি এনিমেশন মুভি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন খুবই সুন্দর ছিল। অ্যানিমেশন মুভি গুলো সত্যিই খুব চমৎকার হয়ে থাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ব্রাদার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অ্যানিমেশন মুভি গুলো দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে । এই মুভিটি আমি আগে কখনো দেখিনি তবে আপনি মুভিটি যেভাবে আমাদের মাঝে রিভিউ করেছেন মনে হচ্ছে মুভিটি বেশ ইন্টারেস্টিং। আসলে মুভি রিভিউ দেখার পরে মুভিটি দেখার জন্য খুবই মনে আকাঙ্ক্ষা জাগে যাইহোক। আপনি পোস্টটা আমাদের মাঝে অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এমন সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এনিমেশন মুভি আগেই খুব দেখতাম। কিন্তু এখন জানি দেখতে ইচ্ছে করে না কেমন জানি শিশু শিশু লাগে নিজেকে 😍। তবে জাপানিজ এনিমেশন মুভির দিক দিয়ে সবসময় সেরা আর জাপানিজ এনিমেশন মুভি এর মধ্যে আমার দেখা সবচেয়ে সেরা ছিল your name। তবে আজকে আপনি যে রিভিউটি দিয়েছেন গল্পের প্লট টি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রিভিউ দেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জাপানিজ এনিমেশনের অনেক জেনেরি আছে বড় আর ছোটদের ক্ষেত্রে। বাছাই করে দেখবেন তাহলেই আর ছোট ছোট লাগবে না বরং উনজয় করবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জাপানিজ এনিমেশন মুভি গুলো আমার খুব ভালো লাগে, এবং আপনি জাপানিজ এনিমেশনের সুন্দর একটি মুভি রিভিউ করেছেন, যেটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে, আপনার রিভিউ করা মুভিটি দেখা হয়নি তবে এই গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো, অতি শীঘ্রই মুভিটা দেখে নিবো ভাইয়া, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসম্ভব সুন্দর একটি কাহিনী। যদিও নামটা একটু খাপছাড়া টাইপের। জাপানি অনেক অ্যানিমেশন সিরিজ আমি দেখেছি। বেশিরভাগই অ্যাকশন সিরিজ কিন্তু এ ধরনের প্রেমের কাহিনী আগে দেখিনি। সুন্দর একটি রিভিউ শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি বিশ্বাস করি আপনি একজন ভাল মানের ব্লগার হতে পারেন কিন্তু দুঃখের বিষয় আপনি এই কমিউনিটিতে নিয়মিত নন এবং নিয়মিত পোস্ট করেন না। এই কমিটি থেকে কিছু পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত হতে হবে এবং আপনার পোষ্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে। তার সাথে তা সবার সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। আশা করি খুব দ্রুত আপনি নিয়মিত হবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit