তারিখ-২৯.০৯.২০২২
নমস্কার বন্ধুরা
আশা করি সকলে ভালো আছেন ঈশ্বরের আশীর্বাদে।বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানাই সকল আমার বাংলা ব্লগের সদস্যদের।পুজো প্রায় শুরু হয়ে গেছে। পুজো শুরু না হলেও আমাদের মত অতি হুজুগে বাঙালীর তো পুজো শুরু বটেই। আজ চতুর্থী। আজ অনেক সকাল সকাল বেড়িয়ে পড়লাম আমি, শর্মিষ্ঠা আর ঋতুপর্ণা।আজ গন্তব্য ছিল কোলকাতায় কিছু পুজো দেখব।
সকাল পৌনে দশটার ট্রেন ধরে পৌঁছে গেলাম শেয়ালদহ।পৌছনোর আগে থেকেই শর্মিষ্ঠা বলছিলো ওর শরীর ভালো লাগছে না। গা গোলাচ্ছে।নেমেই আমরা ওকে একটা কোল্ড ড্রিংক খাওয়ালাম।একটু বসালাম। সত্যি বলতে ঘুরতে এসে একজনের শরীর অসুস্থ হলে ঘোরার ইচ্ছে টাই নষ্ট হয়ে যায়। ও কোল্ড ড্রিংক খেয়ে বলল সুস্থ বোধ করছে। এরপর বার হয়ে আমরা সন্তোষ মিত্র স্কয়ারের ঠাকুর দেখলাম। সেখানে মায়ের মুখটা দেখে কতক্ষণ যে এক ভাবে তাকিয়ে ছিলাম নিজেও জানি না।এত শান্তি মুখ টায়। এত সুন্দর যে কি বলব।
আজ আকাশে একদম কড়া রোদ ছিলো। কিন্তু ভিড়ের মধ্যে ছাতা খোলার পরিস্থিতি ছিলো না রাস্তায়। আমরা চেষ্টা করছিলাম ফুটপাথ দিয়ে চলার, যাতে রোগটি কম লাগছে গায়ে। কিন্তু এরপর যখন কলেজ স্কয়ারে এলাম, তখন দেখি শর্মিষ্ঠা খুব ঘামাচ্ছে। জিজ্ঞাসা করতেই বলল, মাথা ঘোরাচ্ছে। ওর মাথায় জল দিয়ে ওকে একটা জায়গায় বসালাম। আবার একটা কোল্ড ড্রিংক খাওয়ালাম। আমি বললাম, আর ঘুরে কাজ নেই। এবার চল ফেরা যাক।
এই বলে আমরা ঠিক করলাম কোন ভালো জায়গা থেকে খেয়ে দেয়ে বাড়ি যাব। আপনারা যারা শেয়ালদহ অঞ্চলে এসেছেন তারা জানেন যে শেয়ালদহ স্টেশন চত্বরে ভালো পাইস হোটেল আছে। ঠিক করলাম সেখানে যাব। কিন্তু শর্মিষ্ঠা বলল ওর শারীরিক অবস্থা যা তাতে করে এসি আছে এমন জায়গায় বসতে হবে।কিন্তু পাইস হোটেলে কোন এসি থাকে না সাধারণত।
অগত্যা ঠিক করা হল, আমরা শেয়ালদহ স্টেশনে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করব কোন একটা জায়গায় ভেতরেই।স্টেশনে গিয়েই দেখি সেখানে সমস্ত খাবারের জায়গা গুলো ভীড়ে ঠাসা। একমাত্র রেলের 'জন আহার'ই একটু ফাঁকা। তবে শেখানে খাবারের পদও লিমিটেড। আমরা যে সময়ে গেছি চিকেন বিরিয়ানি ছাড়া কিছু তেমন নেই পেট ভরার মত। তাই চিকেন বিরিয়ানিই নিলাম। সাথে এগ কারী।সত্যি বলতে খিদের পেটে তখন গো গ্রাসে খেয়েছি। আর খেতেও ভালো ছিলো। চিকেন বিরিয়ানি ১২০ টাকা। ডিমের ঝোল ৩২ টাকা।দাম হিসেবে ভালোই। খাওয়া দাওয়ার পর ভেবেছিলাম আবার ঘুরবো। কিন্তু শর্মিষ্ঠার অবস্থা দেখে ঋতুপর্ণা বলল যে আর রিস্ক নেওয়ার প্রয়োজন নেই। বাড়িই চল।অবশেষে আর কি? বাড়িই চলে এলাম।
সব মিলিয়ে দিনটা মোটামুটি কাটলো। কি আর করব? বন্ধু তো। ওর জন্য চিন্তা হচ্ছিলো। এখন খোঁজ নিয়ে শুনলাম, ফিরে ২ ঘন্টা ঘুমিয়ে ছেলে। তারপর শরীর একটু ভালো হয়েছে।
আজ এখানেই ইতি টানার। কাল আবার অন্য কিছু নিয়ে আসব।
বাহ্ চতুর্থী থেকেই তোমার পুজো শুরু হয়ে গেছে দেখে খুবই ভালো লাগলো কিন্তু শর্মিষ্ঠার শরীর খারাপ এর কারনে ঠিকঠাক মতো আর পুজো দেখা হলো না তোমাদের এটা একটু খারাপ লাগছে যাইহোক কি আর করা আগে তো শরীর তারপর ঘোরাঘুরি। মায়ের মুখটা সত্যিই অনেক মায়া ভরা ছিল। সবমিলিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ বনু।🧡
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ। ভালো করেছিস আগে থেকে শুরু করে। ছাত্রদের ছুটি দিয়ে আমার শুরু করতে করতে সপ্তমী হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি যখন আগে পড়াতাম, আমি তখন পঞ্চমঈ তে ছুটি দিতাম। আর গার্ডিয়ানগুলো প্যান প্যান করলে বলে দিতাম যে দুদিষ কম পড়লেও আপনার বাচ্চা আইনস্টাইন হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দিদি পুজো শুরু না হলেও চারিদিকে পুজোর আমেজ শুরু হয়ে গেছে ৷ আর আপনি তো অলরেডি আপনার বন্ধুদের সাথে আনন্দে মেতে উঠেছেন ৷ যাই বলুন পুজোতে ঘুরতে কি মজা লাগে তা আসলে বলে বোঝানো সম্ভব না ৷
সর্বোপরি পুজো খুব ভালো কাটুক এমনটাই প্রতার্শা ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit