তারিখ-১৭.০৬.২০২৩
নমস্কার বন্ধুরা
আশা করি ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলে খুব ভালো আছেন।আমিও বেশ ভালোই আছি। কিছুদিন আগেই জি ফাইভে একটা সিনেমা দেখলাম। আর সেটা ছুটির দিন ছিল বলে রাত জেগে সিনেমাটা দেখেছি। সিনেমার নাম "ইউ টার্ন" এই "ইউ টার্ন" নামে আরেকটা সিনেমা অনেক আগে হয়েছিল। এটা কিন্তু সেটা নয়। জি ফাইভ এ নতুন এই সিনেমা লাঞ্চ করেছে। সিনেমাটির রিভিউ নিয়ে আজকে আপনাদের সামনে চলে এলাম।
গল্পটা শুরু এরকম -
রাধিকা নামের একজন টিভি রিপোর্টার তিনি সমস্ত রকম সাসপেন্স এর খবর কভার করেন।আসলে ঠিক রিপোর্টার না,সে তখনও জার্নালিজমের ইন্টার্ন বলা যায়।সে সমস্ত রকম সাস্পেসিয়াশ খবর আর বিশেষ করে যারা রাস্তায় চলার নিয়ম ভেঙে ন্যাশনাল হাইওয়ের উপর থেকে ইউটার্ন নেয় তাদের নিয়ে রিপোর্ট বানায়। কারণ কোন একটা এরকমই ইউটার্ন নেওয়ার কারণে, পথ দুর্ঘটনায় তার ভাই মারা যায়। সেই কারণে এই বিষয়ে সে আরো সতর্ক হয়ে ওঠে। আর কারা হাইওয়ের উপর থেকে ইউটার্ন নিচ্ছে সেটা দেখার জন্য সে হাইয়ের পাশেই একজনকে বসিয়ে রাখত। এভাবেই যারা হাইওয়ে তে ইউটার্ণ নিত তাদেরকে রাত্রিবেলা গিয়ে বাড়িতে দরজার সামনে একটা ফুল দিয়ে আসতো কারণ এতে তার মনে হত সেই লোকটি নিজের কৃত কর্মের জন্য লজ্জিত হবে।
অবশেষে দেখা যেতে থাকলো রাধিকা যার যার বাড়িতে ফুল রেখে আসছে তারাই কোন না কোন ভাবে মারা যাচ্ছে। এর পরে রাধিকাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলো। কিন্তু রাধিকা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করল সে কাউকেই খুন করেনি আর এই খুনের পেছনে কার হাত সে তাও জানে না। এরকম ভাবে চলতে থাকলো যখন রাধিকা পুলিশের হেফাজতে রইল সেই অবস্থাতেও অনেকেরই খুন হলো। তারপরে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন করে দেখলো যারাই হাইওয়েতে ইউটার্ণ নিচ্ছে তাদেরই কোন না কোন ভাবে মৃত্যু হচ্ছে বা তাদেরকে কেউ না কেউ মেরে ফেলছে। এরপরেই ঘটনার ঘনঘটা। কিভাবে পুলিশের সামনেই একের পর এক মানুষের মৃত্যু ঘটছে, তাও আবার যারা ইউটার্ন নিচ্ছে ঠিক তাদেরই, সেই নিয়ে একরকম ভীষণভাবে নাকানিচুবানি খাওয়া শুরু করল বোম্বের পুলিশ।
ঘটনা এমনও হয় যে পুলিশের জেলে থাকা দুটো ছেলে পুলিশের সামনেই মৃত্যু ঘটে। তারা দুজনেই একে অপরকে পুলিশের সামনেই জেলের মধ্যে খুন করে।এর ফলে মানুষের মধ্যে আরও ভীতি সঞ্চার হয় যে এটা কোন অলৌকিকই ঘটনা।অবশেষে যবনিকা পতন ঘটে। অনেকেই বুঝতে পারছিল না এটা মানুষের ঘটনা না ভৌতিক কোন ঘটনা।প্রত্যেকেই ভাবছিল হয়তো কোন ভৌতিক ঘটনা ঘটছে এমন একটা সময় আসলো যে পুলিশ পর্যন্ত ভৌতিক ঘটনার উপর বিশ্বাস করা শুরু করল। কিন্তু অবশেষে দেখা গেল একটা পার্টিকুলার ড্রাগ কিভাবে মানুষের শরীরে প্রবেশ করিয়ে মানুষকে নিজেকে দিয়েই নিজের খুন করাচ্ছে কেউ।
সত্যি কথা বলতে সিনেমাটা গল্প ওভারঅল দেখলে সবারই ভালোই লাগবে। কিন্তু অনেকটা বড় করে ফালাতে জায়গায় জায়গায় ভীষণভাবেই একঘেঁয়ে মনে হয়েছিল। কিছু কিছু জিনিস একইভাবে রিপিট করে দেখানো হচ্ছে। সেগুলো না দেখালেও চলত। এক কথায় যাকে বলে অতিরিক্ত ক্লাইম্যাক্স দেখাতে গিয়ে হেজিয়ে ফেলা। সেই কারণে মুভিটা শেষের দিকটা মোটেই সন্তোষজনক লাগেনি।
একটা মানুষ তার ব্যক্তিগত জীবনে কোন দুর্ঘটনায় প্রিয় মানুষকে হারানোর ফলে কিভাবে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে একের পর এক সাধারন মানুষের খুন করে গেছে, গল্পটা তাই নিয়ে। খানিকটা স্পয়লার রইলো। কারণ অনেকে জানি এই মুভি দেখবেন না। কারণ এর রেটিংও খুব বেশি ভালো নয়। আমি সিনেমাটা দেখার পরে ভাবলাম যে এটা দেখে সময় নষ্ট না করলেও হত। তাও ঠিক আছে। একটা দিন এন্টারটেইনমেন্টের জন্য তো রইলো। আর আপনাদের সঙ্গে গল্পটা ভাগ করে নিতে পারলাম।
সিনেমা | ইউটার্ণ |
---|---|
অভিনয় | আলেয়া এফ, প্রিয়াংশু পাইন্যুলি, অসীম গুলাটি, মানস চড্ডা, রাজেশ শর্মা |
ডিরেক্টর | আরিফ খান |
প্রোডাকশন | বালাজী টেলিফিল্ম |
IMDb রেটিং | ৬.৯/১০ |
আমার রেটিং | ৫/১০ |
[স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে অফিসিয়াল ট্রেলার থেকে]
আজ এখানেই শেষ করছি। আবার আসবো নতুন কোন উপস্থাপনা নিয়ে। কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন। সকলে খুব ভালো থাকবেন।
🌸🌸🌸ধন্যবাদ🌸🌸🌸
পরিচিতি
আমি পায়েল।ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতার কাছাকাছি ডাক্তার বিধান রায়ের স্বপ্নের শহর কল্যাণীর বাসিন্দা।একসময় যদিও চাকরী করেছি কিন্তু বর্তমানে ফুলটাইম ব্লগার এবং ভ্লগার।যদিও নিজেকে এখনও শিক্ষানবিশ মনে করি। আর তা ই থাকতে চাই ।সফল হয়েছি কিনা বা কতদিনে হব তা জানি না, কিন্তু নিজের প্যাশনকেই লক্ষ্য করে এগিয়ে চলেছি।বাকিটা আপনাদের হাতে।আশাকরি আমার সাথে যুক্ত থাকলে আশাহত হবেন না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit