এই ছবিটি তুলেছি আমাদের শহরের ময়রা পট্টি নামক একটি জায়গা থেকে। এই জায়গাতে এক লাইনে বেশ কিছু মিষ্টির দোকান রয়েছে। একটা সময় শহরের মানুষজন মিষ্টি কেনার জন্য এই দোকানগুলির উপর সবচাইতে বেশি নির্ভর করতো। তবে এখন শহরে নামিদামি বিভিন্ন মিষ্টির দোকান হয়ে যাওয়ায় এদের কদর কমে গিয়েছে। যদিও নিম্নবিত্তদের মিষ্টি কেনার প্রধান ভরসা এখনো এই দোকানগুলো। এই দোকানগুলোতে মিষ্টির দাম তুলনামূলক বেশ কম।
এই ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন রাস্তার পাশে একজন বৃদ্ধ হকার গামছা লুঙ্গি এগুলো নিয়ে বসে রয়েছে বিক্রির জন্য এই সমস্ত হকার একেবারে হতদরিদ্র হয়ে থাকে তাদের পুঁজিও কম সেটা তার কাছে থাকা অন্য সামগ্রী দেখলেই বোঝা যায় এই সমস্ত লোকদেরকে দেখলে বেশ খারাপ লাগে জীবন সায়ান্নে এসেও এই লোকগুলো জীবনযুদ্ধে পরাজীতই থেকে গেলো। তবে এ সমস্ত ছোটখাটো জিনিস কেনার জন্য এদের উপরে আপনি নিশ্চিন্তভাবে নির্ভর করতে পারেন। এরা আপনাকে খুব একটা বেশি ঠকাবে না।
এই ছবিতে আপনারা একটি বহু পুরাতন ভবন দেখতে পাচ্ছেন। এই ধরনের বিল্ডিং এখন প্রায় দেখা যায় না বললেই চলে। এ ধরনের পুরাতন বিল্ডিং গুলোর একটা আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে। তবে আমাদের শহরের বেশিরভাগ পুরাতন বিল্ডিং গুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। এই বিল্ডিংটা কিভাবে এখনো টিকে আছে সেটা বুঝতে পারলাম না। ঠিক আমাদের শহরের নিউমার্কেটের সামনে এই বিল্ডিংটি অবস্থিত। বিল্ডিংটি প্রায় শতবর্ষ পুরনো হবে।
ছবিটাতে আপনারা যে গেটটা দেখতে পাচ্ছেন এটা ফরিদপুর সার্কিট হাউজের গেট। সরকারি বিভিন্ন রকম গুরুত্বপূর্ণ লোকজন এসে এই সার্কিট হাউসে থাকে। একসময় ফরিদপুর সার্কিট হাউজের ভেতরে শুধু পুরাতন একটা বিল্ডিং ছিলো। তবে এখন সেখানে বড় করে নতুন একটা বিল্ডিং করা হয়েছে যাবতীয় সব সুযোগ সুবিধা সহকারে। যার ফলে এখন সার্কিট হাউসে অনেক লোক থাকতে পারে। যদিও সাধারণ লোকজন এখানে থাকার তেমন একটা সুযোগ পায় না।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90
---|---
স্থান | ফরিদপুর
অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি মূলক পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেখানে ময়রার দোকান ও জিলাপির ফটোগ্রাফি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এদিকে বিক্রেতার সুন্দর এক ফটো। পুরাতন বিল্ডিং নিয়ে আলোচনা করেছে আসলে এ সমস্ত বিল্ডিংগুলো বর্তমানে এটি। এদিকে সার্কিট হাউস ফরিদপুর এর ফটোগ্রাফি। সব মিলে বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের ফটোগ্রাফি মূলক পোস্ট দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন প্রথম ছবিতে থাকা মিষ্টির দোকানের সৌন্দর্যটা বেশি ভালো লেগেছে। যদি মনের কথা বলি তাহলে আমার তো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে হা হা হা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে জীবন যুদ্ধে হেরে না যাওয়া লুঙ্গি বিক্রেতা চাচাকে দেখে। আপনি ঠিকই বলেছেন, বয়সের শেষ প্রান্তে এসেও তাদের কঠিন পরিশ্রম করতে হচ্ছে, যা খুবই কষ্টকর। অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit