রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট - পর্ব ১৩

in hive-129948 •  5 months ago 

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে আমার তোলা কিছু ছবি শেয়ার করবো। ছবিগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে তুলেছিলাম। বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে ছবিগুলো তুলেছিলাম তা নয়। বাইরে গেলে এখন ছবি তোলা হয়। সেভাবেই এই ছবিগুলো তুলেছিলাম। আশা করি ছবিগুলো আপনাদের ভালো লাগবে।

IMG_20240402_105642.jpg

কয়েকদিন আগে ঈদের কেনাকাটা করার জন্য মার্কেটে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমাদের শহরের সবচাইতে বড় কাপড়ের দোকানটাতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এই ছবিটি তুলেছিলাম। নকশি কাঁথা নামের এটাকে দোকান না বলে একটা মিনি মল বলা যেতে পারে। কারণ এখানে একসাথে আপনি বাচ্চা বুড়োদের থেকে শুরু করে পুরুষ মহিলা সকলের সব ধরনের কাপড় চোপড় পেয়ে যাবেন। এই সমস্ত জায়গা থেকে কেনাকাটা করার একটা সুবিধা হচ্ছে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় সবকিছুই এখানে পাবেন। যার ফলে আপনাকে আর দোকানে দোকানে ঘুরতে হবে না। তাছাড়া দোকানটা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ার কারণে একটু আরামে শপিং করা যায়।

IMG_20240402_111542.jpg

কয়েকদিন আগে বাজারে গিয়ে এই ছবিটি তুলেছিলাম। বাজারে গিয়ে সেখানে একটি মিষ্টির দোকানে দেখতে পেলাম গরম গরম জিলাপি ভেজে রাখা হয়েছে। ছবিটাতে আপনারা দুই রকমের জিলাপি দেখতে পাচ্ছেন। প্রথমটা হচ্ছে রেশমি জিলাপি। তারপরেরটা নরমাল জিলাপি। তারপরে দেখতে পাচ্ছেন আমৃত্তি। এই খাবারটাও আমার অনেক পছন্দের। আর গরম জিলাপি খেতে পছন্দ করে না এমন বাঙালি মনে হয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। জিলাপি গুলোর চেহারা দেখেই মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হবে। যদিও সেদিন জিলাপি কেনা হয়েছিলো না।

IMG_20240404_110814_1.jpg

এই ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন নির্মাণ শ্রমিকরা একটি নির্মাণ কাজে ব্যস্ত রয়েছে। এখন এই প্রচন্ড গরমের ভেতরে ঘামে ভিজে শ্রমিকরা যেভাবে কাজ করে সেটা দেখলে সত্যিই অবাক হতে হয়। আমরা একটু ফ্যানের নিচ থেকে সরলেই ঘামে ভিজে যায়। এই গরমের ভিতরে বাইরে বের হওয়া আমাদের কাছে কতো কষ্টের মনে হয়। অথচ এই শ্রমিক গুলোকে দেখুন এই প্রচন্ড গরমের ভিতরেও তারা কাজ করে চলেছে। বিশ্রাম নেয়ার সময় নেই তাদের। এ ধরনের দৃশ্য দেখলে বোঝা যায় আসলে এই শ্রমিকেরা কতটা পরিশ্রম করেন।

IMG_20240401_101255.jpg

এই ছবিটাতে আপনারা একটি ফলের দোকান দেখতে পাচ্ছেন। রমজান মাসে বাংলাদেশে ফলের বেচাকেনা বেড়ে যায় অনেক বেশি। এই কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা ফলের দামও অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। অথচ সারাবিশ্বের মুসলিম দেশগুলোতে এই রমজান মাসে পন্য বিক্রি হয় অনেক ডিসকাউন্টে। আর আমাদের দেশে হয় পুরো উল্টোটা। মনে হয় ব্যবসায়ীরা সারা বছরের মুনাফা এই এক মাসেই করে নিতে চায়। আর অসাধু ব্যবসায়ীদের এই চিন্তা ভাবনার জন্যই পুরো দেশের মানুষ অসুবিধায় পড়ে যায়।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90

---|---


ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ফটোগ্রাফি পোস্টটি তো দারুন ভাবে সাজিয়েছেন আপনি। ফটোগ্রাফি গুলি ও ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় দেখে বেশ ভালো লাগলো। আসলেই বর্তমান গরমে আমরা ফ্যানের নিজ থেকে সত্যিই চাই না কিন্তু শ্রমিকরা কত কষ্ট করে এই প্রচন্ড গরমের মধ্যেও কাজ করে যাচ্ছে। ফটোগ্রাফি পোস্টটি আপনার খুবই সুন্দর হয়েছে। অপেক্ষায় রইলাম আপনার পরবর্তী ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখার কেননা আপনার ফটোগ্রাফি পোস্ট অনেক বেশি সুন্দর হয়, ধন্যবাদ।

এরকম শপিংমল গুলোতে গেলে আসলেই সুবিধা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ার কারণে আরামে শপিং করা যায়। তাছাড়া সবকিছু এক জায়গায় পাওয়া গেলে অন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজনও পড়ে না। নামটিও বেশ সুন্দর। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। ফলের দোকানের ফটোগ্রাফি দেখেই তো মনে হচ্ছে কিছু ফল কিনে নিয়ে আসি। যাই হোক ভালো লাগলো দেখে।