//লাইফস্টাইল:-দোকানে বসে হঠাৎ মুড়ি পার্টি//

আসসালামু আলাইকুম:-আদাব

"লাইফস্টাইল:-দোকানে বসে হঠাৎ মুড়ি পার্টি" "সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে লাইফস্টাইল:-দোকানে বসে হঠাৎ মুড়ি পার্টি আমি সব সময় আপনাদের মাঝে নতুন কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করি।আমার বাংলা ব্লগে নতুন কিছু শেয়ার করতে পারলে নিজেকেই অনেক ভালো লাগে। তো ভাবলাম আজকে আমার নিজের অনুভূতি শেয়ার করি।শুক্রবার যেমন ছুটির দিন ঠিক তেমনি এই দিনে সবাই বেশি ব্যাস্ত।আর বর্তমান ছোট দিনের বেলা,কখন দিন যাচ্ছে কখন রাত হচ্ছে বুঝতে পারছি না।এই জন্য অধিকাংশ কাজ এখন রাতের বেলা করতে হয়।যাইহোক দেরি না করে শুরু করা যাক।

আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন আমি আমার এক বড় ভাইয়ের দোকানে থাকি।তবে বিশেষ করে এই ঠান্ডার সময় দোকানে থাকাটা খুবই চাপ হয়ে যায়।যাই হোক আমাদের সপ্তাহে দুইদিন হাঁট থাকে, এই হাঁটের দিন আমি খুব ব্যস্ত থাকি। তো কাল বৃহস্পতিবার কিন্তু আমাদের যশাই বাজারের হাঁট ছিলো।আর বিশেষ করে এই হাঁটের দিনে কিন্তু আমাদের বেশি বেঁচা বিক্রি হয়। যাইহোক ঠান্ডার সময় একটু লোকজন খুবই কম বাজারে আসে।তো এই ভাবে আমরা সন্ধ্যার পরে অনেক সময় বসে ছিলাম, দেখতেছি আজকের বেঁচা বিক্রিটা খুবই কম।এই জন্য হুট করে ভাবলাম আজকে কিছু একটা পার্টি দিবো দোকানে।দোকানে আমি এবং আমার বড় ভাই,এবং আমার দুইটি ফ্রেন্ড ছিলো।তুই এখন ভাবতেছি কি দিয়ে পার্টি করবো,কারন অনেক লোক আশা যাওয়া করতেছে।তখন কিন্তু অনেকেই এটা খারাপ ভাববে,যে দোকান চলাকালীন তারা দোকান না করে খাওয়া দাওয়া করতেছে। জানেন তো মানুষ একটু বেশি বুঝেন।

যাইহোক আমরা কিন্তু অনেকক্ষণ সময় নেওয়ার পর আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিলাম।আমার বড় ভাইয়ে কিন্তু বললো যে মুড়ি পার্টি দেয়।কারণ এই ঠান্ডার সময় দোকানে বসে মুড়ি খেতে খুবই ভালো লাগবে।তখন আমরা না করতে পারলাম না, সবার রাজি হয়ে গেলাম।তবে আমাদের একটা শর্ত ছিল যে, মুড়ির সঙ্গে গরম গরম গুড়ের জিলাপি নিয়ে আসবো।যদি দুই তিন পিচ করে খাওয়া হয় তাহলে মুড়িটা খেতে আরো বেশি ভালো লাগবে। তখন আমার ভাই এটা না করল না, সঙ্গে সঙ্গে টাকা দিয়ে আমরা কিছু জিলাপি নিয়ে আসলাম।এখন মুড়ি পার্টি দিবো খুবই তাড়াতাড়ি,কারণ আয়োজন বেশি করার দরকার নাই। যেহেতু দোকান আছে সেটাও তো দেখতে হবে।তো আমাদের দোকানে কিছু মুড়ি ছিলো এবং বাজার থেকে চানাচুর, মরিচ, ঝাল যা কিছু লাগে সবকিছু নিয়ে আসলাম।

তো সবকিছু যখন নিয়ে আসলাম তখন মরিচ এবং পিঁয়াজ সবগুলো কুচি কুচি করে কেটে দিলাম।যখন এগুলো কাটা হয়ে গেলো তখন মুড়ির সঙ্গে চানাচুর তেল মরিচ পিঁয়াজ সবকিছু দিয়ে দিলাম।দেওয়ার পরে সুন্দর করে সবকিছু মিক্স করে মেখে নিলাম।এখন যেটা মাখছি সরিষার তেল দেওয়া ছিলো প্রচুর পরিমাণ । আর আমার মনে হয় সরিষার তেলটা দিয়েই মুড়িটা খেতে অনেক টেস্ট হয়েছে।আর এই শীতকালের সময় সরিষা তেল দিলে বেশি ভালো লাগে।যাইহোক সবকিছু মেখে নেওয়ার পরে আমরা সুন্দর ভাবে খাওয়া দাওয়া শুরু করলাম।যেহেতু সবকিছু আমি মেখেছি যার কারণে আমি কয়েকটা সেলফি তুলতে পারিনি।তবে আমার মনে যে আনন্দটা ছিলো সেটা আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি।

তো আমরা কিন্তু অনেক কয়েকজন ছিলাম।সেখান থেকে কিছু ফ্রেন্ড বাসায় চলে যায়, আর প্রায় কিন্তু আমার ফ্রেন্ড গুলো আমার দোকানে এসে আড্ডা দিয়ে চলে যায়।তো আমরা তিনজন ছিলাম এবং তিনজনই মুড়ি পার্টি দেয়।যাই হোক সর্বশেষ হচ্ছে আমরা যে বন্ধু-বান্ধব মিলে এবং দোকানে যা আনন্দ করে খেয়েছি এটাই বড় কথা।আসলে এইরকম কিন্তু আমাদের অনেক সময় আসে, বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে খাওয়া দাওয়া করা।ঠিক তেমনি এখানে আমরা খুবই মজা করে মুড়ি পার্টি দিয়েছি।আর আমার কাছে বিশেষ করে এই ঠান্ডার সময় মুড়ি খেতে ভীষণ ভালো লাগে।আমি ছোটবেলা থেকে কম্বলের নিচে বসে মুড়ি মেখে খেতাম।তবে এখানে আর একটা মজার জিনিস হচ্ছে গরম গরম জিলাপি ছিলো যেটা খুবই ভালো লেগেছে।আর এই শীতের সময় গরম গরম গুড়ের জিলাপি খেতে কার না ভালো লাগে।যাইহোক সব মিলিয়ে আমার কাছে সুন্দর একটি মুহূর্ত ছিলো এবং খুব সুন্দর ভাবে আমরা আড্ডা দিয়েছি।তো আজকের মত আমি এখানে বিদায় নিলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।

---

---

---

ছবি সংক্রান্ত তথ্যাবলিঃ

ডিভাইস	Tecno camon 20
ফটোগ্রাফার	@polash123
লোকেশন	দিনাজপুর

---

🌸আমার পরিচয়🌸

আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ পলাশ সরকার রাজু । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @polash123 আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়া শুনা করি এবং পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি ক্রিকেট খেলতে অনেক ভালোবাসি।আর ক্রিকেট খেলা দেখতেও খুব ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। আর অংকন করতেও ভালবাসি।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন।

You can also vote for @bangla.witness witnesses

Vote for @bangla.witness