//নাটক রিভিউ:-সুপার ওয়াইফ//

আসসালামু আলাইকুম:-আদাব

"নাটক রিভিউ:-সুপার ওয়াইফ" "সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে নাটক রিভিউ:-সুপার ওয়াইফ আমি প্রতি সপ্তাহে আপনাদের মাঝে একটি করে নাটক রিভিউ শেয়ার করি।তবে বেশির ভাগ মুশফিকের নাটক আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।বাংলা নাটকের মধ্যে মুশফিকের নাটক আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আজকের নাটক টিও দারুণ ছিলো।বলতে গেলে পুরো নাটক টি রোমান্টিক। যাইহোক দেরি না করে শুরু করা যাক।

নাটকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

নাটকের নাম	সুপার ওয়াইফ
অভিনয়	মুশফিক আর ফারহান, সাফা কবির,আরো অনেকে
পরিচালক	তৌফিকুল ইসলাম
মুক্তির তারিখ	২৪শে অক্টোবর ২০২৪
দেশ	বাংলাদেশ
ভাষা	বাংলা
দৈর্ঘ	১:০০:৪২

সংক্ষিপে কাহিনি

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

নাটকের শুরুতেই মুশফিক এবং সাফা কবিরের দুইজনের বিয়ে হয়।আর এই বিয়েতে কিন্তু সবাই মেয়েকে অনেক পছন্দ করেন।তারা বিয়ে করে বাসায় এসে অনেক ধরনের গল্প করলো।তো একদিন সবাই এক সঙ্গে খেতে বসে সাফা কবির দেখতে পায় যে,টেবিলে বিভিন্ন ধরনের খাবার। তো এগুলো খাবার দেখে কিন্তু সাফা সেটা মানতে পারলো না। তো খেতে খেতে সবার কাছে শুনলো যে,কার কি রোগ রয়েছে। যখন শোনা হয়ে গেলো,তখন থেকেই সাফা কবির তাদের খাওয়ার লিস্ট অন্য করে দিলো।প্রতি দিন শাক সবজি দিয়ে ভাত খেতে হবে,আগের মতো এখন মাছ,মাংস এগুলো কিছুই থাকবে না।এগুলো শুনার পর সবাই অবাক হয়ে গেলো।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

তো এইভাবে বেশ কয়েকদিন তাদের চলে গেলো।এইদিকে কিন্তু মুশফিক এবং সাফা কবিরের দুজনের মধ্যে অনেক সুন্দর একটি ভালোবাসা তৈরি হলো।তো মুশফিকের কিন্তু প্রায় দিন তার বাসা থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে একটি ফ্যাক্টরি রয়েছে।সেই ফ্যাক্টরিতে যাওয়ার জন্য কিন্তু সে গাড়ি ব্যবহার করে।তো একদিন সাফা কবির বললো যে গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না ম,তোমাকে হেঁটে হেঁটে সেই ফ্যাক্টরিতে যেতে হবে।যাইহোক এইরকম কিন্তু প্রতিদিন মুশফিক তার ফ্যাক্টরিতে হেঁটে হেঁটে যায়।তো একদিন মুশফিক বাজার থেকে মাছ নিয়ে আনছিলো।সেই মাছে কিন্তু একটু ভেজাল ছিলো,তো সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু সাফা কবির বাজারে এসে দোকানদারের সঙ্গে তর্ক শুরু করলো।এমন তর্ক শুরু করলো শেষ পর্যন্ত দোকান দারও তার কাছে হেরে গেলো।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

তো এইদিকে কিন্তু বাসায় কোন মাছ-মাংস চলতেছে না, প্রত্যেকদিন শাক সবজি দিয়ে ভাত খেতে হচ্ছে।তো একদিন মুশফিকের বাবা এবং মা তার বোন সবাই মিলে রাতে চুপ করে খেতে বসলো। আর সেই সময় কিন্তু সাফা কবির তাদেরকে দেখতে পায়।আসলে এই সময়টি এমন হাস্যকর ছিল যেটা না দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন না।যাইহোক দেখা পাওয়ার পরের দিন থেকে সবাইকে বাগানে গিয়ে শাক সবজি আনতে হয়।আসলে নাটকের এই মাঝ পথে কিন্তু অনেক হাস্যকর কাহিনী ছিলো এবং যেটা দেখে আমি অনেক হেসেছি।হয়তো আপনারা এই নাটকটি দেখলে কিন্তু বুঝতে পারবেন যে নাটকটি কতই মজার ছিলো।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

যাইহোক এইভাবে কিন্তু তাদের খুব সুন্দর ভাবে চলতেছিলো।তো একদিন মুশফিক এবং সাফা কবিরের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়।আর এই ভুল বোঝাবুঝির কারণেই কিন্তু সাফা কবির তাকে আর বাসায় আসতে দেয় না।তো যখন এইরকম পরিস্থিতি তখন মুশফিক তার শ্বশুর আব্বাকে ডাক দিলো।তো সাফা কবিরের বাবা বাসায় এসে তাদেরকে সব কিছু খুলে বললো।সেই সাথে মুশফিক যখন সবকিছু বুঝতে পারলো তখন সবকিছু বিষয় ক্লিয়ার হলো মুশফিক।আর সঙ্গে সঙ্গে মুশফিক সাফা কবিরের সাথে দেখা করতে ছাদে গেলো।এবং সব কিছু ভুল বোঝাবুঝির জন্য ক্ষমা চাইলো এবং তাদের আবার সুন্দর ভাবে মিলন হলো।

---

---

ব্যাক্তিগত মতামত

তো নাটকটি কিন্তু আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।আপনারা যারা নাটকটি দেখছেন তারা হয়তো বুঝতে পারছেন যে নাটকটি কেমন।আর যারা নাটকটি এখনো দেখেন নাই দেখে নিবেন আশা করছি সবার কাছে ভালো লাগবে।মূলত নাটকের মূল কাহিনী হচ্ছে,স্বামী স্ত্রীর ভুল বুঝাবুঝি এবং ভালোবাসা।সেই সাথে একটি ফ্যামিলিকে কিভাবে একটি মেয়ে আগলে রাখে সেটা তুলে ধরছে।যাইহোক নাটকটি দেখলে কিন্তু আমরা সবকিছু বুঝতে পারবো এবং অনেক ভালো লাগবে নাটকটি।তাহলে আজকের মতোো আমি এখানে বিদায় নিলাম।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।

---

---

নাটকের লিংক ও রেটিং:-১০/১০