||আগের যুগের পুরনো ঐতিহ্যবাহী "কুয়া"||

আসসালামু আলাইকুম:-আদাব

"আগের যুগের পুরনো ঐতিহ্যবাহী কূয়া" "সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে আগের যুগের পুরনো ঐতিহ্যবাহী কূয়া আমি সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন কিছু শেয়ার করার।আমার বাংলা ব্লগে নতুন কিছু শেয়ার করতে পারলে নিজেকে অনেক ভালো লাগে। তো আজকে শরীর টা একটু খারাপ। তাই সুয়ে সুয়ে ভাবতেছি কি পোস্ট করা যায়।তো এইভাবে ভাবতে ভাবতে হুট করে মোবাইলের গ্যালারিটি চেক করলাম। দেখতেছি গ্যালারিতে কোন ছবি আছে কিনা। ওইভাবে চেক করতে করতে দেখলাম অনেক আগের তোলা কয়েকটি ছবি পড়ে রয়েছে।সেই ছবি গুলো দেখা পাওয়ার পরে আমি সঙ্গে সঙ্গে শুরু করে দিলাম পোস্ট লেখা।যাইহোক দেরি না করে শুরু করে দেয়।

পানি সংগ্রহের প্রাচীনতম মাধ্যম গুলোর মধ্যে কুয়া অন্যতম। আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্যে কুয়ার গুরুত্ব একসময় ছিল অপরিসীম। কুয়া শুধু পানি তোলার একটি উপায় নয়, এটি ছিল মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত একটি অংশ।প্রাচীনকালে যখন আধুনিক পানি তোলার যন্ত্রপাতি ছিল না, তখন মানুষ মাটির নিচের পানি সংগ্রহের জন্য কুয়া খনন করতো। একটি কুয়া খনন করতে অনেক পরিশ্রম ও সময় লাগত। এটি সাধারণত একটি গোলাকার গর্ত, যা মাটির নিচের পানির স্তর পর্যন্ত খনন করা হয়।

কুয়া একসময় ছিল গ্রামের মানুষের পানির মূল উৎস। এতে খাবার পানি, গোসল করা, এমনকি রান্নার কাজেও পানি তোলা হতো। তবে কুয়া শুধু পানি সংগ্রহের জন্যই সীমাবদ্ধ ছিল না, এটি সামাজিক মিলনস্থল হিসেবেও পরিচিত ছিল। সকালে বা বিকেলে গ্রামের মানুষ একত্রে কুয়ার পাশে বসে গল্প করতো।আসলে আগের দিনের কথা গুলো মনে পড়লে কেমন যেনো লাগতো।আমি যখন ছোট ছিলাম তখন কয়েকটি কুয়া দেখেছি। এবং কুয়া সবার বাসায় ছিল না,গ্রামে একটি থেকে দুটি কুয়া ছিলো।এবং সেই কুয়াতেই সময় পানি নিতো,এবং লাইন হয়ে সবাই পানি নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতো।

বর্তমানে কুয়ার ব্যবহার অনেক কমে গেছে।বলতে গেলে এখন এই কুয়া দেখায় যায় না। এর কারণ আধুনিক টিউবওয়েল বা নলকূপের জনপ্রিয়তা।আসলে যত দিন যাচ্ছে ততদিনেই কিন্তু আমাদের দেশ ডিজিটাল হচ্ছে। তাইতো আজকে আমাদের অনেক পুরনো একটি ঐতিহ্য "কুয়াকে" আমরা ভুলে গেছি সবাই।তবে কুয়া থেকে তোলা পানি অনেক সময় দূষিত হতে পারে, কারণ এতে মাটির উপরের বর্জ্য প্রবেশ করার ঝুঁকি থাকে।বা বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা পড়তে পারে। তবুও কুয়ার ঐতিহ্য আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।হয়তো আমি এই ব্লগে সবার ছোট,তাই আমি মনে করি আপনারা সবাই কুবার সাথে সম্পর্কিত আছেন এবং তার বিষয় সবকিছু জানেন।একসময় এই কুয়া ছাড়া মানুষ অচল ছিলো।

কুয়া আমাদের অতীত ঐতিহ্যের প্রতীক, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম মানুষের জীবনযাত্রার অংশ ছিলো। যদিও আধুনিক জীবনে কুয়ার ব্যবহার কমে গেছে, তবে এর গুরুত্ব ও স্মৃতি আজও আমাদের জীবনে জায়গা করে আছে। কুয়া শুধু পানি তোলার মাধ্যম নয়, এটি আমাদের ঐতিহ্যের চিহ্ন।আজ প্রযুক্তির উন্নতির কারণে কুয়ার ব্যবহার প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। টিউবওয়েল, মোটরচালিত পাম্প বা শহুরে পানির লাইন কুয়ার জায়গা দখল করেছে।বলতে গেলে এক পাশ দিয়ে আমাদের অনেক উপকার হয়েছে।কারণ আগের যুগের মানুষ অনেক কষ্ট করে পানি নিয়ে আসতো।বর্তমান সেই আর কষ্টটা করতে হয় না,সবার বাসাতে মোটর বা টিউবওয়েল আছে।

যাইহোক আমাদের গ্রাম বা আশেপাশের গ্রামে খোঁজাখুঁজি করলেও কিন্তু এই কুয়াকে আপনারা আর খুঁজে পাবেন না।কারণ এর আগে যে কুয়া গুলো ছিল, বর্তমান সবাই কিন্তু সেই কুয়া গুলো ইট বা পাথর দিয়ে বন্ধ করে রাখছে। আমাদের এলাকায় কিন্তু একটি কুয়া ছিলো, সেটা বর্তমান ইট দিয়ে বন্ধ করে রাখছে।যাইহোক এই আধুনিক যুগে প্রাচীনকালের কুয়া নিজের চোখে দেখবো কখনো ভাবি নাই। আজ থেকে বেশ কিছুদিন আগে আমি এক গ্রামে ঘুরতে গেছিলাম।ঘুরতে না বলতে গেলে আমি এক কাজে গেছিলাম।তো আমি জানতাম না ওই গ্রামে একটি কুয়া আছে। এবং কুয়া টি কিন্তু এখনো সেই ভাবে রয়েছে,মানে তারা এখনো সেই কুয়ার পানি পান করে।

যাইহোক আমি যখন গ্রামে ঢুকলাম এবং শুনলাম আমার এক ফ্রেন্ডের কাছে যে,ওই গ্রামে একটি কুয়া রয়েছে।তো আমি সেই বাসাতে গেলাম এবং বাসার সাইটে কিন্তু সেই কুয়াটি রয়েছে।তো কুয়া টি দেখার পর পর আমি কিন্তু অনেক আনন্দিত।এবং সাথে সাথে আমার ফোন বের করে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলাম।তো সেই সময় ভাবতে লাগলাম,ছোটবেলা যখন এই কুয়া দেখতাম তখন অনেক ভয় পেতাম। তুমি যেই সময় আমি দেখছিলাম তখন কিন্তু সেইরকম ভয় লাগছিল না, কিন্তু দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।আমি কখনোই ভাবতে পারি নাই যে এখনো এই কুয়াটি রানিং চলতেছে।যাইহোক সেখানে তার বাসার লোকদের জিজ্ঞেস করলাম তারা এখনো সেই কুয়ার পানি খেতে থাকে। যাই হোক এই কুয়া কিন্তু আমাদের পুরনো এক ঐতিহ্য।পুরনো ঐতিহ্য গুলো টিকে রাখা আমাদের সবার কর্তব্য।যাইহোক সর্বশেষে এটাই বলবো,অনেক দিন পর কুয়া দেখে আমি অনেক আনন্দিত। কিন্তু সময় না হওয়াতে আপনাদের মাঝে এই পোস্ট টি শেয়ার করতে পারি নাই।তো বন্ধুরা আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।

---

---

---

ছবি সংক্রান্ত তথ্যাবলিঃ

ডিভাইস	Tecno camon 20
ফটোগ্রাফার	@polash123
লোকেশন	দিনাজপুর

---

🌸আমার পরিচয়🌸

আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ পলাশ সরকার রাজু । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @polash123 আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়া শুনা করি এবং পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি ক্রিকেট খেলতে অনেক ভালোবাসি।আর ক্রিকেট খেলা দেখতেও খুব ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। আর অংকন করতেও ভালবাসি।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন।

You can also vote for @bangla.witness witnesses

Vote for @bangla.witness