নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমি আজকে মূলত একটি গল্প লেখার চেষ্টা করেছি। এর আগে এই গল্পটির প্রথম পর্বটি আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম ,আজ তারই দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে চলে এলাম। আশা করি আপনাদের কাছে সেটি খারাপ লাগবে না। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
মুখের কালো কাপড়টি সরানোর সাথে সাথে প্রিয়া দেখল ছেলেটি আর কেউ নয়, সে হলো তার দু'বছর আগের ফেলে আসা পুরনো প্রেমিক রাজ। প্রিয়া ভয় পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দিল। কারণ তাকে ছেড়ে আসার পেছনে প্রিয়া কোনো কারণ দেখাতে পারেনি কোনোদিন। বেশ ভালই চলছিল দুজনের সম্পর্কটা। হঠাৎ করেই একদিন প্রিয়া তাকে সব জায়গা থেকে ব্লক করে দিল, কোনদিন আর কোনো যোগাযোগ করার সুযোগ দিল না। তাই বাধ্য হয়েই হয়তো ছেলেটিকে এরকম একটা রাস্তা বেছে নিতে হয়েছে। ছেলেটি দ্রুত প্রিয়ার মুখের সামনে ক্লোরোফর্ম যুক্ত রুমাল চাপা দিয়ে দিল, আর তারপর তার দুটো বন্ধুর সহযোগিতায় অজ্ঞান অবস্থায় তাকে সেখান থেকে দূরে কোথাও নিয়ে চলে গেল।
জ্ঞান ফেরার পরে প্রিয়া দেখল, সে তার অপরিচিত অদ্ভুত একটি জায়গায় এসে পড়েছে। সাথে সাথে তার হাত-পা মুখ সবই বাঁধা। তখন আর প্রিয়ার বুঝতে বাকি রইল না, কে বা কারা তাকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। কিছুক্ষণ পরে তার সামনে এসে উপস্থিত হল রাজ। সে প্রিয়াকে বলল,"ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই, শুধুমাত্র কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করার জন্যই তোমাকে এভাবে তুলে আনতে বাধ্য হয়েছি। হঠাৎ করেই তুমি আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলে, ভেবেও দেখোনি তখন কেমন পরিস্থিতির মধ্যে আমাকে পড়তে হয়েছিল, কিভাবে কাটছিল আমার দিনগুলো। যাই হোক, তোমাকে এসব বলে লাভ নেই। শুধু জানার আছে কয়েকটি প্রশ্ন উত্তর।"
প্রিয়া ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করে বসলো,"প্রশ্ন উত্তর গুলো দিয়ে দিলেই কি আমাকে ছেড়ে দেওয়া হবে?"উত্তর এলো ,"হ্যাঁ"। তারপর প্রথম প্রশ্ন হিসেবে রাজ জানতে চাইলো,"তাকে হঠাৎ করে ছেড়ে যাওয়ার কারণ কি ছিল? কি ছিল তার অপরাধ? "প্রিয়া কিছুক্ষণ চুপ করেই রইল, কারণ রাজকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য, তার কাছে আসলেই কোনো কারণ ছিল না। কারণ ছিল না বলাটা অবশ্য ভুল, কারণ একটা ছিল, তবে সেটা রাজের ব্যর্থতা নয়। যেহেতু প্রিয়ার বয়স খুবই অল্প, তাই এই বয়সে রাজের মধ্যে ভালোবাসা আসলেও প্রিয়ার মধ্যে রাজের প্রতি ভালোবাসা জিনিসটা একেবারেই আসেনি, যেটা এসেছিল সেটা শুধুমাত্র ভালোলাগা।
আর সেই জন্যই , কিছুদিনের মধ্যেই রাজের প্রতি প্রিয়ার টান একেবারেই কমে গেল। তখন প্রিয়ার হঠাৎ করেই ভালো লাগলো তার সহপাঠী এক বন্ধু রূপকে। অল্প বয়সে যা হয় আর কি! এটাই ছিল রাজকে হটাৎ করে ছেড়ে যাওয়ার পিছনে কারণ। এ কথা শুনে রাজ প্রচন্ড জোরে জোরে হাসতে থাকে। তারপর আর কোনো কথা না বলেই, তার দুই বন্ধুকে বলে প্রিয়াকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। প্রিয়ার হাত, পা ও মুখের বাঁধন খুলে দেওয়ার সাথে সাথে প্রিয়া ভয়ে ভয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে গেল। তারপর বাড়ি গিয়ে কাউকে কিছু না বলে চুপচাপ ঘরের দরজা বন্ধ করে রইল।
পোস্ট বিবরণ | গল্প লিখন |
---|
হঠাৎ করে কেউ যদি কথা বন্ধ করে দেয় সেটা যে কী পরিমাণ যন্ত্রণা দেয় সেটা আমি কিছুটা জানি। আর এখানে প্রিয়া আবেগের বসে ছেলেটার সঙ্গে রিলেশনে যায়। সেটা কেটে গেলে যোগাযোগ বন্ধ। কিন্তু ছেলেটার যে কী অবস্থা হলো সেটা সে একবারও দেখলো না। আসলেই এটা খুবই দুঃখজনক। এইটুকু পড়ে বেশ ভালো লেগেছে গল্প টা আপু। বেশ সুন্দর লিখেছেন আপনি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যিই ভাই, এটা খুবই দুঃখজনক আর খুবই যন্ত্রনাদায়ক হঠাৎ করে কথা বলতে বলতে কেউ কথা বন্ধ করে দিলে। পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit