|| ইকো পার্ক থেকে তোলা কিছু স্ট্যাচুর ফটোগ্রাফি ||

in hive-129948 •  4 months ago 

নমস্কার বন্ধুরা


আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।

গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আসলে ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। কিন্তু সময়ের স্বল্পতার কারণে খুব বেশি একটা ফটোগ্রাফি করার সুযোগ হয় না আজকাল। গত বছর ঠিক এই সময়টাতে আমি গিয়েছিলাম ইকোপার্ক ঘুরতে। সেই সময় প্রচুর ফটোগ্রাফি করা হয়েছিল। তার ভিতরে অলরেডি কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেলেছি। তবে আজকে ইকোপার্ক থেকে তোলা কিছু স্ট্যাচুর ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। যদিও এর ভিতরে কিছু কিছু স্ট্যাচু আছে যেগুলোর মানে আমি ঠিক বুঝতে পারিনি। তবে যতটুকু বুঝেছি আশা করি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারবো।

InShot_20240512_182620981.jpg

এটি হলো নিম কাঠের তৈরি মা দূর্গার একটি মূর্তি। পুরো একটা গাছ কেটে কেটে তারপর এই ডিজাইন করা হয়েছে। ফটোতে দেখতে যেমন সুন্দর লাগছে সামনাসামনি দেখতে এই মা দুর্গার স্টাচুটি অনেক বেশি সুন্দর ছিল। বিশেষ করে মা দুর্গার মাথার পিছনে যে ফুলের এবং গাছের ডিজাইন সেটা ছিল অসাধারণ এবং গাছের ভেতর থেকে মা দুর্গার উপরে উঠে আসার যে ব্যাপারটা ওটাও বেশি ইউনিক এবং ইন্টারেস্টিং ছিল। তাছাড়া মায়ের পায়ের কাছে তার ছেলে সন্তানরা এবং তার বাহন ছিল, যেটা দেখতে খুব ভালো লাগছিল।

20220728_173217.jpg

এটা হল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস এর একটি আর্ট বা টেরা কোটা যেটা পোড়া মাটির সাহায্যে তৈরি করা। দেখতে অনেকটা বালি সিমেন্টের তৈরি হলেও কাছ থেকে দেখে আসলে বোঝা যায় যে পোড়ামাটির তৈরি এই কাজটা কতটা নিখুঁত এবং সূক্ষ্ম হতে পারে। আমরা সকলেই জানি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের পিছনে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের অবদান কতটা। তারই স্মৃতি ধরে রাখার জন্য এই পার্কের ভিতর সুভাষচন্দ্র বোসের একটি পোড়ামাটির ফলক তৈরি করা ছিল এবং তার পাশে পোড়ামাটি দিয়ে তৈরি করা কিছু কথা লেখা ছিল, সেটার ফটোগ্রাফি করা হয়নি।

20220728_173628.jpg

এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছেন মা দুর্গার পায়ের কাছে পড়ে থাকা তার ছেলে সন্তান এবং মা দুর্গার একমাত্র বাহন এর ফটোগ্রাফি। এই মূর্তিগুলো ছিল সব নিম কাঠের তৈরি। তবে অনেকটা দেখতে পোড়ামাটির কাজ মনে হচ্ছে। কাছ থেকে না দেখলে আসলে সত্যতা বোঝা যায় না। যেহেতু আমি যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন প্রচন্ড পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছিল এজন্য এই স্টাচুগুলো একেবারে ভিজে গেছিল। যাই হোক তারপরও দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল এজন্য ঝটপট করে একটা ফটো তুলে নিয়েছিলাম।

20220728_173113.jpg

এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ট্যাচু এবং অন্য কোন একজন গুণী মানুষ যিনি বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছেন আর পাশে বসেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গান প্র্যাকটিস করছে। পাথরের ভিতর সাজিয়ে রাখা এই স্ট্যাচু দুটো দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছিল। মনে হচ্ছিল একদম জীবন্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

20220728_173055.jpg

কোন এক গুরুজি ভারতনাট্যম এর একটি স্টেপ দেখাচ্ছেন। এই স্ট্যাচুর মাধ্যমে সেটাই তুলে ধরা হয়েছিল এখানে। আসলে ভারতনাট্যম ভারত বর্ষ তথা সারা বিশ্বে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেটা আমরা সকলেই জানি। আর সেই ব্যাপারটাকে সকলের সামনে তুলে ধরার জন্য এই স্ট্যাচু করা হয়েছিল। তবে স্টাচুটা অনেক বড় ছিল। কমপক্ষে দশ ফুট তো হবেই। যদিও ভারতনাট্যম সম্পর্কে আমার তেমন বিশেষ আইডিয়া নেই তবে এটুকু বুঝতে পেরেছিলাম যে এটা ভারতনাট্যম এর একটা অংশ।

20220728_173126.jpg

এটাও হয়তো ভারতবর্ষের কোন একজন গুণী মানুষের স্টাচু তবে এনাকে আমি ঠিক চিনতে পারিনি। এজন্য আপনাদের সামনে বর্ণনা করতে পারলাম না। যদি এই স্টাচুর নিচে এই মহান ব্যক্তি সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়া থাকতো তাহলে হয়তো আপনাদের সামনে দুই একটা লাইন বলতে পারতাম। তবে তেমন কিছু সেখানে ছিল না এজন্য কিছুই বলতে পারলাম না। তবে আপনাদের যদি জানা থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

20220728_173051.jpg

তিনিও ভারতবর্ষের কোন একজন মহান বাদ্যযন্ত্রবাদক। তবে এই মুহূর্তে নামটা মনে করতে পারছি না। সাধারণত গুণী মানুষদের স্মৃতি রক্ষার্থে এবং তাদেরকে স্মরণ করার উদ্দেশ্যে এই স্টাচুগুলো বানানো হয়েছিল ইকো পার্কের একটা পার্টিকুলার জায়গায়। যদিও এই জায়গাটা অনেকটা ভেতরের দিকে ছিল এজন্য খুব কম মানুষ এখানে যাওয়া আসা করছিল। এই স্ট্যাচুটা সম্পর্কেও আমার আসলে তেমন বিশেষ কোন আইডিয়া নেই এজন্য তেমন কিছু তথ্য আপনাদের দিতে পারলাম না। আপনাদের জানা থাকলে অবশ্যই জানাতে পারেন। তাহলে আমি নিজেও জেনে নিতে পারবো।


পোস্ট বিবরণফোটোগ্রাফি
ফটোগ্রাফার@pujaghosh
ডিভাইসpoco m6 pro

আজ আর নয়। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারও নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।





🪔আমার পরিচয়🪔

InShot_20240217_224020693.jpg

আমি পূজা ঘোষ(রাজশ্রী)। বনগাঁতে বসবাস করি। আমি বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয় থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, বিজ্ঞান বিভাগে ।পাশাপাশি কম্পিউটার এবং স্পোকেন ইংলিশের কোর্স করেছি। বর্তমানে আমি ফার্মাসিতে অধ্যায়নরত । ভবিষ্যতে এইগুলো নিয়ে ভালো কিছু করার আশায় এগোচ্ছি। কবিতা আবৃত্তি করতে আমি খুবই ভালোবাসি। ছোটো বয়েস থেকেই কবিতা আবৃত্তি শিখছি। এছাড়া ছবি আঁকতে,ঘুরতে যেতে,নতুন নতুন খাবার খেতে,গান শুনতে,ফোটোগ্রাফি করতে আর মানুষের সাথে মিশতে ভালোবাসি।

🎯 সমাপ্ত🎯

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সময় স্বল্পতার কারণে ছবি বেশি শেয়ার করতে না পারলেও, আজকের পর্বে সব চমৎকার স্ট্যাচুর ফটোগ্রাফী উপস্থাপন করেছেন আপু। প্রতিটি ছবি একেবারে চোখের সামনে রয়েছে মনে হচ্ছে। সবগুলো স্ট্যাচু দেখতে সুন্দর এবং আপনি চমৎকার বর্ননার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপু।

স্ট্যাচুর ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।

ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লেগেছে বিশেষ করে প্রতিটা ফটোগ্রাফির স্বচ্ছ ভাবে তুলে ধরেছেন যার কারণে বেশি ভালো লেগেছে। স্বচ্ছ সুন্দর ফটোগ্রাফি পর্বটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

স্বচ্ছ এবং সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।

ইকো পার্কের মধ্যে থাকা বেশ কিছু মানুষের কৃত্রিম আর্ট আজকে আপনি ফটোগ্রাফি করে পোস্ট করে দেখানোর সুযোগ করে দিয়েছেন আমাদের। আপনার পোষ্টের মধ্যে দিয়ে দেখার সুযোগ হলো এ পার্কে থাকা মূর্তিগুলো। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

আমার পোষ্টের মধ্যে দিয়ে আপনার,ইকো পার্কের ভেতরে থাকা কৃত্রিম আর্ট গুলো দেখার সুযোগ হলো জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনাদের ওখানের ইকো পার্ক টার নাম অনেক শুনেছি আমি। অনেকের পোস্টও পড়েছি। কিন্তু ঐখানে যে এইরকম স্ট‍্যাচু আছে সেটা জানতাম না। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস এর স্ট‍্যাচু টা খুবই সুন্দর লাগছে। একজন মহান বিপ্লবী। অন্য স্ট‍্যাচু গুলো বেশ চমৎকার লাগছে। বেশ চমৎকার কাজ। শিল্পীর প্রশংসা করতেই হয়। ধন্যবাদ আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপু।

ঠিক বলেছেন ভাই,এই স্ট্যাচুগুলো যে শিল্পীরা তৈরি করেছেন তাদের প্রশংসা করতেই হয়। ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

এই ধরনের স্ট্যাচুগুলো পার্কে থাকলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। ইকো পার্কে তো দেখছি অনেক সুন্দর সুন্দর অনেক গুলো স্ট্যাচু রয়েছে। আপনি বেশ কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে আজকের পর্বে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। প্রত্যেকটা স্ট্যাচুর ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। আসলে বিভিন্ন জায়গায় গেলে এখন ফটোগ্রাফি করা ছাড়া ভালোই লাগে না। ফটোগ্রাফি না করলে কোন কিছু মিসটেক রয়েছে বলে মনে হয়। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দিদি।

ঠিক বলেছেন ভাই, বিভিন্ন জায়গায় গেলে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি ছাড়া ভালই লাগে না। ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনি তো দেখতেছি ইকো পার্ক থেকে খুব সুন্দর সুন্দর স্ট্যাচুর ফটোগ্রাফি করেছেন। ইকো পার্ক কখনো সামনে থেকে দেখা হয় নাই। এই কারণে পার্কের ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে খুব খেয়াল করে দেখি। তবে আপনি এমনিতে বেশি চমৎকার ফটোগ্রাফি করেন। আপনার এক একটা ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।স্ট্যাচুর চমৎকার ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

কখনো সুযোগ হলে ইকো পার্ক ঘুরে দেখবেন আপনার কাছেও ভালো লাগবে। ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।

গত বছর আমি যখন ইকোপার্ক ঘুরতে গেছিলাম, তখন এই স্ট্যাচুগুলো দেখেছিলাম। সত্যি কথা বলতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল এইগুলো। তবে সবথেকে অবাক হয়েছিলাম নিম কাঠের তৈরি মা দুর্গার মূর্তিটা দেখে। তাছাড়া আরো চিত্রকলা ছিল, সেগুলো দেখেও খুব ভালো লেগেছিল। যাইহোক, আপনার শেয়ার করা সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো দিদি।

নিম কাঠের তৈরি মা দুর্গার মূর্তিটা সত্যি একটু বেশি সুন্দর লাগছিল দেখতে। ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।