|| গঙ্গার ঘাট থেকে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি ||

in hive-129948 •  6 months ago 

নমস্কার বন্ধুরা


আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।

আজ থেকে প্রায় বছরখানেক আগে শেষবার গঙ্গার ঘাটে গিয়েছিলাম, আর এই গঙ্গার ঘাট থেকে ঘুরে আসলাম কিছুদিন আগে। আসলে গঙ্গার ঘাট এমন একটা জায়গা যেখানে গিয়ে মনের ভিতরে একটা আলাদা প্রশান্তি কাজ করে। প্রিন্সেপ ঘাট প্রথমত কাপলদের জন্য এবং কলকাতার যত প্রপোজ অধিকাংশই গঙ্গার ঘাটেই হয়। তবে সেটা প্রধান কারণ নয়। এখানকার নদীর ঠান্ডা হাওয়া এবং গঙ্গার ঘাটে বসে নৌকাগুলো দেখা একটা আলাদা মজার ব্যাপার। এজন্যই সময় সুযোগ পেলেই মাঝেমধ্যে ছুটে চলে যেতে ইচ্ছা করে এই জায়গায়। একটা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে গেছিলাম এই গঙ্গার ঘাট। এজন্য অনেকটাই মজা করতে পেরেছিলাম। আজ সেখান থেকে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

InShot_20240519_222940731.jpg

এটা হল প্রিন্সেপ ঘাটের দুই নাম্বার ঘাট। এই ঘাট এতটাই বিখ্যাত যে অধিকাংশ লোক এই জায়গায় এসে বসে। তবে আপনারা ফটোগ্রাফিতে ঘাট ফাঁকা দেখতে পাচ্ছেন। যেহেতু আমি দুপুর নাগাদ গিয়েছিলাম ওই জন্য পুরোপুরি ফাঁকা ছিল। তবে বিকেল হলে এখানে প্রচুর লোকের সমাগম হয় এবং গান, আড্ডা, আনন্দ ফুর্তি, খাওয়া দাওয়া সবকিছু মিলিয়ে একটা জমজমাট পরিবেশ তৈরি হয় এই জায়গায়।

InShot_20240519_223032625.jpg

এটা হল প্রিন্সেপ ঘাটের আরও একটা বিখ্যাত জায়গা। জেমস প্রিন্সেপ এর স্মরণে এই স্থাপত্যটা তৈরি করা হয়েছিল। যদিও প্রথমদিকে পাবলিকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়ে এই জায়গাটা। তবে বর্তমানে তালা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ছোট বড় যে কোন ফাংশন এই জায়গায় অনুষ্ঠিত হয়। এই জায়গায় একটা আলাদা প্রশান্তি কাজ করে। গেলেই মনে হয় যে শুধু বসে থাকি।

InShot_20240519_223024352.jpg

এটা হল প্রিন্সেপ ঘাটের বিদ্যা সাগর সেতুর একটা অংশ। যেহেতু সেতুটা অনেকটা বড় এই জন্য একটা ক্যামেরায় সাধারণত পুরোটা কাভার করা যায় না। আর এই অংশটা স্থলভাগে অবস্থিত। আর যেটা গঙ্গার উপর দিয়ে চলে গেছে সেটা অন্য একটা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরেছি। বিশেষত রাতের বেলা এখানে এত সুন্দর করে লাইটিং করা হয় যেটা দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগে।

InShot_20240519_223016515.jpg

এটা একটা বিখ্যাত জায়গা তবে এটা কাপল জোন। বিশেষ করে কাপলরা এই জায়গায় এসে বসে এবং তাদের কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ড করে। আমার অবশ্য তাদের ডিস্টার্ব করার মোটিভ একেবারেই ছিল না। তারপরও আপনাদের দেখানোর জন্যই এখান থেকে ফটোগ্রাফি করা। তবে জায়গাটা এত শান্ত বিশেষ করে পাখির কলরব এবং মিষ্টি মিষ্টি বাতাস পরিবেশটাকে আরো বেশি রোমান্টিক করে তোলে।

InShot_20240519_222953726.jpg

এটাও গঙ্গা নদীর একটা ফটোগ্রাফি এবং তার উপর দেখা যাচ্ছে বিদ্যাসাগর সেতু এবং পাশে বেশ কয়েকটা রঙিন নৌকা। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে ফটোগ্রাফি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে এবং এই জায়গায় দাঁড়িয়ে গঙ্গার হাওয়া খেতে অসম্ভব একটা ভালো লাগা কাজ করে। বিশেষ করে নদীর ঢেউ যখন কুলে এসে আছাড় খায় তখন মনের ভিতর একটা অন্যরকম দোলা দিয়ে যায়। সেই ব্যাপারটা হয়তো আপনাদের দেখাতে পারবো না। তবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে কিছুটা দেখানোর চেষ্টা করলাম।

20240513_111632.jpg

গঙ্গার ঘাটে অধিকাংশ লোক যারা যায়, তারা এই ভিউ টা দেখার জন্যই যায়। গঙ্গার ধারে বসে গঙ্গার উপর দিয়ে চলে যাওয়া এই সেতুটা দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগে। জানিনা ফটোগ্রাফিতে কেমন লাগছে, তবে সামনা সামনি দেখতে কিন্তু অসম্ভব সুন্দর এবং এতটাই বড় যেটা সামনাসামনি না দেখতে উপলব্ধি করা যায় না। আপনারা খেয়াল করলে দেখতে পারবেন যে, এই সেতুর কেবলমাত্র দুটো পিলার। একটা গঙ্গার এই পাশে এবং অন্যটা অপর পাশের। মাঝখানে কোন প্লার নেই। আর এই কারণেই এই সেতুটা অনেক বেশি বিখ্যাত।


পোস্ট বিবরণফটোগ্রাফি
ডিভাইসpoco m6 pro
ফটোগ্রাফার@pujaghosh

আজ আর নয়। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারও নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।





🪔আমার পরিচয়🪔

InShot_20240217_224020693.jpg

আমি পূজা ঘোষ(রাজশ্রী)। বনগাঁতে বসবাস করি। আমি বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয় থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, বিজ্ঞান বিভাগে ।পাশাপাশি কম্পিউটার এবং স্পোকেন ইংলিশের কোর্স করেছি। বর্তমানে আমি ফার্মাসিতে অধ্যায়নরত । ভবিষ্যতে এইগুলো নিয়ে ভালো কিছু করার আশায় এগোচ্ছি। কবিতা আবৃত্তি করতে আমি খুবই ভালোবাসি। ছোটো বয়েস থেকেই কবিতা আবৃত্তি শিখছি। এছাড়া ছবি আঁকতে,ঘুরতে যেতে,নতুন নতুন খাবার খেতে,গান শুনতে,ফোটোগ্রাফি করতে আর মানুষের সাথে মিশতে ভালোবাসি।

🎯 সমাপ্ত🎯

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এককথায় অসাধারণ লেগেছে ছবিগুলো আর সেই সাথে আপনার মনের অনুভূতি মেশানো বর্ননা। জায়গাটা সত্যিই ভীষণ সুন্দর। আপনার বর্ননা শুনে আমার তো অন্তত একবার হলেও দেখে আসতে ইচ্ছে করছে এই অসাধারণ জায়গাটা। তবে যদি ভাগ্যে থাকে তাহলে কোন একসময় যাবো। যাইহোক কাপলদের বসার জায়গাটা কিন্তু বেশ ছিমছাম আর সুন্দর 😄
সবমিলিয়ে দারুন একটা পোস্ট উপহার দিয়েছেন আপু।

আপনার তোলা ছবিগুলো বেশ মনোমুগ্ধকর হয়েছে। প্রকৃতিঘেরা বাংলার রূপের চিরায়ত একটি ভাব ও ছাপ আছে ছবিগুলোতে।
তা অবশ্য ঠিক, আপনি যা বলেছেন যেমন প্রেম নিবেদনের আদর্শ জায়গা এটি, আমি বলি এ বিরান স্থানে রোমান্টিকতার কোন কমতি দেখতে পাই না।
যেখানেই তাকাই শুধু অনাবিল সৌন্দর্য্য আর ছায়াঘেরা বাতাসের ঝিরিঝিরি একটি সুবাস বইছে।

ধন্যবাদ, বিখ্যাত স্থানটি সম্পর্কে বর্ণনা দেয়ার জন্য। অবশ্য, সেতুটির চিত্রও বিচিত্র রকমের আকর্ষণীয়। 💐

আপনাদের ফটোগ্রাফি পোস্ট গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে ওপার বাংলার খুব সুন্দর সুন্দর জিনিস গুলো দেখতে পারি। আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হলাম। গঙ্গার ঘাট থেকে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। বেশ নিরিবিলি এবং শান্ত একটা জায়গা দেখে মনে হচ্ছে। ভালো লাগলো পরিবেশ দেখে।

আপু আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। প্রিন্সেস ঘাটের নাম এর আগেও শুনেছিলাম কিন্তু আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সেখানের বেশ কিছু ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এই জায়গাটা সত্যি খুব সুন্দর আর এমন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতেও খুব ভালো লাগে। তাছাড়া কাপল জোন জায়গাটার নাম শুনে যেমন ভালো লাগলো তেমনই এর ফটোগ্রাফি দেখেও খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

গঙ্গার ঘাট কিংবা নদীর পাড় হলো অন্যরকমের প্রশান্তির জায়গা। এই জায়গা গুলোতে গেলে এমনিতেই মন ভালো হয়ে যায়। শীতল বাতাসে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। দিদি আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।

গঙ্গার ঘাটে যাওয়ার আমার খুব ইচ্ছে রয়েছে। তাই আপনার প্রতিটি ছবিই বেশ মনযোগ দিয়ে দেখলাম। আমিও ওটাই ভাবছিলাম যে এত ফাঁকা কেন, পরে বুঝলাম দুপুর বেলার ছবি বলেই এত ফাঁকা, মানুষজন কম। ভগবানের ইচ্ছে থাকলে একদিন সামনাসামনি ই দেখবো এই জায়গাটা। প্রে করবেন আমার জন্য এই সামান্য ইচ্ছে যেন পূর্ণ হয়। জীবনের অন্তত একটা দারুণ প্রশান্তিময় বিকেল যেন এখানে বসে কাটাতে পারি!