নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আমার স্বরচিত কবিতা নিয়ে। আমার বাংলা ব্লগে যুক্ত হওয়ার পর থেকেই আমি প্রতি সপ্তাহে একটি করে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। কবিতা হল এমন একটা জিনিস যার মধ্যে দিয়ে আমরা আমাদের নিজেদের মনের ভাবকে খুব সহজেই প্রকাশ করতে পারি। কবিতা লিখতে যেমন আমি ভালোবাসি ,ঠিক তেমনি কবিতা আবৃত্তি করতেও আমি খুব ভালোবাসি। পাড়ায় যে কোনো অনুষ্ঠান হলেই কবিতা আবৃত্তিতে আমার নামটা খুব অসুবিধে না হলে আমি কখনো বাদ রাখি না। কারণ আমার মনে হয়, যত আমি আমার শেখা টাকে অনেক মানুষকে শোনাতে পারবো ততই আমি আমার নিজের ভুল ত্রুটি গুলো আরো বেশি করে সংশোধন করতে পারব। সে যাইহোক, সাপ্তাহিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্যই আমার আজকের কবিতা। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
লক্ষ্মী পূজা
নাড়ু, মোয়ার ছড়াছড়ি
চারিদিকে রকমারি
কেউ বা দিচ্ছে চিনির নাড়ু,
কেউ বা আবার গুড়ের নাড়ু।
সাথে আছে ফল প্রসাদ,
আপেল, লেবু,কলা , আঙ্গুর
এইটুকুতেই শেষ নয় ভাই,
মন্ডা - মিঠাই তাও যে চাই।
লক্ষ্মীর পা এর আলপনা যে ,
আঁকছে সবাই ঘরের মেঝেতে।
সাথে আছে ধানের ছড়া,
চারিদিক শস্য - শ্যামলা।
দুপুর থেকেই পুজো শুরু,
কাসর- ঘণ্টা বাজছে যে তাই।
উলু ধ্বনি, শঙ্খ ধ্বনি
দিচ্ছে সকল বধূ - রমণী।
মা লক্ষ্মীর আগমনে ,
ঘুচবে সবার দারিদ্রতা।
অভুক্ত আর রইবে না কেউ,
মা লক্ষ্মী করলে কৃপা।
অন্ন দাতা, ধন দাতা
থাকুক সবার ঘরে ঘরে।
দুঃখ - কষ্ট যাবে দূরে,
মা লক্ষ্মীর আগমনে।
কবিতার মূলভাব
লক্ষ্মী পুজো মানেই খই, মুড়কি, মোয়া আর নাড়ুর ছড়াছড়ি। প্রত্যেক ঘরে ঘরে পুজোর আগের দিন রাত থেকেই হয় চিনির নাড়ু না হলে গুড়ের নাড়ু করা শুরু হয়ে যায়। এছাড়া সাথে থাকে রকমারি ফল, যেমন - আপেল, কলা, আঙুর, শসা ইত্যাদি। তারপর আবার নানা রকমের মিষ্টি। কেউ কেউ আবার লুচি, খিচুড়িও তৈরি করে। সব মিলিয়ে দারুন আয়োজন। এছাড়া ঘরে ঘরে মা লক্ষ্মীর পা এর আদলে, ধানের ছড়ার আদলে, ফুল ইত্যাদির আদলে আলপনা আঁকা হয়। তারপর দুপুর থেকে উলু ধ্বনি, ঘণ্টা, কাসর প্রভৃতি বাজিয়ে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। মা লক্ষ্মী হলেন অন্ন দাতা, আবার তিনি ধনদৌলত এর দেবী। তাই মা লক্ষ্মীর আগমনে সকলের দারিদ্রতা দূরে যাবে । আর তাঁর কৃপায় চারিদিক শস্য শ্যামলা হবে।
পোস্ট বিবরণ | কবিতা |
---|
লক্ষী পূজা নিয়ে চমৎকার একটি কবিতা শেয়ার করলেন দিদি।ভীষণ ভালো হয়েছে।এই পূজোর বেশকিছু তথ্য কবিতার লাইনগুলোতে ফুটে উঠেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই কবিতাটি শেয়ার করার জন্য। সবাইকে লক্ষী পূজার অনেক শুভেচ্ছা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু, এই পুজোর তথ্যগুলো কবিতার লাইন গুলোর মাধ্যমে দেওয়ার চেষ্টা করেছি । ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি দেখছি আপনাদের আজকে ধর্মীয় একটা পূজাকে নিয়ে অনেক সুন্দর একটা কবিতা লিখেছেন। লক্ষ্মী পূজা কবিতাটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে পড়তে। এরকম কবিতা গুলো পড়তে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। কবিতার মূলভাব ও অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন আপনি। অনেকদিন পরে আপনার লেখা কবিতা পড়লাম আপু। সত্যি অসাধারণ লেগেছে সম্পূর্ণটা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কবিতাটি পড়তে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দর করে আজকের কবিতাটা শেয়ার করেছেন দিদি। কবিতার লাইন গুলো অনেক সুন্দর ভাবে লেখা হয়েছে।
আমার কাছে আপনার কবিতার উপরের এই লাইনগুলো পড়তে একটু বেশি ভালো লেগেছে। প্রত্যেকটা লাইন অনেক সুন্দর ভাবে ছন্দের সাথে ছন্দ মিলিয়ে লিখেছেন লক্ষী পূজাকে তুলে ধরে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কবিতার লাইনগুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই।ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যতদূর জানি লক্ষ্মী হচ্ছে ধনসম্পদের দেবি। উনি সংসারে থাকলে এগুলোর কখনো অভাব হয় না। এবং দূর্গাপূজার পরেই হয় তার পূজা। এটা নিয়ে কবিতা টা দারুণ লিখেছেন আপু। সত্যি বেশ চমৎকার লাগল। সবকিছু যেন এই কবিতার মধ্যেই প্রকাশ পাচ্ছে। অনেক সুন্দর । ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে কবিতা টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাই, লক্ষী দেবী ধন সম্পদের দেবী। আপনার কাছে কবিতাটি ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit