হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ৫ নভেম্বর , মঙ্গলবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।ভাইফোঁটা কেন দেওয়া হয়? আর কবে থেকে ভাইফোঁটার এই রীতি-নীতি প্রচলিত হয়?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবো আজকের পোষ্টের মাধ্যমে। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
সূর্যদেব এবং দেবী শরণ্যুর কন্যা ছিলো যম এবং যমী। যমী হলো যমুনা নদী। যমুনা অনেকবার তার ভাই যনকে তার বাড়িতে আমন্ত্রণ করে। কিন্তু যম নানান ব্যস্ততায় কখনোই তার দিদির বাড়ি আসার সুযোগ পেতেন না। এরপর একদিন কার্তিক মাসের শুক্লা পক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে যম তার দিদির বাড়ি আসেন। অর্থাৎ যম যমুনার বাড়িতে আসেন।
যমুনা তো তার ভাই যম কে দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে। যমুনা আনন্দে এবং প্রসন্নতায় তার ভাই যমের কপালে ফোঁটা দেন এবং বিভিন্ন পদ রেঁধে খাওয়ান। তখন থেকেই ভাই বোনের এই আনন্দ উৎসবকে ভাইফোঁটা আখ্যা দেওয়া হয়।
যম যমুনাকে ভাইফোঁটা উপলক্ষে বর চাইতে বলেন। তখন যমুনা, ভাইয়ের কাছে প্রতিজ্ঞা চাইলেন যে, যম প্রতিবছর কার্তিক মাসের শুক্লা পক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে যমুনার কাছে ফোঁটা নিতে আসবেন এবং যমুনা তাকে বিভিন্ন পদ রেঁধে খাওয়াবেন। এর পাশাপাশি যমুনা কামনা করেন যে, যেই দিদি বা বোনেরা এই শুভ দিনে ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেবে এবং নিজের হাতে রান্না করে ভোজন করাবে সেই ভাইদের কখনো যমের ভয় থাকবে না।
এছাড়াও যম পাশাপাশি এমন প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে দাদা বা ভাইয়েরা বোন বা দিদিদের তিরস্কার করবে তাদের তিনি যমপুরীতে নিয়ে যাবেন। তখন থেকেই প্রত্যেক বছর বোনেরা ভাইদেরকে এই তিথিতে ফোঁটা দিয়ে থাকেন। এছাড়াও এই তিথিতে ভাই এবং বোনেরা নরকযাত্রা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য একসঙ্গে গঙ্গাস্নান করে থাকেন।
অন্য একটি গল্পে দেখা যায়, কার্তিক মাসের শুক্লা পক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভয়ংকর নরকাসুরকে বধ করে বাড়ি ফিরে আসেন। শ্রীকৃষ্ণ যখন বাড়ির দরজায় এসে পৌঁছায় তখন তার বোন সুভদ্রা তাকে জয়টিকা পরিয়ে আদর আপ্যায়ন করেন। বিভিন্ন ধরনের পদ বেঁধে খাওয়ান। মনে করা হয় এই ঘটনা থেকেই ভাইফোঁটা উৎসবের সূচনা হয়েছিলো।
এই ধারাবাহিকতায় প্রত্যেক বছর বোনেরা তার ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় ভাইফোঁটা উৎসব পালন করে থাকেন। এই উৎসবে বোনেরা উপবাস করে, তার ভাইকে ফোঁটা দিয়ে,নিজের হাতে বিভিন্ন পদ রেঁধে খাওয়ান। বোনেরা তার ভাইয়েদের জন্য মঙ্গল কামনা করে থাকেন।
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14