হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২৪শে জানুয়ারি, শুক্রবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। বোনকে নিয়ে আমি অনেক ঘোরাঘুরি করি। এর আগে একটি পোস্টে বোনকে নিয়ে কামরুল হাসান পার্কে ঘোরাঘুরির পর্ব এক আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। ঘোরাঘুরি করার পরে আমরা খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। সেখানে ঘোরাঘুরির আরো কিছু মুহূর্ত আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
সেদিন আমরা বেশ কিছু সময় ঘোরাঘুরি করে ছিলাম এবং সেখান থেকে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আজ আরও কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব। সেদিন আন্টির সাথে কথা বলা শেষ করে আমরা চারটা টিকিট কেটে নিয়েছিলাম। প্রথমেই আমরা দুটো টিকিট নিয়ে টেনে ওঠার জন্য চলে গেলাম। এই ট্রেনে আমি আগে উঠেছি। এই খেলা গুলোর মধ্যে ট্রেনে উঠতেই বেশি ভালো লাগে। বোনেরো ইচ্ছে ছিল সে ট্রেনে উঠবে। সেজন্য আমরা দুজন মিলে ট্রেনে উঠে পড়লাম।
ট্রেনে উঠলে বিভিন্ন ধরনের গান বাজাচ্ছিলাম। শুধুমাত্র আমরা নয় খেলার ট্রেনে অনেক যাত্রী ছিল। গানের তালে তালে সবাই বেশ মজা করছিল। তাদের সাথে সাথে আমার বোন ভীষণ মজা পাচ্ছিল। আমাদের সঙ্গে উঠেছিল একটা অপরিচিত আংকেল। লোকটা ভীষণ মজার। আমাদের সাথে কথা বলছিল। বোনের সাথে তো অনেক মজার মজার গল্প করছিল। এভাবে মজা করতে করতে চার পাক ঘুরিয়ে ট্রেন আমাদের নামিয়ে দিল।
ট্রেন থেকে নেমে বোনকে জিজ্ঞেস করলাম এবার আমরা কি করব? বোন আমাকে বলল একটু ঘুরে আসি। আমরা দুজন কিছু সময় এদিকে ওদিকে আবার ঘোরাঘুরি করলাম। ঘোরাঘুরি করা শেষে বোন বায়না করল সে কাপে উঠবে। যেই কাজগুলো উপর দিয়ে এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে যাই। আমি তো এই ব্যাপারে ভীষণ ভীতু। তাই আমি প্রথমেই না করে দিলাম। এই কাপে উঠতে অনেক সাহসের প্রয়োজন। যে সাহস আমার ছিল না।
তারপর আমি বোনকে বললাম চলো আমরা চারিদিকে ঘোরে সেই কাপে উঠি। তখন বোন রাজি হয়ে গেল। তারপর আমরা এই খেলনা কাপে উঠে বসে পড়লাম। এই কাপে উঠতেও আমার অসুবিধা হয়। ভীষণ মাথা ঘোরে। বোনতো একা একা উঠতে ভয় পাবে সেজন্য ও সাথে সাথে আমিও সঙ্গ দিলাম। এখানেও চারপাশ ঘুরিয়ে নামিয়ে দিল। আসলে আমি নেমে পড়লাম। আমার প্রচন্ড মাথা ঘুরছিল সেজন্য আর বসে থাকতে পারলাম না।
কাপ থেকে নেমে প্রায় সন্ধ্যে হয়ে আসার মুহূর্ত এসে উপস্থিত হল। সন্ধি নামার আগেই আমরা পার্ক থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম। তারপর আমরা দুজন মিলে পার্ক থেকে বেরিয়ে আসলাম। অনেক তো ঘোরাঘুরি হলো এবার খাওয়া-দাওয়ার পালা। বোনকে জিজ্ঞেস করলাম তুমি কি খাবে। সে আমাকে বলল চলো তো আগে কলেজ মাঠে যাই। তারপর দুজনে মিলে কলেজ মাঠে চলে গেলাম।
তারপরে আমরা কলেজ মাঠে গিয়ে প্রথমেই গেলাম ঝাল মুড়ির দোকানে। ঝালমুড়ি আবার আমার খুব প্রিয়। কলেজ মাঠে গিয়েছি আর ঝাল মুড়ি খাইনি এরকম দিন খুব কম। তারপর দুজন মিলে ঝাল মুড়ি খাওয়া শেষ করে ফুচকা খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। তারপর দুজন মিলে হাঁটতে হাঁটতে ফুচকার দোকানে চলে গেলাম সেখানে গিয়ে দুজনে দুই প্লেট ফুচকা খেয়ে নিলাম। ফুচকা আবার আমার থেকে বোনের বেশি প্রিয়।
তারপরে আমরা বেরিয়ে আসবো এই মুহূর্তে চোখ পড়লো লুচির দোকানের দিকে। এখানে ৩০ টাকায় চারটা লুচি পাওয়া যায়। এখানকার লুচির রিভিউ আমি অনলাইনে দেখেছি। খেতে নাকি ভীষণ সুস্বাদু। সেজন্য আমরা লুচি দোকানে এসে এক প্লেট লুচি অর্ডার করে নিলাম। বোন আর খেতে পারছিল না। কোনমতে দুজনে চারটা লুচি শেষ করলাম। তারপর আমরা রুমে ফিরে আসা সিদ্ধান্ত নিলাম। রুমে আসার সময় বোনের জন্য মোরগ পোলাও কিনে এনেছিলাম। যাতে রাতে বোনের খিদে পেলে এটা খেয়ে নিতে পারে। সব মিলিয়ে ঘোরাঘুরিটা বেশ ভালো ছিল।
আজ এই পর্যন্তই।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ০৩ শে জুন ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
@tipu curate
;) Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted 👌 (Mana: 0/8) Get profit votes with @tipU :)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Daily Task
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কামরুল হাসান পার্ক জায়গাটি যে খুব সুন্দর তা আপনার তোলা এই ছবিগুলি দেখেই বুঝতে পারছি। আর সেখানে বোনকে নিয়ে দুজনে মিলে এত আনন্দ করেছেন দেখে ভালো লাগছে। মাত্র ৩০ টাকা টিকিট। কিন্তু সেই অনুপাতে জায়গা অনেক ভালো। দুই বোনে মিলে অনেকটা সময় আনন্দ করে কাটিয়েছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ এবারে পর্ব আরো চমৎকার আপু। প্রথম পর্বে অনেক কিছু জানতে পেরেছি আপনার ছোট বোনকে নিয়ে কামরুল হাসান পার্কে গেছিলেন। এই পর্বে বেশ ভালো খাওয়া দাওয়া করার গল্প শেয়ার করলেন। ফুচকার ফটোগ্রাফি দেখে খেয়ে নিতে ইচ্ছে করছে। আপনাদের সময় গুলো বেশ ভালোভাবে কাটালেন এবং উপভোগ করলেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমরা ইতোমধ্যে আপনার কামরুল হাসান পার্কে ঘোরাঘুরি প্রথম পর্ব টি দেখেছিলাম। আসলে এই পার্ক টি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুন্দর এবং সাজানো গোছানো। এধরনের সুন্দর সুন্দর বিনোদন পার্ক গুলোর মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনারা ঘোরাঘুরি করার পাশাপাশি বেশ দারুন একটি সময় উপভোগ করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit