মায়ের হাতের ভাপা পিঠা মানেই অতুলনীয় স্বাদ।

in hive-129948 •  16 days ago 

হ্যালো..!!

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি @purnima14 বাংলাদেশী,

আজ- ১৩ ই জানুয়ারি, সোমবার, ২০২৫ খ্রিঃ

কভার ফটো


1000161812.jpg



আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। কয়েকদিন ধরেই বেশ ভালই শীত পড়ছে। এই শীতে সন্ধ্যাবেলায় যদি পাওয়া যায় মায়ের হাত এই গরম গরম ভাপা পিঠা তাহলে কেমন হয় বলুন তো?কয়েকদিন হলো বাড়ি এসেছি। বাড়িতে এসেই মায়ের কাছে বায়না করেছিলাম ভাপা পিঠা খাবো।মা আমার বায়না পূরণ করতে পরেরদিন সন্ধ্যাবেলায় তৈরি করে দিয়েছিল গরম গরম ভাপা পিঠা। আজ সেই সম্পর্কে লিখব। আশা করি পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে দেরি না করে আমার পোস্ট দেখে আসা যাক।



1000161772.jpg

শীত আমার খুব প্রিয়।শীতের সাথে সাথে শীতের পিঠাও আমার খুব ভালো লাগে। আমাদের দেশে শীত এলে বাড়িতে বাড়িতে পিঠে পুলি ধুম পড়ে যায়। বাহারি রকমের পিঠে পুলিতে সাজে বাংলার প্রতিটি ঘর। কয়েক দিন হল বাড়ি এসেছি। যে কয়দিন মেসে ছিলাম তখন ভেবে রেখেছিলাম বাড়িতে গিয়ে কি কি পিঠা খাব। বাড়িতে আসার আগেই মাকে অনেক পিঠের নাম বলে রেখেছিলাম। মা বলেছিল বাড়িতে আয় তৈরি করে খাওয়াবো।

1000161769.jpg

বাড়িতে আসতে আসতে আমার সেদিন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। বাড়িতে এসে মাকে বললাম মা আমার ভাপা পিঠা খেতে ইচ্ছে করছে। আমার মা আমার বায়না পূরণ করার জন্য বলল কাল সন্ধ্যায় বানিয়ে দিব। আমিও বললাম আচ্ছা ঠিক আছে। পরের দিন বিকেলবেলা মা চাউল গুড়া করল। খুবই অল্প উপকরণে ভাপা পিঠা তৈরি করা যায়। তৈরি করতে উপাদান অনেক কম লাগলেও এর স্বাদ কিন্তু দারুন।

1000161778.jpg

সন্ধ্যেবেলায় মা চুলা জ্বালিয়ে নিল ভাপা পিঠা তৈরি করার উদ্দেশ্যে। আমি এবং আমার বোন মিলে মায়ের দুইপাশে বসে পড়লাম। শীতের সময় চুলার পাশে বসে আগুন পোহাতে দারুন লাগে। মা চলে জল বসিয়ে দিল। জল গরম করার পরে তার উপরে ভাপা পিঠা তৈরি করার ছাঁচ বসিয়ে দিলো।শীতের সন্ধ্যেই চারিদিকে কুয়াশা। গ্রামীন পরিবেশে রান্নাঘরে জলন্ত চুলার পাশে বসে আগুন পোহানোর মজাটা হয়তো উপভোগ না করলে বোঝা যাবে না। মা পিঠা তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা মায়ের পাশে বসে বিভিন্ন গল্প করছি মায়ের সাথে।

1000161766.jpg

তারপর মা চাউলের গুড়া এবং খেজুরের গুড় সাজিয়ে নিচ্ছে একটি পাত্রে। ভাপা পিঠার শেপ তৈরি করে ফুটন্ত গরম জলের উপর ছাঁচ বসিয়ে মা পিঠাগুলো তৈরি করা শুরু করল। ভাপা পিঠা তৈরি করতে খুব বেশি সময় লাগে না। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তৈরি হয়ে গেল গরম গরম ভাপা পিঠা। ভাপে সিদ্ধ করে পিঠাগুলো তৈরি করা হয় বলে একে বলা হয় ভাপা পিঠা।

1000161775.jpg

বেশি তো অনেকবার ভাপা পিঠা খেয়েছি তবে মায়ের হাতের গরম গরম মজাদার ভাপা পিঠা খাওয়া হয়নি। তাই ভাপা পিঠা তৈরি হতেই একটি গরম পিঠা আমি খাওয়ার জন্য তুলে নিলাম। ভাপা পিঠা খুব বেশি খাওয়া যায় না। তবে প্রথম প্রথম একটা দুইটা ভাপা পিঠা খেতে দারুন লাগে। মায়ের সাথে গল্প করছি আগুন পোহাচ্ছি সঙ্গে খাচ্ছি গরম গরম ভাপা পিঠা। মায়ের হাতের পিঠা খেতে এমনিতেও ভালো লাগে। শীতের রাতে এরকম পিঠা পেয়ে বেশ মজা করে খেয়েছিলাম।

1000161781.jpg

আমাদের মত যারা মেসে বা হোস্টেলে থাকে তারা শীত এলেই অপেক্ষা করে মায়ের হাতের পিঠা খাওয়ার।সেদিন পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগছিল। মনে মনে ভাবছিলাম কতইনা অপেক্ষা করেছি মায়ের হাতের এই পিঠা খাওয়ার জন্য। যেদিন থেকে শীত পড়েছে মন, ছুটেছে বাড়িতে । পরীক্ষার জন্য আসতে পারছিলাম না। অবশেষে বাড়ি এসে মায়ের হাতের মজার পিঠা খেতে পারলাম। আজকেও মা পিঠা তৈরি করছে। যতদিন থাকবো মজা করে পিঠা খেয়ে তারপর যাবো। মায়ের হাতের মজাদার পিঠার স্বাদ সত্যি অতুলনীয়।

আজ এ পর্যন্তই।



ছবির বিবরণ

ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৮ জানুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া



প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।



আমি কে !

Screenshot_20231102_205038_Facebook-01.jpeg

আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@purnima14



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
1000010658.png1000010689.png1000010690.png1000010699.png

Daily task

একদম আপু আমরা ছোটবেলা থেকে মায়ের হাতে তৈরি করা খাবারগুলো খেয়ে আসি। যেখানে আমরা যে খাবার খাই না কেন কিন্তু মায়ের খাবারগুলো খেলে অনেক তৃপ্তি পায়। আপনি ভাপা পিঠার রেসিপি শেয়ার করলেন অনেক ভালো লাগলো। বেশ মজার করে মায়ের হাতের তৈরি করা ভাপা পিঠা খেলেন আপনি।

আপু দারুন খুবই চমৎকার একটি অনুভূতি শেয়ার করেছেন। মায়ের হাতের তৈরি যেকোনো পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে। আপনি মেসে থাকতেই বাড়িতে গিয়ে মায়ের হাতের কি কি পিঠা খাবেন ভেবে রেখেছেন জেনে ভালো লাগলো। আমিও যখন বাড়িতে যাবো চিন্তা করি তার আগেই আপনার মতো বিভিন্ন পিঠার খাওয়ার কথা মা কে বলে রাখি। বাড়িতে গেলে মায়ের পাশে বসে পিঠা বানানো দেখতে ও খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লাগলো। তাছাড়া পিঠাগুলো দেখে লোভ লেগে গিয়েছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।

একে তো ভাপা পিঠের স্বাদ দুর্দান্ত। তার মধ্যে আবার যদি মায়ের বানানো হয় তবে তার স্বাদ অনেক বেড়ে যায়। আপনার পোস্ট করা প্রত্যেকটি ছবি দেখে আমারই খিদে পেয়ে গেল। ভাপা পিঠা খেতে আমারও ভীষণ ভালো লাগে। আর এত সুন্দর করে সযত্নে বানানো হলে তো কথাই নেই। এগুলি খেলে তো সেই স্বাদ আর ভোলা যাবে না। তবে পোস্টে ছবি দেখেই অনেক ভালো লাগলো। সামনে না পেলেও যেন মনে হল আস্বাদন গ্রহণ করলাম।

মায়ের হাতে তৈরি করা যে কোন ধরনের জিনিস খেতে একটু বেশি মজা লাগে। আপনি আপনার মায়ের হাতে তৈরি করা ভাপা খেয়েছেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। আসলে আমি ও এবছর আমার মায়ের হাতে তৈরি করা ভাপা পিঠা খেয়েছিলাম। আমার আম্মু ও ভাপা পিঠা তৈরি করতে বেশ পারদর্শী।

মায়ের হাতের যে কোন খাবারের স্বাদই আলাদা হয়। শুধু পিঠে পুলি নয় যেকোনো রান্না পৃথিবীর আর কোথাও খেলে মায়ের হাতের স্বাদ ঠিক পাওয়া যায় না। আপনার মত আমিও যখন হোস্টেল থেকে বাড়ি ফিরতাম তখন মায়ের কাছে বায়না করতাম এটা খাব ওটা খাব, মায়ের যেন কোন কষ্টই হতো না সবকিছু হাসিমুখে করে দিতেন। আপনার ব্লগ পড়ে আমার নিজেরও ফেলে আসা দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল।

মায়ের হাতের রান্নার কোন তুলনা নেই আপু। মা যেটাই রান্না করুক না কেন খেলে একদম তৃপ্তিটা ভরে যায়। আপনি আপনার মায়ের হাতের বানানো পিঠা খেয়েছেন।আর তা নিয়ে সুন্দর কিছু অনুভূতি শেয়ার করেছেন পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো। আমার মাও আমাদের সবার জন্য পিঠা বানাত। মা জানতো কার কোন পিঠা পছন্দ । সবার জন্য সেভাবেই পিঠা বানিয়ে রাখতো। মার হাতের পিঠা খেতে অনেক মিস করছি।

আমিও যখন বাইরে থাকতাম তখন বাড়িতে আসার পরেই আম্মুর কাছে অনেক পিঠা খাওয়ার আবদার করতাম বিশেষ করে শীতের সময় আমার কাছে ভাপা পিঠা রেসিপিটা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। সত্যি কথা বলতে আপনার এই পিঠা রেসিপি গুলো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে দিদি।

মায়ের হাতের যে কোন খাবার খেতে অনেক ভালো লাগে। আর পিঠাগুলো দেখেই তো বোঝা যাচ্ছে খেতে কতটা মজার হয়েছিল। আপু আপনি অনেক সুন্দর করে নিজের অনুভূতি উপস্থাপন করেছেন। আর পিঠাগুলো খুবই লোভনীয় লাগছে আপু।

মায়ের হাতে ভাপা পিঠা খাওয়ার মজায় অন্যরকম ।আসলে শীতকালে ভাপা পিঠা না খেলে জমেই না । আমি এবার বাড়িতে এসে ভাপা পিঠা খেলাম । গরম গরম ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই অন্যরকম ।

আসলে শীতকাল মানে বিভিন্ন ধরনের পিঠা পায়েসের আয়োজন। আর পিটা হলো শীতকালের অন্যতম একটা প্রিয় পিঠা। আর সেটি যদি হয় মায়ের হাতের তৈরি তাহলে তো আর কথা নেই। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পিঠার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ভাপা পিঠা আমার পছন্দের একটি পিঠা। মায়ের হাতের তৈরি যেকোনো পিঠা খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে।আপু আপনার মা অনেক লোভনীয়ভাবে ভাপা পিঠা তৈরি করেছে।পিঠা তৈরির প্রতিটি ধাপ ধারাবাহিকভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপু আপনি আমাদের মাঝে। মায়ের হাতের মজাদার পিঠা রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

মায়ের হাতের ভাপা পিঠা মানেই অতুলনীয় স্বাদ এ লেখাটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু । আসলে সত্যি মায়ের হাতের ভাপা পিঠা মানেই অতুলনীয় স্বাদ। মায়ের হাতে তৈরি করা গরম গরম ভাপা পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার ভাপা পিঠা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

আপু মায়ের হাতে যে কোন পিঠা খেতে বেশ মজাই লাগে। আপনি দেখতেছি বাড়িতে এসে বায়না ধরে মায়ের হাতে ভাপা পিঠা খেলেন। শীতকালে এই পিঠাগুলো খেতে বেশ মজাই লাগে। ধন্যবাদ ভাপা পিঠা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।