হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ১৫ ই নভেম্বর , শুক্রবার ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আজ আমি আমার স্বরচিত একটি কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। ছোটবেলা থেকেই কবিতা লিখতে আমার বেশ ভালই লাগে।
এক্সাম নিয়ে কম-বেশি আমরা সবাই একটু ভয় পায়। এক্সাম যত এগিয়ে আসে মাথার উপর তত চাপ বেড়ে যায়। এক্সাম এর আগে আমরা সবাই খুব ব্যস্ত সময় পাড় করি। যে করেই হোক এক্সামে সিলেবাস শেষ করতে হয় আমাদের। আজ আমি এক্সাম নিয়ে একটি কবিতা লিখেছি। আমার লেখা সেই কবিতাটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
পরীক্ষার প্যারা
কি ভীষণ টেনশন,
শেষ হয়নি পরীক্ষার প্রিপারেশন।
ভীষণ জ্বালার, পলিটেকনিক্যাল জীবন।
ক্লাস টেস্ট, কুইজ টেস্ট
লেগেই থাকে রোজ।
তিন মাসে মিডটার্ম,
ছয় মাসের কোর্স।
চিন্তায় মাথা ভারী ভীষণ,
কদিন পরে ফাইনাল এক্সামিনেশন।
দেড় বছর চলে গেছে,
খুব তাড়াহুড়োই।
পরীক্ষার দিন গুনতেই,
সময় ফুরোয়।
খাওয়া-দাওয়া, ঘোরাফেরা
সব ফেলে রাখি।
পনেরো দিন আছে সবে
পরীক্ষার বাকি।
পুরো সেমিস্টার দিয়ে এসেছি ,
পড়াশোনায় ফাঁকি,
এখনো সিলেবাস রয়েছে বাকি ।
বাবা বলে ফোন করে,
কত দূর পড়াশোনা?
রেজাল্ট ভালো করতে হবে
নইলে,
চাকরি হবে নাকি!
আমার বাবার দুচোখ ভরা
স্বপ্ন আমায় নিয়ে,
ইঞ্জিনিয়ার হতেই হবে
বাবার মুখ চেয়ে।
বাবার চোখের স্বপ্নগুলো
নিজের করেছি,
তাই তো অনেক কষ্ট করেও
স্বপ্নকে ধরতে চাইছি।
সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে
চলি আমি রোজ।
আর দুটি বছর পার করলেই,
শেষ হবে, চার বছরের ডিপ্লোমা কোর্স।
কবিতার সারমর্ম
পোস্টের বিবরণ
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কবিতাটি পড়তে পড়তেই পলিটেকনিক্যাল লাইফের স্মৃতিগুলো খুব মনে পড়ছে। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়ায় পরীক্ষা সারা বছর লেগেই থাকে। কবিতার প্রতিটি লাইন অনবদ্য হয়েছে। এখন ভালোভাবে লেখাপড়া করে মা-বাবার স্বপ্ন নিজের করে নিয়ে পূরণ করতে হবে। একাডেমিক লেখাপড়া শেষ করে অনেক বড় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হতেই হবে। সঠিক পথে কষ্টের ফল সবসময় সুমিষ্টি হয়। তোমার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু পরীক্ষা আসলে মানুষ এমনিতে প্যারাতে থাকে। আজকে আপনি পরীক্ষা নিয়ে খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন।পরীক্ষার প্যারা কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আর পরীক্ষা আসলে সবাই চাই সিলেবাজ শেষ করে ভালো কিছু পড়ালেখা করে ভালো কিছু আশা করে। চমৎকার অনুভূতি দিয়ে কবিতাটি লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি নিজে একজন ডিপ্লোমার ছাত্র। এইজন্য আমার চেয়ে আপনার কবিতা টা আর কেউ বেশি অনূভব করতে হয়তো পারবে না। আমি নিজেও এগুলো সহ্য করে এসেছি।
তবে আমাদের আমরাও এইরকম জ্বালায় ছিলাম। এটা স্বাভাবিক হবেই। তবে সবচাইতে বেশি বিরক্তিকর লাগত পরীক্ষার আগে স্যারে রা অনেক অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে দিত। দারুণ লিখেছেন কবিতা টা আপনি। পড়ে বেশ ভালো লাগল আমার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit