হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ১৫ ই জুন, শনিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি বর্তমানে লেভেল চারে আছি, আমি এখন থেকে আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করবো। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। কয়েকদিন আগে তৃতীয় সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হলো। প্রতি সেমিস্টারেই পরীক্ষার রুটিন দেওয়ার পর থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বেশ চাপে থাকতে হয়। প্রতি সেমিষ্টারেই ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে অনেক ভালো। আজকে আমি তৃতীয় সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা শেষের অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
১২ই জুন প্রাক্টিকাল পরীক্ষা শেষের দিন। সেদিন আমাদের পরীক্ষা ছিল ১:৩০ মিনিট থেকে। সবাই অনেক খুশি কারণ সেদিন পরীক্ষা শেষ হয়ে যাবে। পরীক্ষা শেষ হলে নিজেদেরকে অনেকটা মুক্ত পাখির মত লাগে। মনে হয় যেনো অনেক বড় একটা বোঝা কাঁধ থেকে নেমে গেল। আমরা সবাই যথারীতি সময়মতো ক্যাম্পাসে চলে আসি। আমাদের পরীক্ষাটা মূলত ১৩ই জুন শেষ হওয়ার কথা ছিলো।
অনেক কষ্ট করে আমাদের ডিপার্টমেন্টের প্রধানের সাথে কথা বলে এক দিনে দুইটা তিনটা করে পরীক্ষা দিয়ে তারপর লাস্ট পরীক্ষার ডেটটা আমরা ১২ই জুন নিয়েছিলাম। আমাদের ডিপার্টমেন্টের প্রধানের কথা ছিলো যেই তারিখে যেই পরীক্ষা রুটিন দেওয়া আছে সেই অনুযায়ী আমাদের পরীক্ষা দিতে হবে। প্রথমে আমাদের পরীক্ষার ডেট ১৫ তারিখ পর্যন্ত ছিলো তারপর সেটা ১৩ তারিখ করা হয়েছিলো। সবাই যেহেতু ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাবে তাই আমরা অনেক কষ্ট করে ১২ তারিখে শেষ পরীক্ষার ডেটটা নিয়েছিলাম।
আমাদের শেষ পরীক্ষা ছিল আমাদের ডিপার্টমেন্টের একটা সাবজেক্ট কনস্ট্রাকশন প্রসেস পরীক্ষা। আমাদের ম্যাম বলে দিয়েছিলো আমাদের ভাইবা হবে । ম্যামের কড়া নির্দেশ ছিল ভাইভাতে যে, পারবেনা তাকে মার্ক দেওয়া হবে না। ম্যামকে দেখে আমরা সবাই একটু ভয় পেতাম তাই সবাই নিজেদের পড়া রেডি করে সময় মতো ক্যাম্পাসে চলে যাই। ঠিক একটা তিরিশ মিনিটে আমাদের পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়। প্রথমে ম্যাম আমাদের একটা ব্যবহারিক লিখতে দেয় আমরা সেটা লিখি।
তারপর পর্যায়ক্রমে রোল অনুযায়ী এক এক করে ম্যাম সবার ভাইবা নিতে থাকে। ভাইভা পরীক্ষা সবাই বেশ ভালোই দিয়েছিলো। যথারীতি নিয়ম মতো পরীক্ষা চলার কারণে পরীক্ষা সময়মতো শেষ হয়ে যায়। দুপুর তিনটা নাগাদ সেদিন আমাদের পরীক্ষা শেষ হয়। সবাই অনেক খুশি হয় আজ পরীক্ষা শেষ। আমরা এখন থেকে চতুর্থ পর্বে উঠে গেলাম। পরীক্ষা শেষে সবাই অনেক মজা করে কলেজের মধ্যে। সবাই মিলে গল্প করি, মজা করে ছবি তুলি এবং আমাদের গ্রুপ ফটো তুলি।
পরীক্ষাগুলো সব পরপর হওয়ার কারণে পরীক্ষার এই কয়দিন আমাদের উপর অনেক ধকল গিয়েছিলো। যেহেতু সামনে ঈদ সেহেতু সবার বাড়ি যাওয়ার আগ্রহটা প্রতিবারের তুলনায় অনেক বেশি ছিলো। অনেকে তো আগে থেকেই ট্রেন, বাসের টিকিট কেটে রেখেছিল যাতে এক্সাম শেষ হতে না হতেই বাড়ি চলে যেতে পারে। প্রায় সবগুলো ডিপার্টমেন্টের পরীক্ষা আমাদের আগে শেষ হয়ে গিয়েছিলো। সেদিন ক্যাম্পাস পুরো ফাঁকা শুধু আমাদের ডিপার্টমেন্ট পরীক্ষা দিচ্ছে। আমাদের ডিপার্টমেন্টের অষ্টম পর্বের বড় ভাই আর আপুদের ও সেদিন শেষ পরীক্ষা ছিলো।
সেদিন পরীক্ষা শেষে আপু ভাইয়ারা অনেক কান্নাকাটি করছিলো। তাদের আর এই প্রিয় ক্যাম্পাসে ফেরা হবেনা এটা ভেবে হয়তো কান্না করছিলো। তাদের কান্নাকাটি দেখে সত্যি খুব খারাপ লাগছিলো । আমাদেরও হয়তো একদিন এভাবেই চলে যেতে হবে আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাসে ছেড়ে।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১২ ই জুন ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বেশ অনেক ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোস্ট। আশা করি আপনি সুন্দর একটা স্মৃতি ধরে রাখলেন। আর এই স্মৃতি আজীবন থেকে যাবে এই অ্যালবামে। যাই হোক আপনার আজকের এই সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার শেষে বন্ধুদের সাথে একত্রে এই ছবি দেখে অতীতের বেশি অনেক স্মৃতি মনে পড়ল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক থেকে ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি তে ডিপ্লোমা শেষ করেছি ২০২৪ এর মার্চে। আপনার পোস্টে কলেজ গেট এবং মাঠের ছবিটা দেখেই বুঝে গিয়েছিলাম। এই মাঠটা অনেক পছন্দের জায়গা ছিল আমাদের। প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার যন্ত্রণা সম্পর্কে খুব ভালো অনূভুতি আছে হা হা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শুনে ভালো লাগলো আপনি আমাদের ইনস্টিটিউটের একজন প্রাক্তন ছাত্র। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit