চার বান্ধবী মিলে চায়ের সাথে কাটানো মুহূর্ত।

in hive-129948 •  3 months ago 

হ্যালো..!!

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি @purnima14 বাংলাদেশী,

আজ- ৩ ই জুন, বুধবার, ২০২৪ খ্রিঃ



কভার ফটো

FunPic_20240703_183402184.jpg

কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি বর্তমানে লেভেল চারে আছি, আমি এখন থেকে আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করবো। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি নতুন পোস্ট শেয়ার করবো। মাঝে মাঝে মনকে ভালো রাখার জন্য ঘোরাঘুরি করা খুবই দরকার। ঘোরাঘুরি করলে আমাদের মন অনেক ভালো থাকে। চার বান্ধবী মিলে ঘোরাঘুরি করার সুন্দর মুহূর্তটি আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।



সেদিন কলেজে গিয়ে দুটি ক্লাস করার পরে কেউ আর ক্লাস করতে চাচ্ছিল না। যেহেতু অনেকদিন পরে কলেজ খুলেছে আর সবাই এখনো বাড়ি থেকে আসেনি তাই ক্লাসে অনেক কম স্টুডেন্ট উপস্থিত হয়েছিলো সেদিন। সে কারণেই আমরা কেউই ক্লাস করতে চাচ্ছিলাম না। সেদিন ছিলো বৃষ্টির দিন।

Gallery_1719987253490.jpg

দুপুরবেলায় বেশ মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছিলো । যদিও বিকেলে তেমন বৃষ্টি ছিলো না গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছিলো। দুই পিরিয়ড করার পর আমরা বান্ধবীরা মিলে ঠিক করলাম আমরা চা খেতে যাবো। অনেকদিন ধরেই আমরা ভাবছিলাম আমরা কোথাও যাবো। আমরা চার বান্ধবী মিলে কখনো কোথাও যাওয়া হয়নি ।

Gallery_1719987187429.jpg

কুষ্টিয়ার লাহিনি বটতলার বিখ্যাত পোড়ারুটি আর সর চা অনেক মজাদার। আমরা চার বান্ধবী মিলে সেখানেই যাবো ঠিক করলাম। আমরা প্রায় বিকেল চারটার দিকে চার বান্ধবী মিলে একটা রিকশা ঠিক করে বেরিয়ে পড়লাম লাহিনি বটতলার উদ্দেশ্য। চার বান্ধবী একটা রিকশায় যেতে বেশ মজা লাগছিলো।

Gallery_1719987221698.jpg

আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমরা চার বোন মিলে এক রিকশায় যেতাম। বেশ ভালো লাগতো। সেদিন আবার চার বান্ধবী মিলে এক রিকশায় যাওয়ার সময় মনে পড়ে গেল সেই ছোটবেলার মুহূর্ত। এখন চার বোন ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় থাকি এখন আর আগের মতো মজা করা হয় না। এসব ভাবতে ভাবতে এবং চার বান্ধবী মিলে বেশ মজা করে গল্প , গান করতে করতে চলে গিয়েছিলাম কুষ্টিয়ার বিখ্যাত লাহিনি বটতলার পোড়ারুটি এবং সর চা এর ঠিকানায়।

Gallery_1719987327351.jpg

আমাদের কলেজ থেকে সেখানে যেতে মাত্র ১৫ মিনিট সময় লেগেছিলো। এই স্বল্প সময়েও আমরা অনেক মজা করেছিলাম। সেখানে পৌঁছে আমরা ব্রিজের সামনের দোকানটাতে গেলাম। দোকানের আংকেল আমাদের দেখিয়ে দিলো পুকুরের মধ্যে একটা সুন্দর জায়গা। যদিও সে জায়গাটা আমরা আগে খেয়াল করিনি পরে আমরা বুঝতে পারলাম সেখানেই চা পরিবেশন করা হয়।

Gallery_1719987302803.jpg

তারপর আমরা চার বান্ধবী মিলে বেশ গল্প এবং মজা করছিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে দোকানদার আঙ্কেল আমাদের চারজনের জন্য চার কাপ চা এবং চারটা পোড়া রুটি নিয়ে আসলো। আমরা সবাই মজা করে খেলাম। সত্যি বলতে চা টা অনেক অনেক ভালো লেগেছে। তারপর আমরা চার বান্ধবী মিলে খাওয়া শেষ করে চায়ের বিল দিয়ে আমাদের গন্তব্যে চলে আসার জন্য রওনা দিবো এমন সময় আমার এক বান্ধবী বলল চায়ের দোকানের পিছনে নাকি একটা সুন্দর জায়গা আছে যেখানে শরৎকালে অনেক কাশফুল ফোটে। আমরা বললাম আচ্ছা তাহলে যাওয়া যাক।

Gallery_1720011838595.jpg

তারপর যেতে যেতে ভাবছিলাম এখন তো শরৎকাল ও না আর কাশফুলও ফোটে না এখন গেলে শুধু কাশফুলের গাছ দেখতে পাবো। তারপর আমরা সেখানে চলে আসলাম সত্যি সত্যি শুধু কাশফুলের গাছ ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেলাম না। সেখানে এসে আমরা চারজন অনেক মজা করেছি। সেখানে কোনো মানুষ ছিলো না বেশ ফাঁকা এবং শান্ত পরিবেশ ছিলো খুবই ভালো লাগছিল সেখানে সময় কাটাতে। মনে হচ্ছিল চারজন যেন মুক্ত পাখির মতো উড়ছি। সেখানে বেশ খানিকটা সময় আমরা কাটালাম। সেখান থেকে অনেক ভিডিও করেছিলাম আমরা। যেহেতু বৃষ্টির দিন কখন বৃষ্টি চলে আসবে তাতো ঠিক নেই। তাই আমরা ভাবলাম এবার আমাদের নিজেদের গন্তব্যের দিকে যেতে হবে। তারপর আবার আমরা চারজন একটা রিক্সা করে চলে আসলাম।

Gallery_1719987362418.jpg

আসার সময়ও আমরা প্রচুর মজা করেছি। আসার সময় আমরা যখন গান করছিলাম তখন আমাদের সাথে সাথে আমাদের যে রিকশাওয়ালা মামা ছিলো সেও গান করছিল বিষয়টা আমাদের সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। বেশ সুন্দর এবং অনেক মজার মুহূর্ত সেদিন চার বান্ধবী মিলে উপভোগ করেছিলাম।



ছবির বিবরণ

ডিভাইস: ভিভো ওয়াই-২০
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ০১ ই জুন, সোমবার,২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া



প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।



আমি কে !

Screenshot_20231102_205038_Facebook-01.jpeg

আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@purnima14



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

![Gallery_1719987438557.jpg](https://cdn.steemitimages.com/DQmR9mRBi8MNm3kv7oHhzqZhGDkLEEe2LTxbvG9sjGyWuTd/Gallery_1719987438557

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

তোমার পোস্ট পড়ে পলিটেকনিক লাইফের স্মৃতি মনে পড়ে গেলো আমরাও এমন মজা করতাম। কুষ্টিয়া লাহিনী বটতলার পোড়া রুটি আর চা বেশ বিখ্যাত। তোমরা চার বান্ধবী মিলে দেখছি সেদিন খুব মজা করেছো। বান্ধবীদের সাথে এমন ঘোরাফেরা ও আড্ডা সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকবে। আবার কুষ্টিয়া গেলে এটা খেতে হবে 😋 তোমার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।

অবশ্যই কুষ্টিয়া আসলে এই চা খেয়ে যাবেন। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আসলে বন্ধুদের সাথে কাটানো সময় এমনিতেই অনেক সুন্দর হয়ে থাকে, আরো যদি হয়ে থাকে বিকেলে চায়ের দোকানে বৃষ্টির মৌসুমে তাহলে ব্যাপারটা পুরাই অন্যরকম হয়ে যায় । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য । আপনার জন্য শুভকামনা রইল ।

আসলেই বৃষ্টির মৌসুমে বিকেলে চায়ের আড্ডাটা বান্ধবীদের সাথে বেশ জমে ছিলো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

চার বান্ধবী মিলে খুব সুন্দর ইনজয় করে ফেলেছি। মাঝেমধ্যে এমন বাইরের পরিবেশে আনন্দ করার মধ্যে বেশ ভালো লাগা রয়েছে। আর সাথে যদি প্রাণপ্রিয় বান্ধবীরা থাকে তাহলে তো আনন্দের শেষ থাকে না। যাইহোক খুবই ভালো লাগলো আপনাদের এই চা পানের মুহুর্ত।

সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।

আপনারা চার বান্ধবী মিলে তাহলে কলেজে দুটো ক্লাস করার পর বেশ মজা করেছিলেন সেদিন। স্বর চা আর পোড়া রুটি কখনো খাইনি। কারণ চা আমি খুব একটা খাই না। তবে দেখে মনে হচ্ছিল চা টা খেতে বেশ মজার ছিল। আবার আপনারা সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন। সব মিলিয়ে সুন্দর একটা উপস্থাপনা ছিল।

হ্যাঁ আপু চা টা অনেক মজার ছিলো।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

বান্ধবীদের সাথে সময় কাটাতে আমারও খুবই ভালো লাগে। আপনি বেশ দারুণ কিছু মুহূর্ত বান্ধবীদের সাথে উপভোগ করেছিলেন এবং সেই সুন্দর মুহূর্তগুলোকে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। বান্ধবীরা মিলে খুবই মজা করে ছিলেন।চা ও পোড়া রুটি খেয়েছিলেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

হুম আপু বান্ধবীদের সাথে সময় কাটাতে অনেক ভালো লাগে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।