এই জমিদার বাড়ি মূলত মুক্তাগাছার জমিদার বংশের উত্তরসূরী নিঃসন্তান মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য্য চৌধুরী এর।তিনি তার দত্তক পুত্র এর নাম অনুসারে এই জমিদার বাড়ির নাম করণ করেন।এটি ছিল দুই তালা বিশিষ্ট একটি বাড়ি।যার তৈরির অধিকইরিরু উপকরন আনা হয়েছিল প্যারিস এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে। কিন্তু ১৮৯৭ সালের জুন মাসে প্রবল ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হওয়ার পর ১৯০৫ খ্রিঃ হতে ১৯১১ খ্রিঃ এর মধ্যে মহারাজ শশীকান্ত পুনরায় একতলা বিশিষ্ট স্থাপনাটি নির্মাণ করেন।এটির প্রবেশের মুখেই রয়েছে খিলানাকৃতির প্রবেশ তোরণ।এরপরে সবুজ ঘাস পালা দিয়ে সুন্দর করে সাজানো।আবার একটি সুন্দর ভাস্কর্য।আসলে ভিতরের কিছু দৃশ্য দেখলেই বোঝা যায় যে এটি কতো যত্ন করে এবং কতো দুষ্প্রাপ্য অলংকার দিয়ে এটি তৈরি করা হয়েছিল।
এটি হচ্ছে মূল ফটক।শহর থেকে অটোতে করে গেলে ৩০ টাকার মতো ভাড়া নেয়।আমরা নাম্বার পরেই দেখলাম এইরকম একটি গেইট।এরপরে এখানে আবার টিকেটের কেটে ভিতরে ঢোকা লাগে।আমরা ৪ জন ছিলাম।এরপরে টিকেট কেটে ভিতরে চলে গেলাম।
ভিতরে ঢোকার পরেই এইরকম সুন্দর পরিবেশ দেখে আসলে মনটা জুড়িয়ে গেলো।যা আসলে বলে বোঝানো সম্ভব না।অন্যরকম একটা ফিল কাজ করতেছিল।বিশেষ করে সবুজ গাছপালা দেখে।
ভিতরে ঢুকে আমি একটা ছবি তুলে নিলাম কালের সাক্ষী হতে।যাই মনে একটা শান্তি কাজ করতেছিল।কারন সুন্দর একটা পরিবেশ এখানে।চারপাশের ফুল সবুজ গাছপালা দেখে মনাত শান্তিতে ভরে গেলো।
এই দুইটা হচ্ছে বাহিরে এবং ভিতরের ঢোকার গেট।আসলে তাদের কতটা অভিজাত অবস্থায় ছিল বাড়ির অবস্থা দেখে বোঝা যায়।
আমি আসেপাশে ঘুরে ঘুরে ছবি তুলতেছিলাম।আসলে কিছু জিনিস দেখে অবাক হইলাম যে তাদের জীবন জাত্রার মান কেমন ছিল।আর তাদের বাড়িগুলো খুব নিখুঁত ভাবে তৈরি করা।যা এখনকার ডিজিটাল যুগে সম্ভব না।
ভিতরে ঢোকার পরেই তাদের ব্যাবহার করা আসবাবপত্র দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।খুব ভালো লাগলো দেখে।আর অনেক কিছু শেখা যায় এইরকম পুরাতন জিনিস দেখে।
এরপরে ভিতরে ঘুরে ঘুরে দেখে বিভিন্ন মুরতি,সিন্ধুক এবং বিভিন্ন প্রানির কংকাল এর ছবি তুলে নিলাম।এগুলো খুব সুন্দর করে সাজানো রয়েছে।আসলে এগুলো ছবি তোলা নিশেধ।কিন্তু আমি ভিতরে গিয়ে দারোয়ান এর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এই ছবিগুলো তুলেছিলাম।
এরপরে আমরা পিছনে গিয়ে দেখি এইরকম সুন্দর একটি দুইতলা বাড়ি এবং এর সাথে একটি পুকুর।যা দেখতে আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লাগতেছিল।এরপরে আসলে আমাদের সব কিছু দেখা শেষ।এরপরে আমরা এখান থেকে মূল ফটকে চলে আসি এবং জমিদার বাড়ির ভ্রমণ শেষ করি।
আর এভাবেই আমি শেষ করলাম আমার জমিদার বাড়ি শশীলজ ভ্রমন কাহিনীর অভিজ্ঞতা।যানি না কতটুকু তুলে ধরতে পেরেছি আপনাদের মাঝে।যদি কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমার চোখে দেখবেন।সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।দেখা হবে অতি শীঘ্রই।
ফটোগ্রাফি | রবিউল ইসলাম |
---|---|
ডিভাইস | Realme 7 Pro |
ছবি তোলার স্থান | লোকেশন |
আমি রবিউল ইসলাম। আমার স্টীমিট আইডি @rabiul365। আমি একজন বাংলাদেশি।আমি আমার দেশকে নিয়ে গর্ববোধ করি।কারন আমি আমার মায়ের ভাষায় কথা বলি।দেশ আমার ভাষা আমার।আমি বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছি।আমি একজন সপ্ন বিভোর মানুষ।সপ্ন দেখতে পছন্দ করি।ভ্রমন আমার খুব পছন্দের কাজ।ভ্রমন ভালবাসি।মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবকে প্রকাশ করতে আঁকাআঁকি করে থাকি।চেষ্টা করি নতুন কিছু করার,কারন সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
https://steemitwallet.com/~witnesses
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাংলাদেশের এই জমিদার বাড়িগুলো দেখতে সত্যিই বেশ দারুন হয়। তখনকার সময়ের এত চমৎকার আর্কিটেকচার গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। ময়মনসিংহ জেলার জমিদার বাড়ি নিয়ে আমার তেমন কোনো অভিজ্ঞতাই ছিল না। আপনার পোস্টটি থেকে অনেক কিছু জেনে নিলাম। ভালো থাকবেন ভাইয়া এবং শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ময়মনসিংহ জেলার জমিদার বাড়ি আপনি ভ্রমনের করেছেন তা আমাদের মাঝে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন। জমিদার বাড়ি বলে কথা ভাইয়া দেখতে তো সুন্দর লাগবে। মূর্তি এবং কংকাল এর ছবিগুলো দেখতে আমার কাছে বিশেষ করে অনেক ভালো লেগেছিল। দোতলা বাড়ির সঙ্গে যে পুকুরটি রয়েছে সত্যি বলতে পুকুরটি দেখতে খুবই সুন্দর আমি এর আগে দেখেছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ময়মনসিংহ জেলার জমিদার বাড়ি ভ্রমণ করেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। আসলে ভ্রমণের মুহূর্তগুলো খুবই চমৎকারভাবে কাটিয়েছেন । আপনার পুরো পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই চমৎকার ছিলো। এত দুর্দান্ত পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দেখে তো মনে হচ্ছে খুবই মজা এবং আনন্দের সাথে কেটেছে আপনার দিনটা। খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ঘুরতে ঘুরতে। আমি তো না গিয়েই দেখে ফেললাম ময়মনসিংহ জেলার জমিদার বাড়ি শশীলজ। সত্যি এক কথায় অসাধারণ ছিল আপনার আজকের এই পোস্ট। আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit