স্মৃতিচারণমূলক কবিতা: হারিয়ে ফেলা শৈশব।। চলুন নস্টালজিয়ায় ভাসি

in hive-129948 •  10 months ago 

আসসালামু আলাইকুম/আদাব। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে যে বিষয়টি নিয়ে লিখতে যাচ্ছি সেটা হলো আমাদের বাল্যকাল। আমাদের প্রতিটি মানুষের জীবনে একটি করে মধুল বাল্যকালের স্বৃতি আছে। ছোটো বেলার দিনগুলো কখনো ভুলার মতো নয়। বড় হওয়ার সাথে সাথে জীবন যান্ত্রিকতার চাপে আজ সেই দিনগুলো আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু রয়ে গেছে স্বৃতি গুলো। চলুন সকলে মিলে স্বৃতির পুনরাবৃত্তি ঘটাই কবিতায় আর ভেসে চলি একরাশ নস্টালজিয়ায়।

IMG_20231225_082046.jpg

  কবিতা: হারিয়ে ফেলা শৈশব 

একটুখানি শৈশবে ফিরে যাওয়া যাক।
বসন্তের মাতাল হাওয়ায় বৃক্ষের পাতাঝরার দিন,
গ্রাম্য পথের ধুলাবালি শরীরে মেখে একাকার আমরা।
পড়নে গজ কাপড়ের সেলাই করা হাফ প্যান্ট,
সাথে একটা সেন্ড্রু গেন্জি হলেই দিন চলে যেতো।
শুক্রবার,স্কুল ছুটির দিন।
ভোর হতেই ঘুম থেকে উঠে পেটের ক্ষুধা নিবারনের অপেক্ষা।
খাওয়া হতেই বাড়ি থেকে লাপাত্তা হওয়ার পায়তারা।
ঝটপট বের হয়ে পরতাম বন্ধুর খোঁজে ,
দিনভর খেলাধুলা চলবে ভাবতেই আনন্দে আত্মহারা।
খেলাধুলার সামগ্রী বলতে আধুনিক কোনো খেলনা নয়।
বেয়ারিং দিয়ে বানানো দুই চাকা তিন চাকার গাড়ি,
টাকা হিসেবে ব্যবহার হতো কাঁঠাল পাতা,
আর ক্রয় পন্য হতো ঘাস,লতাপাতা, ফল-পাকুড়, ফাল্গুনের শিমুল ফুল সহ আরও কত কি।
তারপর পুরোদস্তুর চলতো খেলাধুলা।
শুক্রবার জুম্মার দিন,
আযান হলেই ভেসে আসতো মায়ের ডাক,
গোসল সেরে বাবার সাথে রওয়ানা দিতাম মসজিদে।
নামাজের আগে মসজিদের বারান্দায় ছুটোছুটি করতাম,
মুরুব্বিরা বকাও দিতো বেশ।
নামাজ শেষে মিলাদ খাওয়ার অপেক্ষা।
অতঃপর বাড়ি ফিরে দুপুরের খাবার খেয়েই টিভির ঘরে দৌড়,
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সাদাকালো টিভির বিটিভির পর্দায় তখন বাংলা সিনেমার জমজমাট আসর।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধা তারপর রাতের খাবার খেয়ে শান্তির ঘুম।
এভাবেই বেয়ারিং গাড়ির পেছনে ছুটতে ছুটতে কখন যে বড় হয়ে গেলাম।
এখন কাঁঠালের পাতার টাকা আর চলে না,
কাগজের টাকা আয়ের নেশায় বুদ হয়ে আছি।
জীবন আজ যান্ত্রিকতার পেছনে ছুটতে গিয়ে সঙ্গী শুধুই ক্লান্তি,
হারিয়ে গেছে শৈশব, হারিয়েছে ছুটির দিনের আত্নতৃপ্তির শান্তি।

কবিতাহারিয়ে ফেলা শৈশব
লেখকরাফিউল
তারিখ২৫ ডিসেম্বর

fb_img_1637320163592.jpg

fb_img_1637320151121.jpg

FB_IMG_1637320272699.webp

বন্ধুরা কবিতাটি আপনাদের কেমন লেগেছে জানাবেন। আপনাদেরকে কি নস্টালজিয়ায় ভাসাতে পেরেছি কমেন্ট করে জানাবেন। আর সকলকে ধন্যবাদ কবিতাটি পড়ার জন্য।।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনি কমিউনিটি রুলস ভঙ্গ করেছেন। আপনি নিজের ফটো অথবা কঁপিরাইট ফ্রী ফটো ছাড়া আপনার পোষ্টের মধ্যে ব্যবহার করতে পারবেন না।

কমিউনিটির নিয়মাবলী :
https://steemit.com/hive-129948/@rme/last-updated-rules-of-amar-bangla-blog-community-16-aug-22

যে কোন বিষয়ে জানার প্রয়োজন হলে আমাদের সাথে Discord এ যোগাযোগ করুন।

Discord server link: https://discord.gg/ettSreN493

Source: Unknown