আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
১৯ শে জুন ২০২৩ খৃস্টাব্দ ।
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগন কেমন আছেন ?আমি ভালো আছি । আশা করি আপনারা ও ভালো আছেন ।প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি ,আমি আজকে একটা গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।গল্প লিখতে কিংবা পড়তে আমার বেশ ভালোই লাগে।অনেক ইচ্ছে হল একটি গল্প লিখার জন্য তাই বসে পরলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
অন্তি শহরের মেয়ে।বেশ মর্ডান। পরিবারের আর্থিক অবস্থাও বেশ ভালো।তাই ফ্যাশন করতে ও তেমন বাধা নেই। পরিবারও বেশ মর্ডান।পড়ালেখায় তেমন ভালো না।মোটামুটি টেনে টুনে পাশ আরকি।
তবে মোবাইল যত যা প্রোগ্রাম সব ব্যবহারে বেশ পারদর্শী। এমন ফোনে ফেসবুক চালাতে চালাতে একটি ছেলের সাথে পরিচয়।প্রথমে ফ্রেন্ডশিপ। বেশ ভালোই চলছে তাদের ফ্রেন্ডশিপ। কেউ কাউকে দেখেনি তবে দুইজন দুইজনকে বেশ ভরসা করে।
একদিন তারা দেখা করে অন্তি বেশ দুর্বল হয়ে পরে ছেলেটির প্রতি তবে ছেলেটি ফ্রেন্ডশিপ কেবল ফ্রেন্ডশিপের বাহিরে কিছুই ভাবে না।তবে অন্তি নানারকম ভাবে বুঝাতে চায় কিন্তু ছেলেটি বুঝে না।
আসলে ছেলেটি অন্তি এর চেয়ে আরো বেশি মর্ডান তাই সে বিভিন্ন মেয়েদের সাথে চলাফেরা।যাই হোক এভাবে দিন যাচ্ছিলো।একদিন অন্তির এর বাসায় এক কাজিন বেড়াতে আসলো।অন্তি তার কাজিনের সাথে ছেলেটির ব্যপারে শেয়ার করলো।
ও ছেলেটির নাম হচ্ছে সৈকত।তখন তারা একটি বুদ্ধি বের করে।অন্তি তার কাজিনরে দিয়ে সৈকতের সাথে কথা বলাবে, দেখা যাক সৈকত কথা বলে নাকি।যেই ভাবা সেই কাজ অন্তি তার কাজিনরে দিয়ে সৈকতের সাথে রং নম্বর পরিচয়ে কথা বলায়।
সৈকতও কথা বলে।সৈকত এখন অন্তিকে খুব কম সময় দেয় অন্তির কাজিনের সাথেই বেশি কথা বলে।একবার ছেলেটি প্রস্তাব দেয় দেখা করার জন্য,তখন অন্তির কাজিন অন্তিকে সব ঘটনা জানায়।
অন্তি বলে দেখা করার জন্য,তবে অন্তিও যাবে কিন্তু লুকিয়ে থাকবে।যাই হোক ডেট ফিক্সড হলো তারা দেখা করতে গেলো অন্তির কাজিনরে দেখে সৈকতের ভালো লেগে যায়,কিন্তু কাজিন তো আর পছন্দ করে না।
আস্তে আস্তে অন্তির কাজিন সৈকতের সাথে কথা বলা কমিয়ে দেয়,কারন সে একটু পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত।যাই হোক অন্তি তারপরও সৈকতকে ভালোবেসে যায়।একদিন অন্তির বাবা মা কিছুটা আচ করতে পারে।
অন্তি কেমন জানি পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। তারা তাড়াতাড়ি অন্তির জন্য ছেলে খুঁজছে। অন্তির খালা একটা প্রস্তাব আনলো। ছেলেটি দেখতে শুনতে বেশ ভালো এবং সুদর্শন। এবং মোটামুটি ভালো একটি চাকরি করে।তবে গ্রামের ছেলে তো খুব বেশি মর্ডান না।যাই হোক অন্তিকে বুঝিয়ে শুনিয়ে ছেলেটির সাথে দেখা করালো।ছেলেটির সাথে অন্তির দেখা হলো।
যদিও ছেলেটির সুন্দরের তুলনায় অন্তি কিছুই না তবে অন্তির মা বাবার ব্যবহার এবং ভালো অভিভাবক দেখে ছেলেটি অন্তিকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যায়।এর মধ্যে অন্তি কিছুটা রাজি আর রাজি ও না।তারপরও পরিবারের সবাই বুঝানের পর অন্তি রাজি হলো।
তাদের কাবিন ও হলো খুব তাড়াতাড়ি পরে বড় করে প্রোগ্রাম হবে।তবে সমস্যা হচ্ছে অন্তি হচ্ছে শহরের মেয়ে বেশ মর্ডান জিন্স শার্ট পরে অভ্যস্ত,কিন্তু ওর হ্যাসবেন্ড হচ্ছে গ্রামের ছেলে সে এগুলা দেখে অভ্যস্ত না। এমনকি এগুলা পছন্দ করেও না।
যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার লেখা কিছু ভুল সিদ্ধান্ত গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। অন্তি পড়ালেখায় তেমন পারদর্শী না। তবে মোবাইলের প্রত্যেকটা বিভিন্ন রকম এপ্স চালানোর প্রতি অনেক পারদর্শী বুঝতেই পারছি। ফেসবুকে এরকম একটা ছেলের সাথে কথা বলতে বলতে ফ্রেন্ডশিপ করে নেয়। আস্তে আস্তে যদিও সে ছেলেটাকে ভালোবেসে ফেলেছিল, কিন্তু ছেলেটি ছিল অন্তির থেকে আরও অনেক বেশি মর্ডান এবং সে আরো অনেক মেয়ের সাথে ঘোরাফেরা করতো। এরপর অন্তি তার কাজিন এর সাহায্য নেয়। শেষে যখন তার বাবা-মা কিছুটা বুঝতে পেরেছিল তার পরিবর্তন দেখে, তাই ওনারা বিয়ে দেওয়ার জন্য ছেলে খুঁজতে থাকে। আরো অনেক কষ্টের ছেলেটার সাথে অন্তির দেখা করায়। সে একটু একটু রাজি ছিল আবার রাজিও ছিল না। পরবর্তীতে কি হবে তা দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দর একটা গল্পের পোস্ট করেছেন আপনি যা দেখে খুব ভালো লেগেছে। অন্তির গল্পটা পড়ে খুব ভালো লাগলো। অন্তি অনেক ছটফটে এবং মডেল মেয়ে। পড়াশোনার সম্পর্কে তেমন ধারণা না থাকলেও মোবাইলের অ্যাপস গুলোর প্রতি ধারনা তার অবশ্যই রয়েছে বুঝতে পারলাম। সে যে ছেলেটাকে ভালোবাসতো সে ছিল তার থেকেও মডার। তারপরে তার কাজিন এর সাহায্য নেয়। তার মা বাবা তার আচরণের পরিবর্তন দেখেই তার মা কিছুটা এই বিষয়টা লক্ষ্য করে, যার জন্য তারা ওর জন্য পাত্র খোঁজা শুরু করে দেয়। সব মিলিয়ে সম্পূর্ণটা পড়ে ভালো লাগলো। আশা করছি পরবর্তী পর্ব খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন। অপেক্ষায় থাকলাম সেই পর্বটির জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে অন্তির মডার্ন ভাব গ্রাম অঞ্চলে একেবারেই গ্রহণযোগ্য না। আপনার গল্পটি পড়ে মনে হচ্ছে অন্তির স্বামী অন্তিকে নিয়ে বেশ একটা সমস্যার সম্মুখীন হয়ে যাবে। যাহোক আপনার এই চমৎকার গল্পের পরবর্তী পর্বটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit