ছোটবেলার পিকনিক এর গল্প।

in hive-129948 •  10 months ago 

আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
১৫ পৌঁষ ১৪৩০বঙ্গাব্দ ।

১০ ই জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ।


এখন ষড়ঋতুর শীতকাল ।

মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ

friends-6679925_1280.jpg

source

কি লিখবো কি লিখবো করে সারাদিন কেটে গেলো।আসলে এত দিন আমার পোস্ট রেডি থাকতো আজ দেখি সব গুলো শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই ভেবে পাচ্ছিলাম না কি লিখবো।আজ আমি মজার একটি ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আসলে সকলের জীবনে বেশ কিছু মজার মজার ঘটনা আছে,যা মাঝে মাঝে মনে হলে বেশ ভালো লাগে আর কিছু কিছু ঘটনা বেশ আপসোস লাগে।

ছোটবেলার স্মৃতি গুলো মনে পরলে বেশ আবেগ প্রবন হয়ে যাই। বার বার মনে হয় ছোটবেলাটা অনেক ভালো ছিলো।আর ছোট বেলায় মনে হতো কবে যে বড় হবো।এখন বড় হয়ে হারে হারে টের পাচ্ছি বড় হয়ে নানান রকম ঝামেলা।আমার মনে হয় প্রায় প্রতিটি মানুষকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় ছোট বেলা ফিরে পেতে চায় কিনা সবাই মনে হয় বলবে হ্যা।কারন ছোটবেলাটাই বেশ ভালো ছিলো।


ছিলো না কোন চিন্তা, বিকেল করে সব বয়সীদের সাথে বিকেল বেলা খেলা গল্প আরো কত কি।একবার আমরা সমবয়সী মিলে ঠিক করলাম আমরা সবাই মিলে পিকনিক করবো।আমরা আগে পিকনিক কে ঝোলা পাতিল বললাম।তারপর আমরা কয়জন ঠিক করতাম।পিকনিকের ডেট ঠিক হলে তো আমার ঘুমই আসতো না কবে খেলবো।যাই হোক তারপর সবাই মিলে মেন্যু ঠিক করতাম।ছোট বেলায় ডিমের উপর একটা ভালো আর্কষণ ছিলো।



আমাদের এখানে আগে শীতের সময় বিভিন্ন রকম সবজি চাষ হতো।সেখান থেকে আমরা সবাই মিলে শাক তুলতাম। কত যে মশার কামড় খেতাম এই শাক উঠানোর সময়।তারপর যার যার বাড়ি থেকে চাল, ডিম, আলু, পেয়াজ ও তেল আরো কত কি নেওয়া হতো।

তারপর আমরা সবাই মিলে ইট দিয়ে চুলা তৈরি করতাম। তারপর রান্না করার জন্য শুকনো পাতা কিংবা কাঠ গাছের ডাল সংগ্রহ করতাম।তারপর মেয়েরা সবাই মিলে কাটা, ধোয়া এবং রান্না করা হতো।তখন তো আর রান্না জানতাম না তবে সবাই মিলে অনেক মজা করতাম।আমরা আগে ডিম সিদ্ধ করতাম, তারপর শাক বেছে তারপর শাক ভাজি করতাম।


কখন লবন বেশি হয়তো আবার কখনও কম হতো কিন্তু রান্না করতে বেশ মজা লাগতো ডিম রান্না করে খাবার গুলো একপাশে ডেকে রেখে যে যার বাসায় যেতাম গোসল করে রেডি হয়ে থালা বাসন নিয়ে আসার জন্য।তখন রান্না এত জানতাম না তবে সবাই মিলে খাবার খেতে বেশ ভালো লাগতো।লাড়কি দিয়ে রান্না করাতে পাতিলে কালি লাগানো থাকতো সেই কালি অনেক সময় মুখে লেগে থাকতো অনেক সময়,বড়রা এই সব দেখে খেতে চাইতো আমরা ও ভাত বেঁচে থাকলে কিংবা নিজে রা কম খেয়ে তাদেরকে দিতাম।



বেশির ভাগ সময় শীতকালেই এই পিনকিন করা হতো।এখন আর সেই দিন নেই খুব মিস করি। এখন ও তো ব্যস্ততার জন্য একজন আরেকজনের সাথে দেখাই হয় না।কখন যদি আমাকে বলতো তুমি তোমার জীবনে একটি ইচ্ছে পুরন করতো তাহলে আমি আমার ছোটবেলাকে চাইতাম।

আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।

এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ

device Galaxy A13
LocationDhaka

Banner.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht

20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

আপনার এই গল্প পড়ে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল আমরাও কিন্তু শীতকালে বেশি পিকনিক করতাম কারণ সবাই শীতের ছুটিতে বাড়িতে আসতো সব ভাইবোনেরা একসাথে হতে পারতাম।

Posted using SteemPro Mobile

এমন পিকনিক করেনি এরকম মানুষ খুজে খুব কমেই পাওয়া যাবে।এই লবন বেশি তরকারি কিংবা শাক খেতে অমৃত লাগতো।এখনো গ্রামের বাচ্চাদের ডিম দিয়ে পিকনিক খাওয়ার প্রবনতা লক্ষ্য করা যায়।ধন্যবাদ আপু সুন্দর শৈশবের পিকনিকের পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আমি আমার নিজেরও কিছু স্মৃতিচারণ করে ফেললাম।

বড় হওয়ার সাথে সাথে আমাদের জীবনে ঝামেলা বাড়তেই থাকে, এটা সবার ক্ষেত্রেই হয় আপু। আমাদের শৈশবের মেমোরি গুলো সত্যিই অনেক সুন্দর ছিল। ছোটবেলার এই স্মৃতি গুলো মনে পরলে আমরা সবাই আবেগ প্রবন হয়ে যায়। যাইহোক, এই পিকনিক করার গল্পটি পড়ে আমার নিজের শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল। এই একই ভাবে ইটের তৈরি চুল করে আমরাও রান্না করতাম। এইসব করতে গিয়ে কোনো বার তরকারিতে লবণ বেশি দিয়ে দিতাম আবার কোন বার কম । তখন আমরা রান্না করার বিষয়টা ভালো করে না বুঝলেও যা রান্না করা করতাম তাই খেতে টেস্টি লাগতো।