ছোটবেলার চাঁদরাত ।[10% 𝕭𝖊𝖓𝖊𝖋𝖎𝖈𝖎𝖆𝖗𝖎𝖊𝖘 𝖋𝖔𝖗 @𝖘ʜʏ-ғᴏ𝖝🦊]

in hive-129948 •  3 years ago 

আমি @rahimakhatun
from Bangladesh

১৯ ই বৈশাখ , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

২মে ২০২২ সোমবার ।


এখন ষড়ঋতুর গ্রীষ্মকাল।

মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ

ঈদ মোবারাক

[source]

সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।আমাদের এক মাস রোজা রাখার পরে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদের দিন।এই দিনে ধনী গরিব এক সাথে কোলাকুলি করে।যাই হোক আমি আমার ছোটবেলার চাঁদরাতের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আগে যখন আমাদের আগে যখন আমাদের ২৯ রমজান ছিলো,তখন আমাদের টান টান উত্তেজনা ছিলো।আজকে চাঁদ উঠবে কিনা।কোন রকম ইফতারি করে সাথে সাথে বাহিরে চলে যেতাম চাঁদ দেখতে। ছোটবেলায় তো আমাদের ছাদ ছিলো না।তখন আশে পাশে যাদের ছাদ ছিলো তাদের ছাদে যেতাম চাঁদ দেখতে।যদি চাঁদ দেখতে পেতাম তাহলে বাসায় এসে টিভি ছেড়ে আমার প্রিয় একটি গান শুনতাম।

ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।

তারপর আর কি, কে কিভাবে মেহেদী দিব,সেই চিন্তা তখন নতুন নতুন এই রকম টিউব মেহেদী বের হয়েছিলো।আমার বড় আপু তখন মেহেদী দিয়ে দিতো।মাঝে মাঝে মেহেদী দিতে দিতে ঘুম চলে আসতো।তারপরও মেহেদি উঠাতাম না।বেশিক্ষন রাখলে বেশি করে কালার হবে।তারপর শুকিয়ে গেলে হাতে পানি লাগাতাম না।সরিসার তেল দিতাম কালার বেশি হবে তাই। কার কত লাল হয়েছে ,ঐটা নিয়ে বলতাম। মজার মজার শুনতাম বড়দের কাছে। কে কোন জামা পরবো ,তাই নিয়ে আলোচনা করতাম। আর যদি মেচিং মেচিং তাহলে কত খুশি। কার কয়টা জামা তা নিয়ে আর কে কার আগে সকালে ঘুম থেকে উঠবে তা নিয়ে চলতো আলোচনা।যাই হোক তারপর বাজি ফুটাতাম।খুবই মজা করতাম।এখন আর সেই আনন্দটুকু পাই না কেন জানি। বড় হয়েছি বলে কিনা জানি না।কেন জানি আজকে বেশ মনে পরেছে সেই ছোটবেলার কথা তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। যাই হোক আবার আসবো অন্য কোনো ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন।সবার ঈদ অনেক ভালো কাটুক এই প্রত্যাশায় শেষ করছি।

ধন্যবাদ সবাইকে

device =samsung SM-A217F

Location = Dhaka

photograpy = story

Banner.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার ছোটবেলার চাঁদরাতে স্মৃতি পড়ে বেশ মজা পেলাম। বেশ কিছু ব্যাপার আমার সঙ্গে মিলে গেলো। নজরুলের বিখ্যাত গানটা না শুনলে আমার এখনও মনে হয় যে ঈদের আনন্দ পরিপূর্ণভাবে পাইনি। ছোটবেলায় যখন টেলিভিশনে ঘোষণা দেয়া হতো আগামীকাল ঈদ। তারপরেই এই গানটি বেজে উঠতো। তখন ঈদের আনন্দে সবাই মাতোয়ারা হয়ে উঠতো। চমৎকার ভাবে লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

এই গানটা আমার এখনো বেশ ভালো লাগে।তবে আগের দিন গুলো বেশ ভালো ছিলো।এখন এর চেয়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।

সত্যি বলেছেন আপু ওই সময় চাঁদ দেখার একটা অন্যরকম মজা ছিল, টিভিতে ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে গানটা ঈদের আমেজ কারো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতো, ছোটবেলা আমিও হাতে মেহেদি দিয়েছি অনেকবার। আমাদের সেই ছোটবেলার আনন্দময় মুহূর্ত গুলো এখনকার ডিজিটাল বাচ্চারা বুঝবে না। 😂

খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছুর সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারলাম আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।

আসলেই, ইফতারের কোন রকম করেই সাথে সাথে চলে যেতাম চাঁদ দেখার জন্য।বেশ ভালো দিন ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে।শুভেচ্ছা রইলো্

আপনার এই পোষ্ট পড়ে সত্যি ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল ছোটবেলায় চাঁদ রাত্রে ছিল যেন এক সুন্দর এবং মনোরম কিছু মুহূর্ত। অনেকটা দিন অপেক্ষা করার পরে এ রকম একটি রাত আসত সেটা হচ্ছে চাঁদ রাত সেই রাতে অনেক মজা করতাম বন্ধুদের সঙ্গে। ধন্যবাদ আপনাকে সেই পুরনো স্মৃতির কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য সত্যিই সেই দিনগুলো খুব মিস করি ভীষণ রকম ভাবে।

এখনো যাই আমি🤭
তবে কখনো চাঁদ আর দেখতে পেলাম না ঈদের আগের রাতে।কিন্তু পরে জেনেছি মেরুর এই গোলার্ধে থেকে চাঁদ দেখা সম্ভব ও না তবে যন্ত্র থাকলে আলাদা ব্যাপার😁।তবে ধীরে ধীরে এইসব আগ্রহ অনেকটাই কমে যাচ্ছে।

তাই,, মাঝে মাঝে দেখতে পেরেছিলাম, মাঝে মাঝে পাই না।😉😉।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

ঠিক বলেছেন আপু ছোটবেলায় যখন ঈদের চাঁদ দেখার জন্য সবাই একসাথে বের হতাম সময়টা অনেক মজাদার ছিল এখনো সময় তাকে অনেক মিস করি। চাঁদ দেখা শেষ হবার পরের পর্ব ছিল কিভাবে হাতে মেহেদি নিব একটি পুরো ব্যাপারটা আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে

আমি ও বেশ মিস করি,চাঁদ
রাতে সবাই মিলে বের হতাম রাত দেখতে, তারপর ধুম পরতো।মেহেদী দেওয়ার। এখন আর মেহেদী দেওয়া হয় না।😔😔।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে।

ছোটবেলাটা যে ছিল খুবই আনন্দময়, তাকে ভুলতে পারেনা। আমরাও ইনজয় করতাম এই চাঁদ দেখার সময়টা। মাঝেমধ্যে মেঘলা আকাশ থাকার কারণে চাঁদ দেখতে পারতাম না। তবে টিভিতে যখন ঘোষণা দিতে হবে এবং এই গজটি শুরু হয়ে যেত আমরা আনন্দে আনন্দিত হয়ে লাফাতে শুরু করতাম।

হুম মেঘলা আকাশের জন্য চাঁদ দেখা যেতো না।তখন টিভি ছেড়ে দেখতাম যেই ঐ গানটা হতো বেশ ভালো লাগতো।ভালে ছিলো আপনার মতামতগুলো।ধন্যবাদ আপনাকে।শুভেচ্ছা রইলো।

আমাদের ২৯ রমজান ছিলো,তখন আমাদের টান টান উত্তেজনা ছিলো।আজকে চাঁদ উঠবে কিনা

আসলে আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু ইফতারি করার সাথে সাথেই আমরা বাইরে চলে যেতাম চাঁদ দেখার জন্য। কিন্তু বর্তমানে আমাদের প্রযুক্তি এতটাই উন্নতি হয়ে গেছে যার ফলে আমরা এখন আর বাইরে যায়না চাঁদ দেখার জন্য তাই আমরা সেই ছোটবেলার অনুভূতিগুলো এখন পায় না চাঁদ দেখার মধ্যে। অনেক মিস করি সেই দিনগুলোকে।