আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
৮নভেম্বর ২০২৪খ্রিস্টাব্দ ।
|
---|
অনেক সময় খারাপ কিংবা ভালো স্বপ্ন মিলে যায়।প্রতিটি মানুষের তার, তার জায়গা থেকে থেকে লক্ষ্য নিয়ে স্বপ্ন দেখে।এই যেমন ছোট বেলায় আমার বেশ স্বপ্ন ছিলো আমি ডাক্তার হবো, বেশ ইচ্ছে ছিলো সাদা এপ্রোন পরে রোগীর চিকিৎসা করবো কিন্তু কিসের কি মেডিকেল কলেজের ধারে কাছেও যেতে পারলাম না।ভর্তি পরীক্ষাতেই বাদ পরে গেলাম।আমার বেশ ইচ্ছে ছিলো হোস্টেলে থাকবো।তারপর পড়লাম ইন্জিনিয়ারিং সেক্টরে সেখানেও ইচ্ছে ছিলো পড়া শেষ করে ভালো একটা চাকরি করবো নিজের মত করে চলবো।
নিজের অসম্পূর্ণ ইচ্ছে গুলো পূরন করবো,কিন্তু সেটাও হলো না থার্ডইয়ারে বিয়ে হয়ে গেলো।তারপর পড়াটা শেষ করতে পেরেছিলাম কিন্তু চাকরি আর করতে পারিনি।সংসার গুছানো নিয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিলাম নিজেকে নিয়ে ভাববার সময় পায়নি।তারপর যখন চারপাশে বলছিলো পড়াশুনা শেষ করেছি আমার প্রতিষ্ঠিত হওয়া দরকার।তখন ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলে দেখি একেকজনে ভালো ভালো চাকরি করে ভালো ভালো জায়গায় আছে।যারা আমার থেকেও খারাপ স্টুডেন্ট ছিলো কিংবা সিজিপিএ কম ছিলো তারাও ভালো পজিশন রয়েছে।
আমিই পিছিয়ে রয়েছি।আসলে স্বপ্ন দেখাটা সহজ তা বাস্তবে রুপ দেওয়া সহজ নয়।তারপর ভাবলাম আসলেই আমার কিছু একটা করা দরকার।তারপর কোচিং শুরু করলাম।ছেলে তখন নয়মাসের বাচ্চা।ওকে মায়ের কাছে রেখে রেখে যেতাম কোচিং। তারপর হয়ে গেলো একটা কলেজে চাকরি।বেশ ভালো ই ছিলো।আমার ছোট বাচ্চা আছে বিদায় সেখানে সুযোগ ও ছিলো।কিন্তু সেখানেও কাজ করার পর যখন বাসায় ফিরতাম তখন রাস্তা থেকে দেখতাম ছেলে জালানা র পাশে জালানার গ্রিল ধরে দাড়িয়ে থাকতো আমার অপেক্ষায় কখন আমি আসবো।ছোটবেলায় আমার ছেলেটা বেশ শান্ত স্বভাবের ছিলো আমাকে জালাতো না এমনকি ওর নানুকেও না।তবে খাওয়া নিয়ে বেশ বিরক্ত করতো।
খেতে একেবারে চাইতো।কয়েকদিন যাওয়ার পর দেখি ছেলেটা বেশ অসুস্থ হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া নিজের সংসার আর ছেলেকে নিয়ে তাল মিলাতে পারছিলাম না।কারন ছেলেকে মায়ের বাসায় দিয়ে গেলে ছেলে নিয়ে আবার বাসায় যাওয়া বেশ কষ্ট কর ছিলো।আমার বাসা থেকে মায়ের বাসা খুব বেশি কাছে না।তার উপর মায়ের ও বয়স হয়েছে মা ও একা এই বয়সে বাচ্চা পালতে পারবে না।পরে ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে চাকরিটা ছেড়ে দিলাম।তারপর ভাবলাম উদ্যোক্তা হবো।
ছোট খাট বিজনেস করি।কিন্তু বাসা থেকে দিবে না।কি আর করার বাসার মতামত ছাড়া কিছুই করা যাবে না।আস্তে আস্তে নিজেকে নিয়ে স্বপ্ন কমে গেলে ছেলে বড় ইচ্ছে তাকে নিয়ে একেকটা স্বপ্ন দেখি।কিন্তু ছেলে দিন দিন এত দুষ্ট হচ্ছে তাকে নিয়ে আমার পাহাড় সমান স্বপ্ন পূরন হবে কিনা আল্লাহ ভালো জানে।তারপর ও কি আর স্বপ্ন দেখা বাদ দেওয়া যায়, যায় না।মানুষ এই স্বপ্ন কে পুজি করে জীবন কাটিয়ে দেয়।একটার পর একেকটা ভাঙ্গে মানুষ আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখে।বয়স অনুযায়ী স্বপ্ন একেক রকম।
কিংবা একেক প্রতিষ্ঠিত মানুষ একেক জিনিস নিয়ে স্বপ্ন দেখে।যেমন যার একটা জায়গা আছে তার স্বপ্ন জায়গাতে বাড়ি কত সুন্দর করে করবে,যার বাড়ি আছে তার স্বপ্ন বাড়িটাকে কিভাবে সাজাবে আবার যার দুইটায় আছে তার চিন্তা একটা গাড়ি কিনবে কিভাবে।আবার যে রিক্স চালায় তার স্বপ্ন ভাড়ায় না চালিয়ে কিভাবে নিজের করে নিবে।এভাবেই মানুষ স্বপ্ন দেখে।কেউ স্বপ্ন পূরন করতে নানা অসৎ উপায় বেছে নেয় কেউ আবার পরিশ্রমের মাধ্যমে স্বপ্ন পূরন করে।আসলে পরিশ্রম করে স্বপ্ন পূরন করার মজাই আলাদা।বেশ গর্ব হয় আর শান্তি লাগে আর অসৎ উপায়ের কথা বলতে পারবো না,তাদের হয়তো খারাপ ভালো মনে থাকে না তাদের অসৎ উপায়ে পূরন করাটাই পরম আনন্দের।
কথা বলতে বলতে আজকে আপনাদের সাথে অনেক কথা শেয়ার করে ফেললাম।আসলে প্রতিটি মানুষের জীবন এমনি।যাই হোক আবার আসবো অন্যকোন দিন অন্যকোন পোস্ট নিয়ে সেই অব্দি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit