৬ এ আষাঢ় ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
১৮জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ।
|
---|
কোরবানির মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে।নিজের ত্যাগ স্বীকার করে আল্লাহর কাছাকাছি চলে আসার উদ্দেশ্য। আল্লাহ ঘোষণা দিয়েছিলেন।কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রক্ত কিংবা মাংস পৌঁছায় না পৌছায় শুধু তাকওয়া এবং আন্তরিকতা।বর্তমান কোরবানি র মত হযরত ইব্রাহিম (আঃ) সময় থেকে প্রচলন ঘটে।
সে অনেক বড় কঠিন পরীক্ষার মাধ্যমে কোরবানির প্রচলন হয়।হযরত ইব্রাহীম (আঃ) যখন বৃদ্ধ হয় তখন তার একটি পুএ সন্তান হয়।অনেক চেষ্ঠার ফলে তার বৃদ্ধ বয়সে একটি পুএ সন্তান হয়।তার ভীষণ প্রিয় একমাএ সন্তান ছিলো।একদিন তাকে আল্লাহ স্বপ্ন দেখালো সে যেন তার প্রিয় জিনিসকে কোরবানি দেয় তখন তিনি কিছু উট কোরবানি দেয় তখন তাকে স্বপ্ন দেখানো হয় তখন আবার তিনি আরো বেশি উট কোরবানি দেয় কিন্তু আবার আল্লাহ তায়ালা স্বপ্ন দেখান তখন তিনি বেশ চিন্তায় পরে যায় কি করবে না করবে।
যেহেতু তার প্রিয় বস্তুকে কোরবানি দিতে বলেছে, তার উপর উট দিলেও হচ্ছে না, তার প্রিয় বস্তু মানেই তার সন্তান। সন্তান কে কিভাবে সে কোরবানি দিবে কি করবে না করবে।তখন তার পুএ ইসমাইল কে সব খুলে বললো। তারপর ইসমাইল বললো আল্লাহ যা নির্দেশ করেছে তা পালন করতে,তাতে তার কোন সমস্যা নাই । পরে আরকি ইসমাইল এর চোখ বেধে কোন নীরব জায়গায় ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করতে যায়, কিন্তু জবাই হয় না পরে পাথরে চেক করে দেখে ছুরি ধারালো কিনা কিন্তু দেখে পাথর দুই ভাগ হয়ে পরে আবার চেষ্টা করে কিন্তু ইসমাইল এর একটা পশম ও কাটে না।
পরে একটা সময় দেখে জবাই হয়ে গিয়েছে তার ও চোখ বাধা ছিলো পরে যখন চোখে খুলে তখন দেখে আল্লাহ নির্দেশে ফেরেশতা ইসমাইল কে সরিয়ে দুম্বা দিয়েছে আর ইব্রাহিম (আঃ) সেই দুম্বা কে জবাই দিয়েছে।আসলে আল্লাহ তাকে পরীক্ষা করার জন্য স্বপ্ন দেখিয়ে ছিলো। আর সে নিজের ত্যাগের বিনিময়ে আল্লাহ নৈকট্য চলে গিয়েছে।এরপর থেকে কোরবানি প্রচলন হয়েছে। আসলে এই কোরবানির মাধ্যমে অনেক গরীব মানুষ বছরে অন্তত একদিন পেট ভরে খেতে পারে মাংস দিয়ে। আসলে ঈদ মানেই আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া।
কোরবানি হচ্ছে ধনীদের জন্য ওয়াজিব। এই ওয়াজিবের মধ্যে গরীবরা মাংস খেতে পারবে।আসলে এই যুগে মানুষ আল্লাহ সন্তুষ্ট লাভের চেয়ে মানুষ দেখানোরই উদ্দেশ্য থাকে বেশি।কে কত বেশি টাকা দিয়ে কোরবানি করবে এই নিয়ে থাকে অসুস্থ প্রতিযোগিতা।
আসলে আমাদের সকলেরই উচিত আল্লাহর সন্তুষ্ট লাভের জন্য ত্যাগ করা।কোন প্রতিযোগিতা বাদে কিংবা মানুষ দেখানো বাদ দিয়ে।গরীব কিংবা আত্নীয় স্বজনের মাঝে বন্টন করে দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য।তাহলেই হবে কোরবানির সার্থকতা।
আপনাদের কেমন কাটলো তাই জানাবেন।আজ আর নয় আবার আসবো অন্যকোন দিন অন্য কোন ব্লগ নিয়ে,সেই অব্দি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
আমার পরিচয়
আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকেও ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আপু। ঈদুল আযহা কে নিয়ে খুব সুন্দর কিছু কথা লিখেছেন। আসলেই তাই ঈদুল আযহা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা হয়। তবে বর্তমানে অনেক মানুষ রয়েছে যারা শুধুমাত্র সমাজে লোক দেখানোর জন্য কোরবানি দিয়ে থাকে। খুব সুন্দর কথা লিখেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন আপু এখন এই যুগে মানুষ কে দেখানো প্রতিযোগিতা করা হয়।আপনাকে ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু, ঈদুল আযহা সম্পর্কে এই বিস্তারিত ব্যাপারটা আমার আগে জানা ছিল না। তাছাড়া এটা আপনি ঠিক কথা বলেছেন, ঈদ মানেই আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া একে অন্যের সাথে। আর সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির জন্য আমাদের ত্যাগ করা উচিত। এই ঈদুল আযহা থেকে আমরা এই বিষয়টা শিখতে পারি। লোক দেখানো বাদ দিয়ে, কোন প্রকার প্রতিযোগিতা না করে, একে অন্যের সাথে দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়াই মহৎ কাজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টের জন্যই আমাদের ধর্মে এমন ত্যাগ করা হয়।আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির জন্য ত্যাগ করা তো মহৎ কাজ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit