করল্লাও গাঁজর ভাজি রেসিপি -{১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য}

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)
❤❤আজ রোজ শনিবার ১৮ই ডিসেম্বর ২০২১ খিস্টাব্দ ও ৩রা পৌষ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ, এবং১৩ই জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৩ হিজরি। । ❤❤

হাই,আমি রাহিমা খাতুন নেভি।কেমন আছেন সবাই ?আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,আশা করি ভালো আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে, শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ।


আমি আজকে আপনাদের জন্য একটি নতুন একটি রেসিপি নিয়ে এসেছি। একটু ভিন্নরকমের একটি ভাজি। আমি নিজেও কখনো খাই নাই।ঐটা হচ্ছে করল্লা আর গাজরের রেসিপি। আমি এইটা প্রথম বানিয়েছি। রাজশাহী অঞ্চলে এইটা অনেক মানুষ খাই। যদিও একটু অন্য রকম ,তবুও ভালো লাগে। করল্লার ছবি এবং বৌদি এর করল্লার দিয়ে ব্যাঙ বানানো দেখে আমার মনে হলো আমি একটি রেসিপি দাও যাক। চলেন একটু দেখে আসি করল্লা আর গাজর ভাজির ছবি।

গাজর, করল্লা ও আলু ভাজি



korola.jpg


গাজর আর করল্লা ভাজি খেতে খুব মজা

(Realme 8 5G)


আমি রাজশাহী লোকালদের কাছ থেকে রেসিপি শুনে আমি আর দেরি না করে সাথে সাথে বাজারে যেয়ে গাজর আর করল্লা কিনে নিয়ে তারপর ভাজি করেছি। আমার কাছে ভালো লেগেছে।



গাজর করল্লা এবং আলুর গুনাগুন এবং উপকারিতা


গাজর :

গাজরে আছে ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ। বিটাক্যারেটি ও ভিটামিন A এর কাজ করে। এবং স্নেহ ,এনার্জি ও ক্যালোরি আছে। গাজরে প্রচুর পরিমান পানি আছে। যা আমাদের শরীলের জন্য খুব ভালো।

করল্লা :

করল্লা কিন্তু ফল জাতীয় সবজি। যদিও তিতা স্বাদের।এতে কিলো ক্যালোরি ,সোডিয়াম ,পটাশিয়াম এবং শর্করা আছে। ব্লাড সুগার কমায়। ক্যান্সার বিরুদ্ধে কাজ করে। এবং ওজন কমায়। এটাও আমাদের শরীলের জন্য উপকার।

আলু

আলু সব সবজির সাথে মিশে। অর্থাৎ শোন্ সবজির সাথে রান্না করা যায়। এতে প্রোটিন ,শর্করা ,পটাশিয়াম ,সোডিয়াম আছে।
ডায়বেটিস উপর ইতিবাচক প্রভাব,এবং সাধারণ স্বাস্থ্য উন্নতি করে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ

korola 2.jpg

(Realme 8 5G)

উপকরণ


করল্লা


গাজর


আলু


লবন


তেল


কাঁচা মরিচ


হলুদের গুড়া

প্রস্তুত প্রণালী
১ম ধাপ

267084166_636611311094976_9069522317105242941_n.jpg

প্রথমে করল্লা ,গাজর ,আলু কেটে নিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

২য় ধাপ

263164278_718388669136067_807320192366260018_n (1).jpg

একটি হাড়িতে তেল নিয়ে পেঁয়াজ দিয়ে ভাজে নিতে হবে।

৩য় ধাপ

265474827_962905877989802_4339793103480241897_n.jpg

ধুয়ে রাখা করল্লা ,গাজর ,আলু দিয়ে দিবো।

৪র্থ ধাপ

263489537_613818486491033_1777510684284573414_n.jpg

হলুদ গুঁড়া এবং লবন দিয়ে দিতে হবে।

৫ম ধাপ

265164374_1141157246657720_3801268692211488010_n.jpg

কাঁচা মরিচ দিয়ে দিতে হবে।

৬ষ্ঠ ধাপ

263434547_330502128635400_5459053241157741365_n.jpg

ভাজা হচ্ছে

৭ম ধাপ

264366161_317192256934708_5857952829849382337_n.jpg

ভাজি তৈরি হয়ে গেলো।

শেষের ছবি

262827541_1826727424193173_5741608514442029374_n (1).jpg

তৈরি হয়ে গেলো আমার করল্লা ও গাঁজর ভাজি রেসিপি। গরম ভাতের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন ,খেতে ভালো লাগবে।

আজকের টিপসঃ

করল্লা একটু লবন পানিতে ভিজিয়ে রাখলে এইটার তিতা ভাব চলে যায়। আর যে কোনো ভাজি একটু তেল তেলে ভাব কড়াইতে করলে এবং কড়াইটা একটু বেশি গরম ও বেশি করে তেল দিলে ভাজি মজা এবং সুন্দর হয়।

আজকে আর নয়। পরবর্তীতে হাজির হবো অন্য কোনো ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,এই প্রত্যাশায় শেষ করছি আমার আজকের ব্লগ। ধন্যবাদ সবাইকে।

শুভ রাত্রি

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপু আপনার রেসিপি পোস্টটি অসাধারণ হয়েছে। আপনার রেসিপি পোষ্টে মার্ক ডাউন গুলো অনেক সুন্দর ভাবে ব্যবহার করেছেন। গাজর, করলা এবং আলু দিয়ে খুব সুন্দর মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল আপু ♥️

আপু আপনাকে ধন্যবাদ।

আমি আপনার ভাইয়া😭।আপু না😃😃

করল্লা খেতে সামান্য তেতো লাগলেও গাজরের সাথে এটি খেতে মনে হয় অনেক ভালো লাগবে। করল্লা এবং গাজর রেসিপি টি অনেক পুষ্টিকর হয়েছে সেইসাথে এটি কিন্তু একটি শীতকালীন খাবার। আমি ব্যক্তিগতভাবে গাজর অনেক ভালোবাসি তবে এইভাবে আজও খাওয়া হয়নি ।আপনি অনেককে গুছিয়ে পোষ্টি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

করোলা ভাজি আমার খুবই পছন্দ তবে আমি গাজর দিয়ে করলা ভাজি আগে কখনো খাইনি আমি সব সময় করলার সাথে আলু দিয়ে খেয়েছি। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আমি অবশ্যই বাসায় একদিন ট্রাই করে দেখব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইল

ধন্যবাদ, আপু।

অনেক সুন্দর ভাবে আপনি করোলা ভাজি রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার সব থেকে প্রিয় খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই খাবারটি। আমার সামনে যদি আরো ভাল ভাল খাবার রাখা হয় সাথে যদি এই খাবারটি দেয়া হয় তাহলে আমি এটিকে আগে গ্রহণ করি।

করলা ও গাজর ভাজি রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে এবং খেতে খুব ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে রেসিপিটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করলেন। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।

করোলা এবং গাজর ভাজির অসাধারন একটি রেসিপি আপনি প্রস্তুত করেছেন। আপনার রেসিপি দেখতে খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে। মনে হচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হবে । করলাএবং গাজর দুইটি আমার খুব পছন্দের খাবার। আপনি ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা থাকলো।

বাহ আপু করোলা এবং গাজর দিয়ে একসাথে ভাজি করলেন দেখতে অসাধারণ লাগছে রেসিপিটি। এটি যে করোলা ভাজি তা দেখে বোঝাই যাচ্ছে না। এমনিতে করোলা একটু তেতো বলে আমি সেরকম একটা খাই না। কিন্তু আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতেও বেশ মজা হয়েছে। আপনার রেসিপির কালার টি অসাধারণ লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে করল এবং গাজর ভাজি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

করোলা ও গাজর দিয়ে আপনি অনেক সুন্দরভাবে ভাজি করেছেন আপু। করলা ভাজি আমি তেমন একটা খাই না, তবে আমার কাছে গাজর ভাজি অনেক প্রিয় আমার। আম্মু মাঝে মাঝে শুধু গাজর এবং আলু একসঙ্গে করে ভাজি করে থাকেন, আলু এবং গাজর ভাজিটা আমার কাছে খুবই সুস্বাদু লাগে ।তবে করলা দিয়ে এরকমভাবে কখনো গাজর ভাজি খাইনি ,আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনি রেসিপি তৈরীর প্রতিটি ধাপ আপনি অনেক চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এত মজাদার এবং লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

করল্লা তাও গাজর দিয়ে, নাহ এভাবে কখনো খাইনি আমি। কারণ আমি সাধারণত সবজির সাথে গাজর দেয়ার চেষ্টা করি কিন্তু করল্লা সাথে কখনো চিন্তা করি নাই। আপনার রেসিপিটি দেখে কিছুটা অবাক হলাম, তবে স্বাদটা ভালো হয়েছে এটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে। আর শেষের টিপস টা দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

হ্যা ভাইয়া,আপনি রান্না করে খেয়ে দেখে দেখিয়েন,,আশা করি ভালো লাগবে,,ধন্যবাদ ভাইয়া।