সম্পত্তি

in hive-129948 •  18 days ago 

আমি @rahimakhatun
from Bangladesh

১২ ই পৌঁষ ১৪৩১

--------

৩১ই ডিসেম্বর ২০২৪


sale-3701777_1280.jpg

source

আমরা সৃষ্টির সেরা জীব কিন্তু আমাদের মাঝেই যত অপকর্ম।আমরা কতটা অপকর্ম করি দুনিয়ার শান্তির জন্য মানুষকে মেরে ফেলতেও দ্বিধা বোধ করি না।ইদানিং অপকর্ম গুলো মনে হচ্ছে অনেক বেড়েছে। অথচ আমরা সবাই জানি দুনিয়াটা ক্ষনস্থীয়।দুনিয়ার সবকিছু ছেড়ে চলে যেতে হবে। নিজের ভাই কিংবা বোনের সম্পত্তি নিয়ে না দেওয়ার নানান বাহানা।আমাদের সমাজে এখন ও এই সমস্যাগুলো বেড়েই চলছে।

বাবা মারা কেন জানি মেয়েদেরকে তাদের পাপ্যটুকু বুঝিয়ে দিতে চায় না,যার জন্য ভাইয়েরা দিতে চায় না।যার জন্য প্রায়ই ভাই বোনদের সাথে সম্পর্ক ভালো থাকে না।যদি আগের দিন বেশি হতো তারা নাকি ভাবতো বোনদের কিংবা মেয়েদের সম্পত্তি দিলে তাদের কখনও উন্নতি হয় না।অনেক সময় বোনেরা অন্যের বাড়িতে কাজ করে খায় তবুও সম্পত্তি দেয় না। এমন কি বোন মারা গেলে তাদের এতিমদের ও সাহায্য করে না।এমন একটি ঘটনা আমাদের চোখের সামনেই।


আমাদের পাশেই এক আন্টি ছিলো তার ক্যান্সার হয়েছিলো।ক্যান্সার যেহেতু অনেক ব্যায় বহুল চিকিৎসা নিজেদের যা আছে তাই দিয়েই চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলো তারপর চালাতে বেশ হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। তারপর একদিন ভাইদের কে বললো তার পাওনা টুকু বুঝিয়ে দিলে সে চিকিৎসা করতো।তার অনেক ইচ্ছে সুস্থ হবে।


ভাই কে বলাতে সে নাকি বলেছে দিবে,আগে ৫০০০ নিতে।ভাই ৫০০০ দিয়েছে কোন কাগজে কিভাবে সিগনেচার নিলো এরপর বললো আর জমি দিবে না যা দেওয়ার তাই দিয়ে দিয়েছে,অথচ আন্টিটা আর চিকিৎসা করাতে পারছিলো না, আশেপাশে প্রতিবেশী কিংবা আত্নীয় রা একটু সাহায্য করছে আসলে এত ব্যয় বহুল চিকিৎসা চালানোও মুশকিল এত এত কেমো নেওয়াটা বেশ কষ্টকর।অথচ ভাইদের মন গললো না পরে আন্টিটা মারা গেলো।আন্টির এক ছেলে ও দূর্ঘটনার দুই হাতেই কেটে ফেলতে হয়েছে অথচ তাদের ও এক ফোঁটা তাদের মায়ের ভাগ দিলো না।


আমরা মানুষেরা এত নিষ্ঠুর দুনিয়ার সার্থের জন্য নিজের রক্তের বোনকে অস্বীকার করে।অথচ দুনিয়া ক্ষনস্থীয় মরে গেলে কিন্তু হাতে করে কিছুই নেওয়া যাবে না,আর অন্যের সম্পত্তি ভোগ করার জন্য পাই টু পাই হিসেব দিতে হবে।একবারও আমরা পরকালের কথা চিন্তা করি না।

কিছু কিছু মানুষের চিন্তা করে কারটা কে মেরে খাবে,কাকে খুন করে হলেও ছিনিয়ে নিবে।আচ্ছা আমার মাঝে মাঝে মনে হয় তারা একবারও চিন্তা করে না যদি এখন মরে যাই এক সেকেন্ডে ও জীবনের ভরসা নেই। এই তো সেই দিন চোখের সামনেই সুস্থ মানুষ হাসিখুশি মানুষের টোল প্লাজায় বাইকে বসে টোল দিচ্ছেলি পিছন থেকে বাস এসে মেরে দেয় চোখে সামনেই বাবা দেখছে ছেলেকে চাপা দিয়ে যাচ্ছে, বউকে চাপা দিয়ে যাচ্ছে কে জানতো তারা সেই দিনেই মারা যাবে প্রতিদিনের মতই সকাল তাদের কেটেছে। এই ঘটনাটা আমার বেশ খারাপ লেগেছে।যাই হোক পরিশেষ এতটুকুই বলি আমাদের প্রতিদিন উচিত পরকালের কথা চিন্তা করা যার যার হক তাকে বুঝিয়ে দেওয়া।

আবার আসবো অন্যকোন দিন অন্যকোন পোস্ট নিয়ে সেই অব্দি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।

এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ

আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।

Banner.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht

20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

বাবা মারা কেন জানি মেয়েদেরকে তাদের পাপ্যটুকু বুঝিয়ে দিতে চায় না,যার জন্য ভাইয়েরা দিতে চায় না

আমার বয়স খুব একটা বেশি না তবে এই বয়সে যতটুকু বুঝতে শিখেছি তার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করেছি বাবা মায়েরা শুধু তাদের ছেলেদের কেই বেশিরভাগ অংশটা লিখে দেয়। মেয়েগুলো যে তাদের সন্তান এই কথাটা কেন জানি তারা ভুলে যায়।