লাইলাতুল কদর।

in hive-129948 •  7 months ago 
১৬ চৈত্র , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

৩১ই মার্চ ২০২৪ খৃস্টাব্দ ।


আজ রোজ রবিবার

মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ



book-1283468_1280.jpg

source

আজ মাহে রমজানের ২০ তম দিন আজ থেকে আমাদের শবে কদরের নামাজ শুরু।আজ থেকে পুরো এিশ রোজা অব্দি প্রতিদিন বিজোর রাএে আমাদের এই নামাজ পড়তে হয়।আসলে আমাদের স্পষ্ট ভাবে বলা হয়নি কোন বিজোর রাএে শবে কদর তাই আমাদের প্রত্যেক বিজোর রাতে এই নামাজ পরতে হয়।আসলে আরবি মাস গুলো রাএ থেকে শুরু হয় তাই প্রত্যেক জোর রমজানের রাতে এই নামাজ পড়ি।

আরবীতে এই রাতকে লাইলাতুল কদর বলা হয়।যার অর্থ হচ্ছে সম্মানিত রজনী।রাত হাজার মাস থেকে উওম মাস।এই রাতের ফজিলত এবং তাৎপর্য অপরিসীম।এই রাতের ফজিলত অনেক বেশি। এই রাতের মত অন্যকোন রাতের তুলনা চলে না।কুরআন,হাদীস এর সম্পর্কে অনেক বলা হয়েছে। এই রাতে আল্লাহর আদেশে ফেরেশতা গন পৃথিবী জুড়ে অবতরণ করে সৃষ্টির জীবের জন্য রহমতের দোয়া করেন।


আমাদের শেষ এবং প্রিয় নবী বারবার বলেছেন আমাদের কে আমরা যেন বিজোড় রাতগুলো তালাশ করি অর্থাৎ বেশি বেশি ইবাদত পালন করি।তাছাড়া এই শেষের বিজোড়ের দশদিন আমাদের ভাগ্য নিধারন করা হয়, তাই বেশি আল্লাহর কাছে চাইতে হয় তাতে যেন আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে পরবর্তী দিনগুলো ভালে কাটায়।মুসলিমদের এই দিনে পবিএ কোরআন নাযিল হ'য়েছে,তাই তো রমজানের শেষ দিন অনেক দামী রাত।


তবে সাতাশ রমজানে বেশি বেশি ধারনা করা হয়।লাইলাতুল কদর শব্দদয় তিন তিনবার রয়েছে আর শেষের বিজোড় নয় দিন নয়কে তিন দিয়ে গুন করলে সাতাশ হয় তাই বেশি বেশি সাতাশ রমজান কে ধরা হয়।বেশি বেশি দান সদকা করতে বলেছে দরুদপাঠ করতে বলেছে তাতে অনেক শোয়াব পাওয়া যায়। তাছাড়া পুরুষ রা মসজিদে শেষের দশদিন ইতেকাফ বসে। এই টানা দশদিন গুরুত্ব দিয়ে ইবাদত পালন করবে।


চাইলে মহিলারাও বসতে পারবে ঘরে। আজ আমার বাবা ও ইতেকাফে বসেছে।আমার বাবা চেষ্টা করে শেষের দশদিন বসার জন্য শুরুর দিকে পারে না কারন তার অফিসে কাজ থাকে।আমার কাছে এটা বেশ ভালো লাগে।ইফতারে তার জন্য ইফতারি রেডি করে পাঠানো হয় তারপর এশা,তারাবি নামায শেষ করে সেহেরি এর জন্য খাবার পাঠানো হয়।


আসলে প্রত্যেক ধর্মে কিছু কিছু নিয়ম আছে, আমাদের উচিত যার যার ধর্মগুলোর নিয়ম গুলো ভালো করে পালন করা।প্রত্যেক ধর্মে একে অপরকে সাহায্য করা গরীব-দুঃখীদের করে সাহায্য করা, অনাহারী দের মুখে খাবার তুলে দেওয়া। আমরা যদি ঠিকঠাক ভাবে এই নিয়ম গুলো পালন করতে পারি তাহলে আমাদের আশেপাশে দুঃখী মানুষ থাকবে না বললেই চলে।চলুন আমরা যার যার জায়গা থেকে গরীব দুঃখে সাহায্য সাহায্য করি।


যাই হোক আজকেএই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে । আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।

ধন্যবাদ সবাইকে

আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।


Banner.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht

20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

আসলেই আপু। প্রতিটি ধর্মেরই নিজস্ব কিছু বিশ্বাস রয়েছে৷ যেহেতু সকল ধর্মেই মানুষের সাহায্য-সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে, সত্যের পথে চলার কথা বলা হয়েছে৷ দানের কথা বলা হয়েছে সর্বোপরি সকলে মিলেমিশে ভালো থাকার কথা বলা হয়েছে সকল ধর্মেই। তাই সকল ধর্মাবলম্বী মানুষদের উচিত নিজ নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী সৎ কর্ম করা এবং সৃষ্টিকর্তার রহমত লাভের চেষ্টা করা সকলের জন্যই।

Posted using SteemPro Mobile

আসলেই যার যা ধর্ম ঠিক ভাবে পালন করা আমাদের সকলেরই উচিত। ধন্যবাদ আপু

আপু আজকে আপনার পোস্টের মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদর নিয়ে বেশ সুন্দর সুন্দর কিছু কথা জানতে পারলাম। মহান আল্রাহ এই কদরের রাতেই পবিত্র আল কোরআন নাযিল করেছেন। তাই তো এই রাত্রি কে বলা হয় মহামান্বিত রজনী। সব মিলিয়ে আপনার লখো গুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো।

এই রাত হাজার রাত থেকে উওম রাত।ধন্যবাদ আপু।

আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে আলোচনা করলেন। আসলে লাইলাতুল কদর অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত আমাদেরকে বিজয় তালাশ করতে বলেছেন। রাতের ফজিলত অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

Posted using SteemPro Mobile

হুম, এই রাতের ফজিলত বলে শেষ করা যাবে না।ধন্যবাদ

খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজকে আপনি আপনার পোস্টটি শেয়ার করেছেন৷ আসলে এই লাইলাতুল কদরের রাতে আমাদের অনেক কিছুই রয়েছে৷ যা থেকে আমরা অনেক উপকৃত হই৷ আল্লাহ আমাদেরকে অনেক বেশি পরিমাণে ফজিলত দিয়েছেন৷ এই রাতে আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে পারব৷ যত বেশি আমরা ক্ষমা চাইব তত বেশি তিনি ক্ষমা করে দিবেন৷ সেই জন্য এর রাতকে একটি ফজিলতময় মাস হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এই রাত আমাদের সকল যাবতীয় গুনাহ মাফ চাওয়ার রাত,এই রাতে আল্লাহ অনেক বান্দাদের ক্ষমা করে দেয়। ধন্যবাদ