আসসালামুআলাইকুম/আদাব,
কেমন আছেন বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। বলা হয়ে থাকে বারো মাসে তেরো পার্বণ।সেই পার্বণের এক পার্বণ ছিলো গতকাল। অর্থ্যাৎ সরস্বতীপূজা। বিদ্যা এবং সংগীতের দেবী বলা হয় দেবী সরস্বতী কে। হিন্দু ধর্মাবলিম্ব দেশগুলোতে অন্যান্য পূজার মতো সরস্বতী পূজা উৎযাপনকরা হয়।
মহা ধুমধামের সহিত সরস্বতী পূজা উৎযাপন করা হয়। প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে মহা ধুমধামের সহিত সরস্বতী পূজা উৎযাপন করা হয়।
গত বছর করোনা ভাইরাসের কারনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পূজা উৎযাপিত হয়নি। তবে এবার হয়েছে। আমার দেখা সরস্বতী পূজা নিয়েই আজকের ব্লগ টি। তাহলে শুরু করা যাক।
হিন্দু পাড়ার পাশেই আমার বাড়ি হওয়ার সুবাদে পূজা পার্বণ সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা রাখি। দুর্গাপূজায় অনেকেই আমাদের বাসায় নারু পাঠাতো খুব মজা করে খেতাম।
বিকেলে বন্ধুকে ফোন দিলাম জগন্নাথ হলে যাবার জন্য। ৩০ মিনিটস পর আমরা রওয়ানা হলাম জগন্নাথ হলের দিকে। আমার হল থেকে যেতে ১০ মিনিটস সময় লাগলো। স্বাস্থ্য বিধি মেনে সবাইকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে। একপ্রকার বিবিধ জনসমাগম বলা চলে।
প্রতি বছরই অনেক লোক হয় জগন্নাথ হলে পূজোর সময়।ঢুকেই হাতের বা দিকে খেয়াল করলাম ছোট্ট বাচ্চারা বই নিয়ে দাড়িয়ে রয়েছে পুরোহিত মহোদয়ের দেয়া পুষ্প নেয়ার জন্য। একটু এগিয়ে গেলাম মন্দিরের দিকে। দেখলাম দেবী সরস্বতীর প্রতিমা। অনেক সুন্দর কারুকাজ যা দেখলে মন ছুঁয়ে যাবে। কারিগর মনের মাধুরি মিশিয়ে বানিয়েছেন দেবী সরস্বতী কে। দেখে যেনো মনে হবে হাতে বীনা নিয়ে দাড়িয়ে রয়েছে স্বয়ং দেবী সরস্বতী। অনেকেই পূজা করছে, অনেকেই ছবি উঠাচ্ছে, অনেকেই প্রণাম করছে।মন্দির থেকে একটু বেরিয়ে সামনের দিকে আসতেই দেখলাম বাহারি রকমের দোকান বসেছে।
কেউবা মঙ্গল সুত্র বিক্রি করছে কেউবা ছোট ছোট প্রতিমা আকৃতির পুতুল বিক্রি করছে।সবার মনে খুশির বিরাজ। এ যেনো ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এই পূজাটি উনবিংশ শতাব্দী থেকে প্রচলিত হলেও মুলত বিংশ শতাব্দী থেকে বেশি পালিত হচ্ছে। বিশেষ করে বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেবী সরস্বতী পূজা উৎযাপন রেওয়াজটা চলে আসছে।
১ ঘন্টা ধরে সবকিছু দেখলাম এবং ঘুরলাম। কখন যে সন্ধ্যা হয়ে গেছে খেয়ালই ছিলোনা। পূজা উপলক্ষ্যে জগন্নাথ হল আলোক বাতি দিয়ে সাজিয়েছে সেটা দেখে আসতেই ইচ্ছে করছিলো না। তবুও শেষ পর্যন্ত আসতে হয়েছে। এই ছিলো আমার দেখা দেবী সরস্বতী পূজার অদ্যপান্ত।
পূজোর শুভেচ্ছা রইলো ভাই।আপনার মুহুর্ত টি দারুন ছিলো সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তা উপস্থাপন করেছেন শুভ কামনা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনাকে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিদ্যার দেবী সরস্বতী। খুব মিস করছি এবার। এর আগে প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সরস্বতী এক নব রূপে উৎসবে পরিণত হতো। তবে যদিও করোনার কারণে গত দুই বছর জাঁকজমকভাবে করতে পারেনি আর আমিও যেতে পারিনি। এবার বাসায় থাকার কারণে যেতে পারলাম না। তবে আপনার পোস্ট দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ঐতিহ্যবাহী পুজোর আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit