ডাই প্রজেক্ট|| নকশি কাঁথা||

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

||আজ-২২ই,চৈত্র||১৪২৯বঙ্গাব্দ,বসন্তকাল||


❤️আসসালামুআলাইকুম/আদাব❤️

আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও আছি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।আমার আজকের ব্লগটি নকশি কাঁথার একটি ব্লগ।এটি আমার ভিন্নধর্মী একটি প্রচেষ্টা, পোস্টে ভিন্নতা আনার জন্য।

আমরা বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের নকশি কাঁথা ব্যবহার করে থাকি,যেগুলো নিজেরাই হাতে তৈরি করা হয়ে থাকে।আমি আজকে আপনাদের মাঝে যে নকশি কাঁথার ব্লগটি নিয়ে উপস্থিত হয়েছি, এটিও হাতে করা।এই কাঁথা গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে।যেহেতু বাহারি রঙের সুতা ব্যবহার করা হয় কাঁথায়,দেখতে অনেক ভালো লাগে।আমি এই কাঁথা তৈরি করেছি বালিশের উপর ব্যবহার করার জন্য।তাছাড়া নকশি কাঁথা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বহন করে।এটির সাথে শুধু গ্রামের মানুষ পরিচিত না,শহরের মানুষও।আমি যেভাবে নকশি কাঁথা তৈরি করেছি,নিম্নে সমস্ত প্রক্রিয়া বর্ণনা করছি।

নকশি কাঁথা

IMG-20230405-WA0001.jpg

প্রয়োজনীয় উপকরণ
  • কাপড় -৮ গিরা(৩ টি)
  • রঙিন সুতা
  • সুচ
    IMG_20230405_102534.jpg
ধাপ-১

প্রথমে আট গিরা কাপড় নিয়ে নিতে হবে।তারপর সুচ এর সাহায্যে সুতা তুলে নিতে হবে, উপরের কাপড়ে।তারপর, তিনটি কাপড়ের সাহায্যে কাঁথা জুড়ে নিতে হবে।
IMG_20230404_165528.jpg

ধাপ-২

এবার প্রথমে সবুজ সুতা দিয়ে ১৪ টি করে ঢেউ আকারে ডিজাইন করে সেলাই করে নিলাম।

IMG_20230404_165620.jpg

ধাপ-৩

এবার লাল বেগুনি সুতার সাহায্যে ফুলের ডিজাইন করে সেলাই করে নিলাম।

IMG_20230404_165639.jpg

ধাপ-৪

এবার দুই ফুলের মাঝখানে গোলাপী সুতা দিয়ে চতুর্ভুজ আকৃতির বক্স করে সেলাই করে নিলাম।

IMG_20230404_165711.jpg

ধাপ-৫

এবার একইভাবে লাল,বেগুনি কালারের ফুল গুলো সেলাই করে নিলাম ।

GridArt_20230404_165214230.jpg

ধাপ-৬

এবার কমলা রঙের সুতা দিয়ে চতুর্ভুজ বক্স করে সেলাই করে নিলাম ফুলের মাঝ বরাবর।

GridArt_20230404_165402105.jpg

ধাপ-৭

বাকি কাঁথা একইভাবে কমপ্লিট করলাম। ব্যাস আমার নকশি কাঁথা প্রস্তুত।

IMG20230404144029.jpg

IMG20230404144031.jpg

IMG20230404144032.jpg

IMG20230404144033.jpg

IMG20230404144036.jpg

IMG20230404144037.jpg

ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি বন্ধুরা।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন।আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

নকশি কাঁথা ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসরিয়েলমি ফাইভ আই
ফটোগ্রাফার@rahnumanurdisha

Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

❤️আল্লাহ হাফেজ❤️

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এত সুন্দর নকশী কাঁথা ডিজাইন তৈরি করেছেন। দেখে তো আমি একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এই নকশী কাঁথা গুলার এখন অনেক দাম। আপনার কাঁথা তৈরির প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এত সুন্দর কাঁথার ডিজাইন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনাকেও ধন্যবাদ আপু গঠনূলক মন্তব্যের জন্য।

image.png

আপনি বাহারি রংয়ের নকশি কাঁথা তৈরি করেছেন দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আপনাদের এলাকায় বোধহয় এই নকশী কাথার বেশ প্রচলন আছে?? যেহেতু আপনি বাড়িতে কমবেশি এগুলো ব্যবহার করে থাকেন। ভিন্ন ধরনের কিছু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।

ওয়াও আপু জাস্ট অসাধারণ একটি নকশি কাঁথা তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি নকশি কাঁথা দেখে সত্যি আমি অবাক আপু। আসলে আপনার বেশি ইউনিক ইউনিক জিনিস তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেন। ছোটবেলায় দেখতাম আমার আম্মুরা এসব জিনিস তৈরি করত। কিন্তু আপনার এমন ভালো পারতো না আপু। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

বাহ আপু আপনি খুবই সুন্দর একটি নকশীকাথার ডাই প্রজেক্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার হাতের কাজের তারিফ করতে হয়। আসলে এধরনের নকশি কাঁথাগুলো তৈরি করতে অনেক সময় লাগে। সময় সাথে সাথে ধৈর্যেরও প্রয়োজন হয়। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই নকশি কাঁথা। যা আমাদের বাংলার আভিজাত্য এবং বহুদিন ধরে এই সুনাম ধরে রেখেছে। আপনি আজকের চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপনাকে ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

ওয়াও এত সুন্দর নকশী কাঁথা কি করে করলেন আপু। বাসার ঠিকানা দেন তো দেখি। আসলে নকশী কাঁথা এ দেশের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বহন করে। বহন করে বাংলার আভিজাত্য। একসময়ে বাংলার নকশি কাঁথার অনেক দাম ছিল সমগ্র পৃথিবীতে। তবে আপনি কিন্তু কাথাঁ তৈরির প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে বেশ সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

ঠিক বলেছেন আপু নকশি কাঁথা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বহন করে। নকশি কাঁথা সেলাই করতে অনেক সময় লাগে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে নকশি কাঁথা সেলাই করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সুতার কাজ খুবই সুন্দর হয়েছে। এক কথায় অসাধারণ হয়েছে আপু। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু দারুন ভাবে নকশি কাঁথা সেলাই করার পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে সবসময় পাশে থাকার জন্য।

অও,অসাধারণ হয়েছে আপনার তৈরি নকশি কাঁথা।আসলে এগুলো পুরোনো ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দেয়।আমার দিদিমাও খুব সুন্দর নকশি কাঁথা তৈরি করতেন।ঠিক আপনার মতোই নিখুঁত ও সুন্দরভাবে।কিন্তু বয়স হয়ে যাওয়ায় চোখের কারনে আর পেরে ওঠেন না।আমার কাছে এই ধরনের নকশাগুলি খুবই ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপু।

আপনার ভালো লেগেছে,জেনে খুশি হলাম।ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

খুব সুন্দর নকশিকাঁথা সেলাই করেছেন আপু। আমার কাছে খুব ভাল লাগে।এই নকশিকাঁথা আমাদের ঐতিহ্য। খুব ভাল লাগলো দেখে।ধন্যবাদ আপু।

ধন্যবাদ আপু।

বিভিন্ন কালার সুতা দেওয়ার কারণে দেখতে বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে। এটা ঠিক নকশি কাঁথা আমাদের ঐতিহ্য। এটা দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে আপনার এই নকশি কাঁথা করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়েছে। ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

বাহ্! আপনি তো খুব সুন্দর করে নকশি কাঁথা তৈরি করতে পারেন দেখছি। সেলাই গুলো এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। ছোটবেলায় মা খালাদের দেখতাম নকশিকাঁথা তৈরি করতে। আপনার পোস্ট দেখে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল। যাইহোক এতো সুন্দর ক্রিয়েটিভিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

ধন্যবাদ ভাইয়া।