আজ-১১ই,জ্যৈষ্ঠ||১৪৩০ বঙ্গাব্দ,গ্রীষ্মকাল||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও আছি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আমার দেখা একজন অসৎ ডাক্তার সম্পর্কে লিখতে যাচ্ছি বন্ধুরা।যারা গত পর্ব পড়েছিলেন তারা নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন এতক্ষণে আমার লেখার বিষয় সম্পর্কে।আসলে আমি যে পেশা নিয়ে আলোচনা করছি।পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে সম্মানের একটি পেশা এটি।একজন মানুষ সৃষ্টিকর্তার পর যাকে বিশ্বাস করেন নিজের জীবন বাঁচাতে,তিনি হচ্ছে ডাক্তার।আর সেই ডাক্তার যদি টাকার লোভে সেই মূল্যবান জীবনটাকেই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে দিতে কোনো দ্বিধাবোধ করেন না।তাহলে সে সমস্ত ডাক্তারদের সম্মানের বদলে অসম্মানটাই যেন আগে আসে।আর ঠিক অসম্মানের ঘটনাটি ঘটেছিল আমার বড় মামার সাথে।
২০২০ এর আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের ঘটনা,আমার বড় মামার হার্টের সমস্যা খুব বেড়ে যায়।শুধু হার্টের সমস্যা বললে ভুল হবে তার আরও অনেক রোগ ছিল ডায়বেটিস,জন্ডিস ইত্যাদি রোগ।তিনি নিজেও একজন ডাক্তার ছিলেন।ছোট খাটো একটা চেম্বার ছিল তার,সাথে একটি চাকুরীও করতেন।যখন বুকে ব্যাথা হতো নিজেই ওষুধ খেত।এভাবে করতে করতে তার শরীর একপর্যায়ে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে।যেহেতু আরও অন্য রোগে ভুগছিলেন।কোনো রোগ নিয়ন্ত্রণ করতেন না খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন বা শরীরচর্চা করে।একদিন হঠাৎ বুকে ব্যাথায় অজ্ঞান হয়ে গেলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। প্রথমেই ঢাকা ইসলামী হাসপাতালে দেখানো হয়।ডাক্তার চিকিৎসা দেন এবং ওষুধ দেন বিভিন্ন আর সার্জারি করার কথা জিজ্ঞেস করলে ডাক্তার বলেন আপনার শরীরের কন্ডিশন খুব একটা ভালো না।তাই এই অবস্থায় আমি সার্জারি করতে চাচ্ছিনা হীতের বিপরীত হয়ে যেতে পারে।কারণ মামার শরীর অনেক দুর্বল ছিল আর অনেকটা কাহিল হয়ে গিয়েছিল।রোগের আগে তার শরীর অনেকটা ভালো অর্থাৎ মোটাসোটা ছিল।
এভাবে করে ওই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে থাকেন আমার মামা।কিন্তু তার বুকের ব্যাথা একেবারে যায়না।তিনি যেহেতু চাকুরী করতেন,তাই অসুস্থ হয়ে যেতেন প্রায় অফিসে গিয়ে।মামীও সাথে যেতেন কিছুদিন একা যেতে ভয় পেতেন এজন্য।এভাবে করে চলছিল তার জীবন।তারপর আমার খালু চিকিৎসার জন্য ঢাকা গেলে তিনি এক ডাক্তারের পরামর্শ দেন।ওই ডাক্তারের থেকে কয়েকজন রোগী ভালো হয়েছিলেন হার্ট সার্জারি করে।তারা খালুর পরিচিত ছিলেন,তাদের বয়স মোটামুটি ছিল অর্থাৎ ৪০ এর দিকে এবং তারা সুস্থভাবে জীবনযাপন করছেন।আমার মামার বয়স ৫০ এর বেশি ছিল।খালুর পরামর্শ অনুযায়ী লোভী ডাক্তার এর কাছে যান মামা এবং ডাক্তার মামাকে হার্ট এর সার্জারি করতে বলেন।মামাও সার্জারি করার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েছিল কারণ অফিস করতে হবে ঠিকমতো।তারপর কয়েকদিন চিকিৎসা অনুযায়ী কিছু ওষুধ সেবন করেন এবং সার্জারির তারিখ অনুযায়ী সার্জারি করেন ডাক্তার।যেহেতু করোনার সময় ছিল বাড়ি থেকে সবাই যেতে পেরেছিল না।আমার ছোট মামা,খালু এবং ছোট মামী ছিলেন আমার নানু বাড়ি থেকে।আর বড় মামীর বাড়ি থেকে তার ভাই ভাবী ছিলেন।আজকেও পুরো লেখাটি শেষ করতে পারছিনা বন্ধুরা অনেকটা বড় হয়ে যাচ্ছে লেখা।যেহেতু একজন ব্যক্তির জীবন সম্পর্কে লিখছি পুরো ঘটনা উল্লেখ না করলে লেখাটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি বন্ধুরা।আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি আপু আল্লাহর পরেই হচ্ছে ডাক্তারের স্হান কারণ ডাক্তার মানুষের জীবন বাঁচায়।আর ডাক্তার হলো সম্মানি ব্যক্তি কিন্তু সেই ডাক্তার যদি অমানুষ হয় তাহলে আর কিছুই করার থাকে না। আর অসদ্য ডাক্তারের জন্য বর্তমান ভালো ডাক্তার কে বিশ্বাস করাও কঠিন হয়ে পড়ে। জানার অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্ব কি হয়?
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হবো ইনশাল্লাহ।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যদিও আপনার লেখা ব্লগের প্রথম পর্বটি পড়া হয়নি।কিন্তু দ্বিতীয় পর্ব পড়ে বুঝতে পারলাম ডাক্তারের গুণাবলী সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।যাইহোক আপনার মামা ছোট খাটো ডাক্তার ছিলেন এবং এতগুলো রোগে আক্রান্ত ছিলেন জেনে খারাপ লাগলো।তাছাড়া তিনি চাকুরীও করতেন কিন্তু কম বয়সে করোনার সময়ে এভাবে অসুস্থ হয়ে পড়াটা বেশ চিন্তার।আপনার মামা সার্জারিতে সুস্থ হয়ে গেছে বলে আশা করছি, ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
না আপু সুস্থ হয়েছিল না। পরবর্তী পর্বে বাকিটা জানতে পারবেন ইনশাল্লাহ।ধন্যবাদ পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রথম পর্বটি আমি পড়েছিলাম এবং আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল। যাইহোক এখনকার বেশিরভাগ ডাক্তাররা রোগীর চিন্তা করে না। শুধু নিজের চিন্তা করে এবং হসপিটালের লাভের কথা চিন্তা করে। সেজন্য এতো এতো টেস্ট দেয়, এতো এতো ঔষধ দেয়। পরবর্তীতে আপনার মামার কি হলো সেটা জানার আগ্রহ বেড়ে গেল। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া ঠিক বলেছেন একদম।খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হবো ইনশাল্লাহ।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit