আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
ফেসবুক আসক্তি আমাদের কমবেশি সবারই রয়েছে।তবে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বেশি লক্ষ্য করা যায় এই আসক্তি।আমরা যেকোনো ধরনের আসক্তি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করব ।কারণ আসক্তি ভালো কিছু বয়ে আনেনা।ফেসবুক আমাদের জীবনের অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট করতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে।বর্তমান ফেসবুক এ সবধরনের ফিচার এর ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে।
যেমন - ভিডিও,চ্যাট,রিলস অর্থাৎ একের ভিতর সব।কোনোভাবেই যদি একবার আপনি রিলস দেখতে শুরু করেন পাঁচ মিনিটের জন্য দেখতে শুরু করলে সেটা ক খন ঘন্টাতে গিয়ে পৌঁছাবে আপনি বুঝতেও পারবেন না।এভাবে করে দিনের পর দিন একজন মানুষ তার নিজের মূল্যবান সময় ব্যয় করছে অহেতুক।
টিনেজ থেকে শুরু করে স্টুডেন্ট পর্যায়ের লোকদের ফেসবুক ব্যবহারের হার বেশি।বর্তমান বেহাল শিক্ষা ব্যাবস্থা অনেকটা দায়ী ছিল এই অতিরিক্ত মাত্রায় ফেসবুক ব্যবহার।কেননা বই খুললেই শিক্ষার্থীদের পড়ার অংশ খুব একটা ছিলনা। প্রায় স্টুডেন্ট একই কথা বলতো কি পড়বে পড়ার তেমন কিছু নেই।তাছাড়া পরীক্ষার কোনো চাপ তাদের ছিলনা।আগের দিন প্রশ্ন পেয়ে যেত সেটাই পরীক্ষা হতো।
অতিরিক্ত ফেসবুক ব্যাবহার অনেকটাই ক্ষতির কারণ যেকোনো বয়েসের ব্যাক্তির জন্য ।কেননা ফেসবুক এ যেমনি সঠিক খবরের ছড়াছড়ি হয় ঠিক তেমনি গুজবেরও। যার জন্য অনেক সময় ভুল বুঝাবুঝির বশবর্তী হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।যেত সমাজ,দেশ এবং জাতির জন্য অশুভ হয়ে দাঁড়ায়।
তাছাড়া আপত্তিকর এবং ভয়াহ ভিডিও , যেটা মানুষের মনে ভয় এবং আচরণগত পরিবর্তনের জন্য অনেকটাই প্রভাব ফেলতে দায়ী।আমাদের সকলের উচিত একটি লিমিটের মধ্যে থেকে ফেসবুক এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহার করা ।তাহলে আমাদের সময়ের যেমনি সদ ব্যাবহার হবে তেমনি আমাদের মস্তিষ্কের জন্য অনেকটাই ক্ষতি মুক্ত হবে ।
আমরা সবাই ডিজিটাল ওয়েল বিং এর মাধ্যেমে স্ক্রিন টাইম গুলো ট্রাক করে নিজেদের অভ্যাস গুলো পরিবর্তন করতে পারি সহজেই ।ডিজিটাল ওয়েল বিং আমাদের গতিপথ ট্রাক করতে অনেকটাই কার্যকরী। যেমনি আপনি কোন অ্যাপস এ কত সময় দিয়েছেন সেটা খুব সহজেই দেখতে পারবেন।এতে করে নিজেকে পরিবর্তনের অনেকটাই সুযোগ পাবেন। একপর্যয়ে গিয়ে নিজের ফেসবুক আসক্তি দূর করতে সক্ষম হবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 13th August,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
ফেসবুকের যেমন ভালো দিক আছে তেমনি খারাপ দিক আছে। ফেসবুকে আসক্তি হয়ে হাজার হাজার যুবসমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে কোন কিছু ঘটলেই তা আগে ফেসবুকে শেয়ার করতে হবে। এতে করে নিজের ব্যক্তিত্বকে হারিয়ে ফেলছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি একদম পারফেক্ট একটা কথা বলেছেন এখানে আপু, যে আমরা রিলস যখন দেখা শুরু করি তখন মনে করি যে ৫ মিনিটে দেখে শেষ করবো। কিন্তু কখন যে এক ঘন্টা কেটে যায় দেখতে দেখতে সেটা আসলেই বোঝা যায় না। এটা খুব বড় ধরনের একটা আসক্তি। তবে শিক্ষা ব্যবস্থার উপর যে ফেসবুক একটা বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে, এটা কিন্তু সত্যিই বাস্তব কথা। তাছাড়া ফেসবুকে ভুল তথ্য কিংবা আপত্তিজনক ভিডিও আপলোড করে মানুষের মনের ভিতর বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। যাইহোক, আপনার আজকের লেখাটা পড়ে আশা করি অনেকেই সচেতন হবে এই ব্যাপারে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া ,ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিষয়টা পড়ে খুব মজা লাগলো যখন বললেন একটা রিলস ৫ মিনিটের জন্য দেখতে গিয়ে দেখা যায় ঘন্টা পার হয়ে যায়,হাহাহা। এটা আমার ক্ষেত্রেও হয় আপু। হয়তো কোন কাজে ফেসবুকে গিয়েছি বা কোন সোশ্যাল মিডিয়া গিয়েছি তখন দেখা যায় যে অনেক সময় পার হয়ে যায় যেটা আমরা বুঝতেই পারি না। যে কাজের জন্য গিয়েছি সেই কাজটাই করা হয় না। বর্তমান সময়ে যুব সমাজ নষ্ট হচ্ছে শুধুমাত্র এই অতিরিক্ত আসক্তির কারণে। অনেকের পড়ালেখার যেমন চাপ নেই তেমনি কাজেরও কোন চাপ নেই। আর এর মাঝেই তারা ডুবে থাকে, বিভিন্ন রকম খারাপ কাজেও আসক্ত হয়ে যায়। খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করছেন আপু, খুব ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু সবারই এক অবস্থা,ধন্যবাদ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদমই ঠিক কথা তুলে ধরেছেন আজকের পোস্টে আপু।আসলে আমি নিজেও ফেসবুকে আসক্ত একটি ব্যাক্তি তাই এসব সম্পর্কে খুব ভালো ধারনা আমার তবে আমি আমার বাংলা ব্লগে আসার পর থেকে ফেসবুকের প্রতি আসক্তি অনেক কমে গেছে। ফেসবুক আসক্তি থেকে দূরে আসার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু কথা তুলে ধরেছেন যা অনেকেই উপকারী হবে বলে মনে করছি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু মোটামুটি সবাই আসক্ত বলা যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমানে ফেসবুকে আসক্ত হয়ে অনেক ছেলে মেয়েরা নিজেদের পড়াশোনার বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। পাশাপাশি নিজেদের চোখেরও বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। আমার মতে যেসব তরুণ তরুণীরা ফেসবুকে আসক্ত, তাদের মা বাবার উচিত, তাদেরকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেওয়া 😂। তারপর বিয়ের পর পড়াশোনা করবে এবং ফেসবুক চালানো নিষেধ। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ফেসবুক নিষিদ্ধ করলে বর নিষিদ্ধ করবে মেয়েরা আর ছেলের বউ 😁।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit