অতিরিক্ত ফরমালিন ব্যবহার মানব জীবনে হুমকিস্বরূপ||

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

আজ-১২ই আশ্বিন||১৪২৯ বঙ্গাব্দ,শরৎকাল||


আসসালামুআলাইকুম/আদাব। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম।আমার আজকের লেখার বিষয় হচ্ছে ফরমালিন।

2.jpg

সোর্স

আজকে আমার ফরমালিন নিয়ে লেখার কারণ হচ্ছে,আমরা বর্তমান যেখানে থাকি এখানে কোন মাছ খাওয়ার উপযোগী নেই। কারণ অতিরিক্ত মাত্রায় ফরমালিন ব্যবহার।শাক সবজি ফলমূল পানিতে ভিজিয়ে রেখে বিষক্রিয়া কমানো গেলেও সেটা মাছের ক্ষেত্রে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।এজন্য মাছ খাওয়া অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছি আমি। একটু বড় সাইজের মাছে ফরমালিন বেশি মাত্রায় ব্যবহার করে যার ফলে বড় সাইজের মাছ খাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে আমার জন্য।আর বাজারের মাছে ফরমালিন ব্যবহার করে এজন্য লেকের মাছ নিয়ে আসছিল কিছুদিন সেই একই সমস্যা।যদিও ২০১৩ সালে খাদ্যে ফরমালিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। তবুও ব্যবসায়ীগণ মাছের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঠেকাতে এবং দীর্ফমেয়াদি ব্যবসার সুবিধার্থে ফরমালিন ইনজেক্ট করেই যাচ্ছে।

2.jpg

সোর্স

ফরমালিনের অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।বিজ্ঞানের ভাষায় সাধারণত ফরমালডিহাইডের ৩০ থেকে ৪০ পার্সেন্ট জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলা হয়।আসলে ফরমালিনের কাজ হচ্ছে সংক্রমিত হতে না দেওয়া। ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে জীবাণুমুক্ত রাখা কোনো খাদ্য দ্রব্যকে। কিন্তু ফরমালিনের অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের জীবনকে হুমকির দিকে নিয়ে যাচ্ছে ।এদিকে ব্যবসায়ীরা ফরমালিনের ব্যবহার এর বদলে অপব্যবহার করছে। যার ফলে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যেমন আজকাল ফলমূল,মাছ,শাক সবজিতে অতিরিক্ত মাত্রায় ফরমালিন ব্যবহারের ফলে মানুষ ক্যান্সার নামক ঘাতক ব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছে।ফরমালিন অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহারের ফলে মানব দেহে যে সকল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ।লিভারের এনজাইম গুলো নষ্ট করছে,কিডনির কোষ গুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যা বাড়ছে।শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত জনিত সমস্যা সৃষ্টি করছে।গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফরমালিন যুক্ত খাবার শিশুর জন্য মারাত্মক ক্ষতি সাধন করছে।এছাড়া ফরমালিনযুক্ত খাবার অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে মানুষেরর খাদ্য গ্রহনে অনীহা দেখা দিচ্ছে।ফরমালিন বেআইনিভাবে উৎপাদন আমদানি পরিবহন নিষিদ্ধ।ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকার ফরমালিন ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স এর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীগণ নিজেদের কার্যসিদ্ধির জন্য ফরমালিন ব্যবহার করেই যাচ্ছে।আমাদের সকলের উচিত এরকম অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করা এবং আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা। তাহলে হয়তো অনেক ব্যবসায়ীরা এসকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন এবং আমরা সুস্থ,সুন্দর জীবনযাপন করতে সক্ষম হবো।

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আমার লেখাটি কেমন লাগলো কমেন্টটে অবশ্যই জানাবেন বন্ধুরা। আবার নতুন কোনো লেখা নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের সামনে হাজির হবো। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

ধন্যবাদ সবাইকে

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

আল্লাহ হাফেজ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

একদম বাস্তবমুখী একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। বর্তমানে ফরমালিনের হার এতই বেড়েছে যে একটি কমলা 15 দিন আগে এনে যেভাবে রেখেছিলাম সেভাবেই রয়ে গিয়েছে।আর তার প্রধান কারণ দেশে ফরমালিন এর অপব্যবহার। এটি কমানো সম্ভব না যদি মানুষ সচেতন না হয়।

জি আমাদের সচেতন হওয়া জরুরী। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া লেখাটি পড়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আশা করি এই রকম আরো বাস্তব মুখি পোস্ট আপনার কাছ থেকে দেখতে পাবো। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।

ফলমূল পানিতে ভিজিয়ে রাখা সম্ভব হলেও মাছের ক্ষেত্রে তা অনুপযোগী। আর সত্যি বলতে আমার বাজারের মাছ কিনে খাওয়া হয়না বললেই চলে। কারন গ্রামে পুকুরেই পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ পাচ্ছি এবং আসে পাশের মাছ চাষির কাছ থেকেই ক্রয় করছে আম্মু। যাইহোক এই ফরমালিনের ক্ষতিকারক দিকও তুলে ধরেছেন। অনেকেই ভালো একটি ধারনা পাবে।

জি আপু।তাহলে তো আপনার বেশ সুবিধা আছে নিজের পুকুরের মাছ খেতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

আপু আপনি ঠিক বলেছেন অতিরিক্ত ফরমালিন আমাদের সকলের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ২০১৩ সালের সেই আইন কয়জনে মেনেছে। অতিরিক্ত ফরমালিনের কারণে মানুষ বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আগেকার মানুষেরা অনেক বছর বাঁচত কারণ তারা ফরমালিন মুক্ত ফ্রেশ খাবার খেত। শুধুমাত্র অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের লোভের কারণে অতিরিক্ত আয়ের আশায় ফরমালিন ব্যবহার করছে।

সময় উপযোগী পোস্ট করেছেন আপু। ব্যবসায়িরা সচেতন না হলে এ পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হওয়া কঠিন ।

জি আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

ফরমালিন জিনিসটা সত্যিই অনেক ভয়ানক আপু। ঠিক বলেছেন ফলমূল পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ফরমালিন কিছুটা হলেও দূর করা সম্ভব। আমরা তো বাসায় ভাত রান্না করার আগে চাল ও কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখি। কিন্তু মাছের ক্ষেত্রে এটা আসলেই অসম্ভব। আশা করছি আপনার এই পোস্টটি আমাদের সকলের জন্য উপকারী হবে। ধন্যবাদ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পোস্ট আকারে আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য এবং তুলে ধরার জন্য।

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

ঠিক বলছেন আপু। বাজারের এখন মাছ গুলো প্রায় ফরমালিন দেয়।কি আর করা সরকারের একটু দৃষ্টি রাখা দরকার। আগে কম ছিল বর্তমান সময়ে বেশি বেড়ে গেছে ফরমালিন ব্যবহার।ফরমালিন কারণে আমাদের রোগ ব্যাধি বেশি হচ্ছে মানুষের আর আগে মানুষ রা ফরমালিন মুক্ত খাবার খেত তাই ওনাদের রো ব্যাধি কম ছিল। আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই রকম একটা বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করাব জন্য।

জি আপু এখন ফরমালিন এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের জন্যই রোগ ব্যাধি হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য আপু।

আপনি বাস্তবসম্মত পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন‌। বর্তমান সময়ে ফরমালিন ছাড়া কোন ফল মূল পাওয়া যায় না । মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকারক ফরমালিন সর্বোত্ত ছড়িয়ে পড়েছে। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। এত চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। গঠনমূলক ও সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।