লোডশেডিং সবসময় বিরক্তির ছিলনা||

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

||আজ-২০ই,ফাল্গুন||১৪২৯বঙ্গাব্দ,বসন্তকাল||


🌺আসসালামুআলাইকুম/আদাব।আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমি খুব একটা ভালো নেই।কারণ টা নিশ্চয় বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা আমার পোস্টের টাইটেল দেখে।লোডশেডিং নিয়ে এখকার সময়ের এবং অতীতের কিছু মজার ঘটনা আজকের পোস্টে শেয়ার করতে চলেছি বন্ধুরা।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।🌺

tea-lights-2223898_1920 (1).jpg

সোর্স

গত দুইদিন যাবৎ শুরু হয়েছে এই লোডশেডিং। শীত যেতে না যেতেই শুরু হয়ে গেল অস্বস্তিকর পরিস্থিতি।আর দিনের বেশিরভাগ সময় লোডশেডিং থাকার কারণে দিনে কোনো কাজই করতে পারছিনা।আগে লোডশেডিং হলে খুশি হতাম।কিন্তু এখন লোডশেডিং হলেই বিরক্ত লাগে।কোনো কাজ না থাকলেও বা আগের মতো পড়ার ভয়েও মনে হয়না লোডশেডিং স্থায়ী হোক।

যখন স্কুলে পড়তাম।লোডশেডিং থাকলে বাসার সবাই উঠানে বসে আড্ডা দেওয়া হতো।আগেকার দিনে এখনকার মতো ফ্ল্যাট বাসাগুলো খুব একটা ভাড়া পাওয়া যেত না গ্রামের দিকে।যেহেতু আব্বুর অফিস ইউনিয়ন পর্যায়ে ছিল সবসময়। দশ বারো বছর আগে গ্রাম গুলোতে ফ্ল্যাট বাসা মিলতো না।তাই ওই সময়ে ওয়াল টিন শেডের বাসায় থাকতাম আমরা।অন্যান্য ভাড়াটিয়াও বাস করতেন,তারাও এনজিও তে চাকুরি করতেন।

একে অপরের সাথে খুব বেশি আন্তরিকতা ছিল তখন,এখন আর তেমন আন্তরিকতা নেই কারও সাথে কারও।সব কিছুর উন্নয়ন হয়েছে ঠিকই কিন্তু একে অপরের সাথে বন্ধন আর আগের মতো দৃঢ় নেই।আন্তরিকতার বড় অভাব মানুষের।

অতীতে আমি এবং আমার বান্ধবীরা লোডশেডিং এর সময় উঠানে বসে আড্ডা দিতাম আর বলতাম আজ যাতে আর বিদ্যুৎ না আসে। জোৎস্না রাতে চাঁদের দিকে তাকিয়ে চাঁদের বুড়ি খোঁজার চেষ্টা করতাম।এখন সবই ইতিহাস।কারণ বিদ্যুৎ আসলে আড্ডা ভেঙে যাবে আর পড়তে বসতে হবে।তখনকার দিনগুলো অনেক রঙিন ছিল।

কিন্তু বর্তমানে আর সেই আড্ডা টা আর নেই।আমি অনলাইন প্রাইভেট ব্যাচে ভর্তি হলেই শুরু হয় এই লোডশেডিং। গত বারও একই অবস্থা হয়েছিল।বিদ্যুতের অবস্থা ভালো দেখে ভর্তি হই আর ভর্তি হওয়ার পরই শুরু হয় লোডশেডিং।তবে আমাদের বাসার লাইনে বেশি খারাপ অবস্থা।একই গ্রামের অন্য লাইনে এতোটা লোডশেডিং দেয় না।

এখনকার সময়ে এজন্যই লোডশেডিং বিরক্তিকর।কিন্তু ছোটবেলার লোডশেডিং এতোটা বিরক্তির ছিলনা।অতীতের কথা হঠাৎ করেই মনে পড়লো।আজ সন্ধ্যার দিক বেলকনিতে বসেছিলাম পরিবারের সবাই।তখনই অতীতের আনন্দের কথা মনে উকি দিল।তাই ভাবলাম আজকের ব্লগ না হয় লোডশেডিং নিয়েই হয়ে যাক।

ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।কেমন লেগেছে আমার ব্লগটি কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না বন্ধুরা। আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

❤️আল্লাহ হাফেজ❤️

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

ছোটবেলায় লোডশেডিং হলে খুশি হয়ে যেতাম। বই বন্ধ করে দৌড় দিতাম। সবাই মিলে গল্প খেলাধুলায় মেতে থাকতাম। আবার কারেন্ট চলে এলে কেন জানি মন খারাপ হয়ে যেত। সত্যি কথা বলতে একটা সময় ছিল সেই সময়টা অনেক উপভোগ করতাম। কিন্তু এখন বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে শৈশবের স্মৃতির মাঝে হারিয়ে গিয়েছিলাম। ভালো লাগলো লেখাগুলো পড়ে।

জি আপু একদম ঠিক বলেছেন।শৈশব আসলেই হারিয়ে গিয়েছে,মিস করি দিনগুলো।ধন্যবাদ আপনাকে আপু সুন্দর মতামতের জন্য ।

ঠিক বলেছেন আপু আমরা যত আধুনিক হচ্ছি আমাদের মধ্যে প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্কের দৃঢ়তা কমছে। আগে যখন লোডশেডিং হত সন্ধ‍্যার পর এলাকার সব বন্ধুরা লুকোচুরি খেলতাম। একটু বড় যখন হলাম তখন সবাই মিলে আড্ডা দিতাম। কিন্তু স‍্যোসাল মিডিয়ায় যুক্ত হওয়ার পর থেকে লোডশেডিং শুধু বিরক্তির মাএায় বাড়াই। অনেক সুন্দর পোস্ট ছিল আপু।।

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

ছেলেবেলার লোডশেডিং সত্যি অনেক মজার ছিল।লোডশেডিং হলে পড়া বন্ধ। গল্প, খেলাধুলো চলতো।আর কারেন্ট এলে সবাই একসংগে চিৎকার দেওয়া এখন আর দেখা যায় না। আপনি খুব সুন্দরভাবে ব্লগটি শেয়ার করেছেন, অনেক ধন্যবাদ আপু।।

ধন্যবাদ আপু।

আপনার মত ছোটকালে আমরাও লোডশেডিং হলে খুশি হতাম। কারণ পড়ালেখা রেখে বাইরে গল্প করতাম। তবে এখন ঠিক বলেছেন লোডশেডিং মানে যন্ত্রনা। এখনো পুরোপুরি গরম আসে নাই আমাদের এদিকেও লোডশেডিং অনেক বেশি। আর ছোট কালের কথা মনে পড়লে এখন চিন্তা করি ছোটকালটি অনেক মজারই ছিল। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

ধন্যবাদ আপু।