অসুস্থতা এড়াতে অনিয়ম থেকে দূরে থাকুন এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখুন

in hive-129948 •  2 months ago  (edited)
❤️আসসালামুআলাইকুম/আদাব❤️

আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।

nature-3125912_1280.jpg

ছবির উৎস

শীতকাল আসন্ন,এজন্য চারিদিকে অসুস্থতার মাত্রা বেড়ে চলেছে।যেহেতু গরমকালের শেষ তাই শেষ সময়ে এসে গরমটাও যেন বেড়ে চলেছে।অতিরিক্ত গরম তারপর তিন ঘণ্টা করে লোডশেডিং আবার এক ঘন্টা থেকে আবার তিন ঘণ্টা লোডশেডিং।এজন্য অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।আমারও সেই একই অবস্থা।যদিও আমার কোনোবারই এরকম অসুস্থতা ভর করে না।এবারই শুধু এক মাসের মধ্যে দুই তিনবার জ্বর দেখা গেল।স্বাভাবিকভাবে যাদের ইমিউনিটি দুর্বল তাদের বেশিরভাগ জ্বর আসতে দেখা যায়।তবে অনেকাংশে জ্বর,ঠান্ডা এগুলোর জন্য আমরাই দায়ী বলা যায়।এই সময়ে কিছুটা অনিয়ম এই রোগগুলোর কারণ।আমি সবসময় নিয়মের মধ্যে চলার চেষ্টা করতাম।তবে কিছুদিন আমার অনিয়ম হয়ে যাচ্ছে আর তার জন্যই মূলত অসুস্থতা।

আমার যেটা মনে হয় অসময়ে গোসল এই ঠান্ডা জ্বরের জন্য দায়ী।দুপুর ১২ টা থেকে ১ টার মধ্যে গোসল করে নেওয়া জরুরি।এধরনের অসুখ বিসুখ এড়াতে আমার দেখা যায় এই সময়টার অনেক পরে গোসল করা হয় ইদানিং এজন্যই অসুস্থতা ঘিরে রেখেছে।আসলে নিয়মমাফিক জীবনমান টা জরুরি সুস্থ থাকাতে।আর যাদের এলার্জি সমস্যা আছে তাদের তো রোগ ব্যাধিতে পড়তে আরও বেশি দেখা যায়।আমার ডাস্ট এলার্জি রয়েছে এজন্য ঘরের যেকোনো পুরোনো জিনিসপত্র,বই খাতা পরিষ্কার করতে গেলেই এলার্জি বাড়ে তারপর ঠাণ্ডা আর এভাবেই জ্বর।এজন্য ঘরের ময়লার কাজগুলো আমি করতে পারিনা।তাছাড়া ঝুল, কালি ভাঙার কাজও অনেক সময় এলার্জি ডেকে আনে।প্রথমে হাঁচি,কাশি তারপর ঠান্ডা।এবার মূলত এই কাজগুলো করার জন্যই আমার অসুস্থতা।তবে আমাদের বাসার সবারই মোটামুটি এলার্জি। আম্মুর ও একই অবস্থা সেদিন একইভাবে ময়লা জিনিসগুলো পরিষ্কার করে তারও জ্বর,ঠান্ডা ।আসলে এই এলার্জি সমস্যা থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। করোনার টিকা নেওয়ার পর থেকেই আমার এই এলার্জি শুরু হলো অতিমাত্রায়।আর কোনো রোগ একবার শরীরে গেঁথে গেলে সেটা পুরোপুরি নিরাময় করা যায়না বিশেষ করে এই টাইপ এর রোগগুলোর ক্ষেত্রে।

জলবায়ুর পরিবর্তনে পরিবেশের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে।আর আমাদের পরিবেশ এখন সত্যি বলতে আমাদের অনুকূলে আর নেই।অসময়ে বৃষ্টি,গরম।তাছাড়া মোটামুটি প্রতি বছর এই সময় থেকেই শীত পড়ে যায়।কিন্তু এবার যেন উল্টা।গতকাল এত পরিমাণ গরম ছিল যেটা মনে হচ্ছিল একদম গ্রীষ্মকালের প্রতিচ্ছবি।পরিবেশের অনুকূলে না থাকার পেছনে অবশ্য আমরাই দায়ী।কেননা দেখুন গাছপালা রোপণের বদলে আমরা সেগুলো ধ্বংস করছি। আবাদি জমি,বাগান কেটে সেখানে বিলাসবহূল রিসোর্ট করছি।আর এগুলোতে আমরা সাময়িক কৃত্রিম আনন্দ কেই বড় করে দেখছি।অথচ আমাদের উচিত ছিল গাছ রোপণ করা।এভাবে চলতে থাকলে আগামী ১০০ বছর নাগাদ পরিবেশ ধ্বংসের দিকে চলে যাবে।পৃথিবী আর মানুষের বসবাস উপযোগী থাকবেনা।পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে হলে অবশ্যই গাছ রোপণের দিকে নজর দিতে হবে।তাছাড়া কলকারখানার ধোয়া থেকে পরিবেশকে বাঁচাতে আধুনিক ব্যাবস্থা গুলো গ্রহণ করতে হবে। মনুষ্য সৃষ্ট আরাম আয়েশের কৃত্রিম ব্যবহার্য জিনিস কখনো পরিবেশের মত আমাদের সুবিধা দিবে না এটাই চিরন্তন সত্য।

ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।


❤️আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি❤️
আমি রাহনুমানূর দিশা।আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী।আমি বর্তমান অনার্স চতুর্থ বর্ষে পড়াশুনা করছি।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সাথে দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় থেকে যুক্ত রয়েছি।বাংলা ভাষায় লিখতে, পড়তে এবং নতুন নতুন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে আমার ভালো লাগে।এছাড়াও ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতে অনেক ভালো লাগে।অবসর সময়ে গান শুনতে এবং বাংলা নাটক দেখতে পছন্দ করি।

Post by-@rahnumanurdisha
Date -1st November,2024


Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Twitter_Banner_24.3.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

সুস্থ থাকার জন্য নিয়মমাফিক চলাফেরা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি নিয়ম মেনে চলাফেরা করি তাহলে আমাদের শরীর ভালো থাকবে এবং সুস্থ থাকতে পারবো। আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। দারুন লিখেছেন আপনি।

জি আপু এই সময়টার জন্য অনেক জরুরি,ধন্যবাদ।