দীর্ঘমেয়াদি প্ল্যানমাফিক রুটিন জরুরি।

in hive-129948 •  2 months ago  (edited)
❤️আসসালামুআলাইকুম/আদাব❤️

আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।

self-care-6886591_1280.jpg

ছবির উৎস

শীতকাল এই সময়টা রোগব্যাধি আর আলসেমি তে যেন ভরা।আমরা যখন স্কুলে পড়তাম স্যাররা তখন বলতেন সেপ্টেম্বর ,অক্টোবরের সময়টা ভালো করে কাজে লাগাতে।কারণ শীতের সময় অসুস্থতা আলসেমি এগুলোর জন্য অনেকেই পিছিয়ে পড়ে।দৈনন্দিন জীবনে রুটিন মাফিক চলতে পারাটা একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয়।আর যেকোনো কিছুতেই যদি প্ল্যান মাফিক চলেন তাহলে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করা যায়।আমরা যারা শিক্ষার্থী রয়েছি তাদের খুব কমন একটি সমস্যা রুটিন অনুযায়ী চলতে পারিনা ।প্রথম পাঁচ সাত দিন চললেও পরবর্তীতে গিয়ে রুটিন মেইনটেইন করা কষ্টকর হয়ে পড়ে।

রুটিন তৈরির পিছনে সবচেয়ে বড় ভুলটা হচ্ছে দৈনন্দিন রুটিন সীমাবদ্ধ করা। অর্থাৎ আপনি কোন সময় ঘুমাবেন ,কোন সময় খাবেন, কোন সময় পড়াশোনা করবেন এই জিনিসটা ধরা বাধা না রাখা। মনে করুন আপনি রাত এগারোটায় ঘুমাবেন ,এটা আপনার রুটিনে রেখেছেন ।কিন্তু কোনো কারণে ওই সময়টাতে আপনি ঘুমাতে পারলেন না ।আর তখন থেকে আপনার ডিপ্রেশন শুরু হয়ে যাবে। আপনি আপনার রুটিন মাফিক চলতে পারেননি তাই। এজন্য রুটিনটি একমাস বা দুই মাস দীর্ঘমেয়াদি এভাবে প্ল্যান করে করলে দেখবেন তাতে খুব সহজেই নিজের গোল গুলো এচিভ করা যায়।আমরা বেশিরভাগ এখানে স্টুডেন্ট রয়েছি তাই আমি পড়াশুনার ব্যাপারটাই বলছি।মনে করুন একটি বই আপনি শেষ করবেন আগামী দুই মাসের মধ্যে।এজন্য সর্বপ্রথম আপনার বই এর চ্যাপ্টার গুলো ভাগ করে নিতে হবে।যেমন ধরুন ১০ টা চ্যাপ্টার যদি থাকে আপনার তাহল প্রথম মাসে আপনাকে পাঁচ চ্যাপ্টার কমপ্লিট করতে হবে।আর ওই পাঁচ চ্যাপ্টার কে চার সপ্তাহে ভাগ করে নিতে হবে।এক সপ্তাহে আপনি একটি চ্যাপ্টার শেষ করবেন এরকম আরকি।এভাবে করে আপনি আপনার রুটিন টি চেষ্টা করবেন সেট করার।তাহলে একপর্যায় দেখতে পারবেন ওই সময়টির মধ্যে আপনার কাজগুলো সম্পন্ন হয়ে যাচ্ছে আপনাআপনি।

দৈনন্দিন রুটিন করলে দেখা যায়,স্কুল,কলেজ, টিউশন ইত্যাদি কারণে আপনার ডেইলি টাস্ক আপনি কমপ্লিট করতে পারেন না ।ফলে আপনি কাজটি না করতে পারায় হীনম্মন্যতায় ভুগতে পারেন।অন্যদিকে যারা কর্মজীবী রয়েছেন তারাও তাদের কাজগুলো কে ভাগে ভাগে সম্পন্ন করতে পারবেন দীর্ঘমেয়াদি একটি প্ল্যানের মাধ্যমে।রুটিন করতে হবে অবশ্যই বাস্তবসম্মত।কারণ অবাস্তব রুটিন আপনার মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি করবে।যার ফলে আপনি আনন্দ পাবেন না কাজটিতে।মনে রাখবেন আমাদের জীবনে বিনোদন একইভাবে জরুরি। নিজেকে ও পরিবারকে সময় দিলে আপনি বাড়তি এনার্জি পাবেন।এছাড়া দৈনন্দিন জীবনে শরীরচর্চা রাখবেন অন্তত সপ্তাহে পাঁচদিন।এটি আপনাকে একটিভ হতে সাহায্য করবে।এছাড়া মেডিটেশন করলে আপনার মনের ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।অযথা সময় নষ্ট করা থেকে বিরত থাকতে পারবেন।একটি সময় ছিল এত পরিমাণ মানসিক রোগী দেখা যেত না।এখন মানসিক রোগকে বেশ প্রাধান্য দেওয়া হয়।এজন্যই সাইকোলজিস্ট দের বর্তমান বেশ নাম ডাক।আগে এইভাবে পরিচিতি ছিলনা তাদের।ডিজিটাল মিডিয়া আসার পর আমাদের দেশে মানুষজন এত বেশি স্ক্রিনে টাইম কাটান।যার ফলে তারা অনলাইন ধোঁকা থেকে শুরু করে নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।সর্বোপরি রুটিন মাফিক নিজের জীবন পরিচালনা করলে সবকিছু পজেটিভ ভাবে চলতে থাকবে।এজন্য আমাদের প্রত্যেকের একটি দীর্ঘমেয়াদি প্ল্যানমাফিক রুটিন জরুরি।

ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।


❤️আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি❤️
আমি রাহনুমানূর দিশা।আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী।আমি বর্তমান অনার্স চতুর্থ বর্ষে পড়াশুনা করছি।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সাথে দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় থেকে যুক্ত রয়েছি।বাংলা ভাষায় লিখতে, পড়তে এবং নতুন নতুন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে আমার ভালো লাগে।এছাড়াও ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতে অনেক ভালো লাগে।অবসর সময়ে গান শুনতে এবং বাংলা নাটক দেখতে পছন্দ করি।

Post by-@rahnumanurdisha
Date -25th November,2024


Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Twitter_Banner_24.3.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Screenshot_2024-11-25-16-52-24-15.jpg

Screenshot_2024-11-25-16-51-40-35.jpg

Screenshot_2024-11-25-16-51-33-53.jpg

আমার সমস্যা তো ঐটাই। চাইলেও তো একটা দীর্ঘমেয়াদি রুটিন তৈরি করা যায়। কিন্তু সেই রুটিন অনুযায়ী চলতে পারি না এটাই তো সমস্যা। আমরা যদি সবকিছু ঠিকঠাক করতাম তাহলে অনেক এগিয়ে যেতাম হয়তো। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য শক্তি সেটা থেকে যেন আমাদের দূরে রাখে হা হা।

রুটিন মাফিক সবকিছু করলে সফলতা দ্রুত আসে। আসলে আমরা অনেক সময় চেষ্টা করলেও রুটিন অনুযায়ী কোন কিছু করতে পারি না। তবে যারা রুটিন ফলো করে এগিয়ে যায় তারাই ভালো কিছু করে।