মোবাইল ফোন সাইলেন্ট করে বিপাকে পড়ার একটি ঘটনা||

in hive-129948 •  last year 
❤️আসসালামুআলাইকুম/আদাব❤️

আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।


smartphone-1894723_1280.jpg

ছবির উৎস


আজকে আপনাদের সাথে যেই বিষয়টি নিয়ে লিখতে চলেছি ,এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা।আমরা বর্তমান যুগে মোবাইল ফোন ইউজ করি।এটার সুবিধা যেমনি রয়েছে অসুবিধাও রয়েছে।তবে সঠিকভাবে ইউজ করলে সুবিধাটি বেশি উপলব্ধি করি আমরা।বিশেষ করে যেকোনো সময় যোগাযোগ টা আমরা ঠিকঠাকভাবে করতে পারি এই মোবাইলের কল্যাণে।বিভিন্ন সংবাদ ইত্যাদির আদান প্রদান হয়ে থাকে ফোন কলের মাধ্যমে।কিন্তু কোনো কোনো সময় আমাদের এই ফোনের বিরক্তিকর রিংটোন আমাদের কর্মক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে।যেমন - স্কুল ,কলেজ ,ডাক্তারের চেম্বার, কোনো গুরুত্বপূর্ণ মজলিস এ হঠাৎ আসা ফোন আমাদের বিপাকে ফেলে দেয়।এজন্য আমরা সাইলেন্ট মোড বা মিউট করে রাখি মোবাইল সেটিং অপশনে।বর্তমান আমরা অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এই মিউট অপশন পেয়েছি তবে আগে যখন বাটন ফোন ইউজ করতাম তখন আমাদের সাইলেন্ট মোডে নিয়েই যেকোনো কর্মক্ষেত্রে যেতে হতো মোবাইল।

এই মোবাইল সাইলেন্ট করা নিয়ে আমার জীবনে একটি ঘটনা রয়েছে ।আজকে হঠাৎ একটু আগেই এই বিষয়টি মনে পড়লো এজন্য আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এলাম বন্ধুরা।২০২২ এর জানুয়ারি মাস তখন।আমাদের প্রথম বর্ষের ল্যাব ক্লাস হচ্ছিল।আমাদের কলেজে ল্যাব ক্লাসগুলো হয় সাধারণত থিওরি পরীক্ষার পরের সময়টাতে।তো স্বাভাবিক ভাবেই ল্যাব ক্লাসে যাওয়ার আগে আমাদের ফোন সাইলেন্ট করেই যেতে হয়।কেননা স্যার আবার রাগ করেন কারো ফোনে যদি রিংটোন বেজে ওঠে।সেদিন আমাদের ক্লাস সাড়ে এগারোটার মধ্যে শেষ হয়ে যায়।ক্লাস শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমাদের অনেকটা সময় হাতে থাকে। কারণ আমরা তো ট্রেনে করে বাসায় আসি।তাই এক ঘণ্টার সময়টা আমরা পুকুর পাড়েই ঘুরতে যায়।কিন্তু আমার একটুও খেয়াল ছিলনা যে আমি আমার ফোনকে জেনারেল মোডে করিনি।তখন অ্যান্ড্রয়েড ফোন নিয়ে যেতাম না কলেজে।কেননা রেইল স্টেশনে তো পকেটমারের একটা বিষয় রয়েছে শুধুশুধু ফোনটা নিয়ে হারাবো এজন্য বাটন ফোনই নিয়ে যেতাম কলেজে।সেই সময়টাতে তো ব্লগিং এ আসা হয়েছিল না তাই আরকি ফোন সেভাবে দরকার পড়তো না বাইরে।শুধু যোগাযোগ এর জন্য বাটন ফোন নিয়ে যেতাম।

এদিকে আমার দাদী সেদিন মারা যান সকাল ১০ টার দিকে।আমাকে বাসা থেকে ২২-২৩ বার ফোন দেওয়া হয়েছে ,মেসেজ দেওয়া হয়েছে।কিন্তু আমার ফোনের কথা আর খেয়াল নেই।যেহেতু জানুয়ারি মাস ছিল তাই কলেজের পুকুর পাড় সংলগ্ন মাঠে খেলাধুলা হচ্ছিল আমরা তাই দেখছিলাম সবাই মিলে।পুরো এক ঘণ্টা থেকে আমি আর আমার বান্ধবী স্টেশনে আসলাম।আমাদের অন্য বান্ধবীরা রাজবাড়ীতে থাকে ওরা বাসায় গেল।আর স্টেশনে এসে কিছুক্ষণ পর ফোন হঠাৎ নিয়ে দেখতে পাই এই মেসেজ। তখন তো আকাশ থেকে পড়া অবস্থা আমার।তখনি বাসায় ফোন দিই,পরিবারের সবাই বাড়িতে চলে গিয়েছে আম্মুকে রেখে আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।তারপর বাড়ি যেতে আমাদের বিকেল পাঁচটা বেজে যায় যেহেতু অনেকটা দূর আমাদের গ্রামের বাড়ি।আর সেদিন ফোন সাইলেন্ট করে রাখায় বাসা থেকে অনেক রাগ করেছিল আমাকে।তারপর থেকেই ফোন সাইলেন্ট থেকে বিরত থাকি।আপনারা কি আমার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছেন কখনো মোবাইল ফোন সাইলেন্ট করে? কমেন্ট জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা।

ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য। আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।


❤️আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি❤️
আমি রাহনুমানূর দিশা।আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী।আমি বর্তমান অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়াশুনা করছি।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সাথে দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় থেকে যুক্ত রয়েছি।বাংলা ভাষায় লিখতে, পড়তে এবং নতুন নতুন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে আমার ভালো লাগে।এছাড়াও ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতে অনেক ভালো লাগে।অবসর সময়ে গান শুনতে এবং বাংলা নাটক দেখতে পছন্দ করি।


Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

❤️আল্লাহ হাফেজ❤️

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

আসলে এমন একটা পর্যায়ে আমিও পড়েছিলাম একদিন। যেখানে আমার ফোনে 23 বার ফোন দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারপরেও আমাকে কেউ খুঁজে পাইনি। পরবর্তীতে যখন মোবাইলে হাত রাখি দেখলাম এতবার ফোন এসেছে আর কথা বলার পরে অনেক কথা শুনতে হয়েছিল।

হ্যা ঠিক বলেছেন একদম,ধন্যবাদ আপনাকে ।

আসলেই সাইলেন্ট করে রাখতে হয় কখনো কখনো। আমার তো এমন অবস্থা হয়েছে সাইলেন্ট করে রেখে এখন ফোনের রিংটোন বাজলে আমার সমস্যা হয় মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায়।আমাকে ফোন দিয়েও অনেকেই পায় না। যতোক্ষণ ফোন কাছে থাকে ততক্ষণ আমি রিসিভ করতে পারি নইলে নয়।কতোবার ফোন খুজে পাই না। ফোন দিলেও রিংটোন বাজে না সমস্যায় পরতে হয়।আসলে আমাদের উচিত যথা সময়ে আবার ফোনে রিংটোন দেয়া দরকার। নইলে আপনার মতো সমস্যায় পরতে হতে পারে।

জি আপু,ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।