আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
এই মোবাইল সাইলেন্ট করা নিয়ে আমার জীবনে একটি ঘটনা রয়েছে ।আজকে হঠাৎ একটু আগেই এই বিষয়টি মনে পড়লো এজন্য আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এলাম বন্ধুরা।২০২২ এর জানুয়ারি মাস তখন।আমাদের প্রথম বর্ষের ল্যাব ক্লাস হচ্ছিল।আমাদের কলেজে ল্যাব ক্লাসগুলো হয় সাধারণত থিওরি পরীক্ষার পরের সময়টাতে।তো স্বাভাবিক ভাবেই ল্যাব ক্লাসে যাওয়ার আগে আমাদের ফোন সাইলেন্ট করেই যেতে হয়।কেননা স্যার আবার রাগ করেন কারো ফোনে যদি রিংটোন বেজে ওঠে।সেদিন আমাদের ক্লাস সাড়ে এগারোটার মধ্যে শেষ হয়ে যায়।ক্লাস শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমাদের অনেকটা সময় হাতে থাকে। কারণ আমরা তো ট্রেনে করে বাসায় আসি।তাই এক ঘণ্টার সময়টা আমরা পুকুর পাড়েই ঘুরতে যায়।কিন্তু আমার একটুও খেয়াল ছিলনা যে আমি আমার ফোনকে জেনারেল মোডে করিনি।তখন অ্যান্ড্রয়েড ফোন নিয়ে যেতাম না কলেজে।কেননা রেইল স্টেশনে তো পকেটমারের একটা বিষয় রয়েছে শুধুশুধু ফোনটা নিয়ে হারাবো এজন্য বাটন ফোনই নিয়ে যেতাম কলেজে।সেই সময়টাতে তো ব্লগিং এ আসা হয়েছিল না তাই আরকি ফোন সেভাবে দরকার পড়তো না বাইরে।শুধু যোগাযোগ এর জন্য বাটন ফোন নিয়ে যেতাম।
এদিকে আমার দাদী সেদিন মারা যান সকাল ১০ টার দিকে।আমাকে বাসা থেকে ২২-২৩ বার ফোন দেওয়া হয়েছে ,মেসেজ দেওয়া হয়েছে।কিন্তু আমার ফোনের কথা আর খেয়াল নেই।যেহেতু জানুয়ারি মাস ছিল তাই কলেজের পুকুর পাড় সংলগ্ন মাঠে খেলাধুলা হচ্ছিল আমরা তাই দেখছিলাম সবাই মিলে।পুরো এক ঘণ্টা থেকে আমি আর আমার বান্ধবী স্টেশনে আসলাম।আমাদের অন্য বান্ধবীরা রাজবাড়ীতে থাকে ওরা বাসায় গেল।আর স্টেশনে এসে কিছুক্ষণ পর ফোন হঠাৎ নিয়ে দেখতে পাই এই মেসেজ। তখন তো আকাশ থেকে পড়া অবস্থা আমার।তখনি বাসায় ফোন দিই,পরিবারের সবাই বাড়িতে চলে গিয়েছে আম্মুকে রেখে আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।তারপর বাড়ি যেতে আমাদের বিকেল পাঁচটা বেজে যায় যেহেতু অনেকটা দূর আমাদের গ্রামের বাড়ি।আর সেদিন ফোন সাইলেন্ট করে রাখায় বাসা থেকে অনেক রাগ করেছিল আমাকে।তারপর থেকেই ফোন সাইলেন্ট থেকে বিরত থাকি।আপনারা কি আমার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছেন কখনো মোবাইল ফোন সাইলেন্ট করে? কমেন্ট জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য। আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে এমন একটা পর্যায়ে আমিও পড়েছিলাম একদিন। যেখানে আমার ফোনে 23 বার ফোন দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারপরেও আমাকে কেউ খুঁজে পাইনি। পরবর্তীতে যখন মোবাইলে হাত রাখি দেখলাম এতবার ফোন এসেছে আর কথা বলার পরে অনেক কথা শুনতে হয়েছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা ঠিক বলেছেন একদম,ধন্যবাদ আপনাকে ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই সাইলেন্ট করে রাখতে হয় কখনো কখনো। আমার তো এমন অবস্থা হয়েছে সাইলেন্ট করে রেখে এখন ফোনের রিংটোন বাজলে আমার সমস্যা হয় মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায়।আমাকে ফোন দিয়েও অনেকেই পায় না। যতোক্ষণ ফোন কাছে থাকে ততক্ষণ আমি রিসিভ করতে পারি নইলে নয়।কতোবার ফোন খুজে পাই না। ফোন দিলেও রিংটোন বাজে না সমস্যায় পরতে হয়।আসলে আমাদের উচিত যথা সময়ে আবার ফোনে রিংটোন দেয়া দরকার। নইলে আপনার মতো সমস্যায় পরতে হতে পারে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু,ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit