চিহ্ন ভিত্তিক মূল্যায়ন নীতিমালা নিয়ে আমার অভিমত||

in hive-129948 •  last year 
❤️আসসালামুআলাইকুম/আদাব❤️

আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।


ছবির উৎস


আজকে আমি আপনাদের মাঝে যেই বিষয় নিয়ে লিখতে চলেছি, বাংলাদেশি বন্ধুরা যারা আছেন তারা নিশ্চয় এতক্ষণে বুঝতে পেরে গিয়েছেন আমার লেখার বিষয় সম্পর্কে ।দীর্ঘ দুই যুগ পর আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন আনা হচ্ছে।এখানে পূর্বের জিপিএ সিস্টেম বাতিল করে চিহ্ন ভিত্তিক মূল্যায়ন সিস্টেম চালু করা হবে, এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।এই চিহ্ন ভিত্তিক মূল্যায়ন তিন ধাপে সম্পন্ন হবে।চতুর্ভুজ,বৃত্ত এবং ত্রিভুজ।যদি কোনো শিক্ষার্থী চতুর্ভুজ পায় পরীক্ষায়, তাহলে তার যত্ন প্রয়োজন ।বৃত্ত পেলে মোটামুটি ভালো ।আর ত্রিভুজ পেলে সবচেয়ে ভালো অবস্থান।এভাবে এক শ্রেণী থেকে অন্য শ্রেণীতে মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।



আমার ভাই সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে,এখন থেকে এই মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে ওদের।যেহেতু ওরাই ২০২৬ সালের এসএসসি ব্যাচ হবে।ওদের এখন পর্যন্ত একটা পরীক্ষা হয়েছে ,যার মূল্যায়ন একইভাবে করা হয়েছে।সিস্টেমটি আমার খুব একটা ভালো লাগেনি।কেননা এতে পড়ালেখার মান অনেকটা কমে গিয়েছে।পূর্বে আমরা যখন স্কুলে পড়াশুনা করেছি।আমাদের প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে ।আর শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা থাকাটা গুরুত্তপূর্ণ,যেটা আমার মনে হয়। এতে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ বাড়ে।বর্তমান শিক্ষা নীতিমালায় যেটা নিয়ে আসা হয়েছে এখানে কোনো প্রতিযোগিতা থাকবে না।অর্থাৎ একটি শ্রেণীতে ফাস্ট কে আর লাস্ট কে এই পার্থক্যটা করা হবেনা।এতে করে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ধারাবাহিকতা হারাবে।আমার ভাইয়ের ক্ষেত্রেই দেখতে পাচ্ছি, আগে অনেকটা পড়াশুনা করতো।এখন অতো পড়া নেই নাকি সবই সহজ লাগে তার,তাই বলে।

বহির্বিশ্বের দেশগুলোতে এই সিস্টেম অনুসরণ করে পড়ালেখা হয়,এটা তাদের দেশের জন্য হয়তো ভালো।তাদের পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির সাথে এই নীতিমালা সঠিকভাবে যায়।কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে যারা একটু অসচেতন পরিবার রয়েছে তাদের সন্তানদের জন্য এই নীতিমালা বেশ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে এক পর্যায় গিয়ে ।যেহেতু পড়াশুনায় প্রতিযোগিতার বিষয়টা আর থাকবেনা।তাই তাদের বাধ্য হয়ে পড়ালেখা করার বিষয় টাও আর থাকবেনা।অর্থাৎ এখানে তারা স্বাধীন।যদিও বাংলাদেশ সরকার পড়ালেখার মান বৃদ্ধি করার জন্য নতুন নতুন সব নীতিমালা প্রণয়ন করছেন।শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস এছাড়াও স্মার্ট সব নীতিমালা নিয়ে আসা হচ্ছে ক্রমান্বয়ে।এটা অবশ্যই ভালো।তবে আমরা বাংলাদেশিরা চাপে থাকলেই যেন ভালো থাকি।মুক্ত আকাশে উড়তে দিলে আমরা কোথাও একটা দাড়াতে হবে এটা ভুলে যায়।যেখানে ফাঁকি দেওয়ার সহজ রাস্তা সেখানেই যেতে পছন্দ করি।এগুলোর জন্য আমাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা দায়ী বললে ভুল হবেনা।শিকড় থেকেই এটা শিখে এসেছি।তাই আমার মনে হচ্ছে,যেসকল কল্যাণের কথা ভেবে এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে হয়তো এটা অতোটা কল্যাণকর হবেনা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য।এই নতুন নিয়মটি নিয়ে আপনাদের কি মতামত কমেন্টে জানতে ভুলবেন না বন্ধুরা।


ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি বন্ধুরা।নতুন কোনো লেখা নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

❤️আল্লাহ হাফেজ❤️

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

হ্যাঁ আমার কাছেও এ নীতিমালা একদম ভালো লাগেনি। মনে হচ্ছে এতে পড়ালেখার মান ভালো হবেনা। জিপিএ সিস্টেমের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হতে পারি কে কত ভালো করেছে তা নিশ্চিন্তে জানা যায়। আর এই চিহ্নভিত্তিক মূল্যায়ন আমার কাছে মোটেও ভালো লাগেনি।

জি আপু একদম,ধন্যবাদ আপনাকে।

সবকিছুর ই যেমন ভালো দিক আছে, তেমন খারাপ দিকও আছে। আমাদের দেশের নীতিনির্ধারকদের উচিত আরো একটু বেশি সচেতন হয়ে দূরদর্শী পরিকল্পনা করা। ৩-৪ বছর পর পর যদি নীতিমালার পরিবর্তন আনে, এটি আসলেই শিক্ষার্থীদের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে।

Posted using SteemPro Mobile

জি আপু,ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।