রিমার স্বপ্ন পূরণ||

in hive-129948 •  last year 
❤️আসসালামুআলাইকুম/আদাব❤️

আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।


woman-591576_1280 (1).jpg

ছবির উৎস


রিমা ছিল গ্রামের মেয়ে।তার সুখী পরিবারে সদস্য সংখ্যা ছিল চারজন।রিমা তার বাবা,মা এবং ছোট বোন।রিমার বাবার ছোট্ট একটা চায়ের দোকান ছিল।আর মাঠে কিছু ফসলি জমি।মোটামুটি ভালোই চলছিল তাদের সংসার।কিন্তু রিমা এই সংসারে সুখী ছিলনা কারণ ছোটবেলা থেকেই রিমার স্বপ্ন নিজের একটি পরিচয় তৈরি করা।আর্থিক অবস্থার উন্নতি করা।তার এই ইচ্ছেটা ছিল সেই শিশু থেকেই।এখন রিমার বয়স ১৬ । রিমা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছে সবে।যেহেতু রিমার জীবনে ভালো কিছু করার ইচ্ছে , তার জন্য তো অর্থ উপার্জন করতে হবে তার। তাই রিমা শুরু করে দিল টিউশন পড়ানো।

রিমা আবার বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিল।তাই গনিত,ইংরেজি সব বিষয়েই মোটামুটি ভালো দক্ষতা ছিল ।রিমার কাছে গ্রামের অনেক শিক্ষার্থীরা টিউশন পড়তে যেত।গ্রামটা খুব ছোট ছিল, সেইভাবে শিক্ষক পাওয়া যেত না।শহরে গিয়ে পড়ার চেয়ে গ্রামে থেকেই যদি ভালো পড়তে পারা যায়।তাই গ্রামের শিক্ষার্থীরা বেছে নেয় রিমাকে।এভাবে করে রিমা কিছুদিনেই অনেক অর্থ জমিয়ে ফেলে। রিমা বেশ হিসাবী ছিল,অহেতুক টাকা খরচা পছন্দ করতো না।তাই টিউশনের বেশিরভাগ টাকা রিমা তার মায়ের কাছে জমা রাখতো।এক বছরের মধ্যেই রিমার টাকার পরিমাণ দুই লক্ষ হয়ে গেল।

তারপর রিমা একদিন তার মাকে বলে দুইটি গরু কিনে লালন পালন করতে। পরিবারের লোকেরা রিমার কথা বেশ মূল্যায়ণ করে ।যেহেতু এতো অল্প বয়সেই রিমা এতো পরিশ্রম করে।তাই সেভাবেই রিমার কথা মতো গরু কিনে তার পরিবার এবং লালন পালন করে।তার কিছুদিন পরে আবার রিমা আরো কিছু টাকা দেয় তার বাবা মাকে আরো দুইটি গরু কেনার জন্য।একইভাবে তার বাবা মা আরো দুইটি গরু কিনে।এভাবে কিছুদিনের মধ্যে রিমাদের বিশাল এক গরুর ফার্ম হয়ে যায়।শহর থেকে বিভিন্ন জায়গার মানুষ আসে রিমাদের ফার্মের গরুর দুধ নিতে।এভাবে বেশ কিছুদিনের মধ্যেই রিমাদের আর্থিক অবস্থা সচ্ছল হয়।রিমা দিনরাত পরিশ্রম করে তার পড়াশুনা শেষ করে এবং কয়েকবছর পর একটি সরকারি চাকুরি পেয়ে যায়।নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের রিমা এভাবেই কষ্ট করে তার স্বপ্ন পূরণের যাত্রা সম্পন্ন করে।


ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি বন্ধুরা।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু । আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।


❤️আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি❤️
আমি রাহনুমানূর দিশা।আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী।আমি বর্তমান অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়াশুনা করছি।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সাথে দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় থেকে যুক্ত রয়েছি।বাংলা ভাষায় লিখতে, পড়তে এবং নতুন নতুন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে আমার ভালো লাগে।এছাড়াও ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতে অনেক ভালো লাগে।অবসর সময়ে গান শুনতে এবং বাংলা নাটক দেখতে পছন্দ করি।


Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

❤️আল্লাহ হাফেজ❤️

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

রিমার জীবনের সুন্দর একটি ঘটনা আজকে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন আপু। বেশ ভালো লাগলো একটা মেয়ের জীবনের সুন্দর এই বিস্তারিত আলোচনা জানতে পেরে এবং পড়তে পেরে। আপনি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন তার জীবনের শুরু থেকে এই পর্যন্ত বিশেষ বিশেষ অংশগুলো। আসলে মানুষের লক্ষ্য যদি ঠিক থাকে আর তার সাধ্যমত চেষ্টা করে থাকে তাহলে অবশ্যই সফলতা আসবে। ঠিক তেমন রিমার জীবনটা।

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

লক্ষ্য যদি সঠিক থাকে এবং তার পেছনে শ্রম দেওয়া যায় তাহলে সেই লক্ষ্য পূরণ হতে বেশি সময় লাগে না। রিমা খুবই পরিশ্রমে ছিল এবং সে কষ্ট করে টিউশনি করে টাকা জমিয়ে কিছু গরু কিনেছিল আর সেখান থেকে তার বড় একটি ফার্ম হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে সে পড়াশোনা শেষ করে ভালো একটি চাকরি পেয়েছিল। এই গল্পটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপু। ধন্যবাদ সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

ধন্যবাদ আপু।

জীবনের চেষ্টা ছাড়া নিজের পরিশ্রম ছাড়া কোনভাবেই সফলতা কাম্য নয়। তেমনি রিমা দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে সফলতা পেতে হয়। জীবনটা কখনো কঠিন কখনো সুখের কঠিন মুহূর্ত গুলো পার করতে হলে নিজেকে অনেক সংগ্রাম করতে হয়। অনেক ভালো লাগলো যেটা থেকে নিজের অনেক কিছু শেখার আছে।

Posted using SteemPro Mobile

ধন্যবাদ ভাইয়া।

চেষ্টা থাকলে কোন কিছুই বিফলে যায় না। রিমা খুব পরিশ্রমী ছিল। সে লেখাপড়ার পাশাপাশি টিউশনি করে টাকা জমিয়ে গরু কিনেছে এবং আস্তে আস্তে একটি গরুর ফার্ম তৈরি হয়েছে। রিমার পরিশ্রমের মাধ্যমে তাদের পরিবারের অবস্থা অনেকটাই সচ্ছল হয়েছে। খুব ভালো লাগলো আপু গল্পটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।

জি আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।

ধৈর্য ধরে চেষ্টা করলে সবকিছু অর্জন করা সম্ভব। পরিশ্রম করলে তা কখনো বিথা যায় না। যাইহোক তার অবশেষে চাকরি হলো। রিমার বেশ পরিশ্রম করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

জি ভাইয়া,ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।