আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে কোন টপিক নিয়ে লিখতে চলেছি সেটা নিশ্চয়ই পোস্টের টাইটেল দেখে বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা।আমরা যেকোনো পরিস্থিতিতেই খুব চাপ নিয়ে থাকি।এরকম সিম্পল বিষয় গুলো আমাদের সাথে প্রতিনিয়ত ঘটতেই থাকে।যেকোনো একটি সহজ বিষয়েও যদি আপনি চাপ নিয়ে থাকেন তাহলে সেই বিষয়টিও আপনার কাছে কঠিন মনে হবে।বিশেষ করে আমরা যারা স্টুডেন্ট রয়েছি তারা অল্পতেই খুব চাপ নিয়ে থাকি বিশেষ করে পরীক্ষার সময়ে।আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার নিজের সাথে ঘটে যাওয়া একটি বিষয় শেয়ার করব।কিছুদিন আগে আমার তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শেষ হলো।পরীক্ষা গুলো আলহামদুলিল্লাহ ভালো দিতে পেরেছি।তবে শেষের দিন গিয়ে একটি ভুল করে ফেলেছিলাম।যেটা এই শেষ সময়ে এসে আসলেই মেনে নেওয়া যায়না।
আমি আমার রেজিস্ট্রেশন নম্বর টা অনার্সের টা না লিখে এসএসসির টা লিখে ফেলি।সেদিন অনেকটা চাপে ছিলাম।কারণ আমদের ওই সাব্জেক্টে এর ম্যাথ গুলো অনেক বড় আর একটু ঝামেলাপূর্ণ যদিও খুব একটা কঠিন না।আসলে ওই ম্যাথ গুলো নিয়ম জানা থাকলেই পারা যায়।আর সেদিন আমাদের একদিন বন্ধ ছিল মাত্র।যেহেতু অত বড় অংক তাই সব ম্যাথ হাতে করার সুযোগ ছিল না।শুধু জাস্ট নিয়মগুলো একদিনে রিভিশন দিয়েছিলাম।এজন্য খুব চিন্তায় ছিলাম যদি ম্যাথ গুলো ঠিকঠাক মিলাতে না পারি কি হবে।আমি বরাবর প্রথমদিকে খাতা পাওয়ার পর আমি সর্বপ্রথম কোড গুলো পূরণ করি কারণ খাতায় দাগ কাটার আগে সেনসিটিভ বিষয় গুলো সেরে নেওয়া ভালো আমার সবসময় এটাই মনে হয়।কিন্তু সেদিন আমি এই কাজটি করিনি।আগে খাতায় দাগ কেটে ঝোঁকে ঝোঁকে রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে ফেলেছি।তো লিখার সময় ভুলটি নিজেই ধরে ফেলেছিলাম কারণ দুই ডিজিট বেশি অনার্সের রেজিস্ট্রেশন নম্বরে।তারপর যথারীতি ডিউটিরত স্যারকে বললাম ভুলটির কথা তখন স্যার বললেন কেটে উপরে সঠিক করে লিখতে।তারপরেও টেনশন হচ্ছিল যদি রেজাল্ট না আসে।ম্যাম এর কাছে পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম তিনি বলেন এতে সমস্যা নেই রেজাল্ট আসবে।তখন পরীক্ষাটি শান্ত ভাবে দিতে পারলাম।
তারপরেও এখানে আমার আর একটা ভুল ছিল।আমাদের খ বিভাগ আর গ বিভাগ দুই পার্ট করে মূলত প্রশ্ন আসে। গ বিভাগে মার্ক বেশি।তো এক বিভাগ শেষ করেই আরেকটাতে যেতে হয়।সেদিন আমার আরো একটি ভুল হয়ে যায়।সেটি হচ্ছে আমাদের ওই সাব্জেক্টটিতে তিন চার চ্যাপ্টার এর ম্যাথ গুলো বেশ বড় আর ঝামেলা পূর্ণ।ওই চ্যাপ্টার গুলোর ম্যাথ বাসায় করতে মোটামুটি দুই ঘণ্টা সময় লাগে।আর আপনারা নিশ্চয়ই জানেন পরীক্ষার হলে সবাই মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পারেনা আলাদা একটা চাপ থাকে ।এজন্য ওই ম্যাথ গুলোতে আমার বন্ধুরা কেউ হাত দেয়নি কারণ এক দুইটি ম্যাথ করতে গিয়ে মিলাতে না পারলে আসলে সময়টায় নষ্ট।কিন্তু আমি সব নিয়ম জানতাম এজন্যই ওই ম্যাথটা ছেড়ে আসতে চাইনি।আসলে বছর জুড়ে ওই ম্যাথ গুলো করেছিলাম তো তাই না করলে কেমন একটা ব্যাপার হয়ে যায়।তো মোটামুটি ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট সময় লাগে আমার অর্ধেক ম্যাথ করতে।পুরো ম্যাথ করতে আরো ৪০ মিনিট সময় দরকার । এদিকে ঝামেলা পূর্ণ ম্যাথে হাত দিয়ে আমি আমার মূল্যবান অনেকটা সময় নষ্ট করে ফেলি।তারপর অতিরিক্ত চাপ নিয়ে ফেলা হয় এদিকে সময়ও অল্প।শেষে গিয়ে সব ম্যাথ শেষ করতে পারিনি যেগুলো কমন ছিল অন্য নিয়মের।
তাছাড়া যেকোনো বিষয় স্মার্টলি হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করতে হবে।যদিও ওই পরীক্ষার আগের দিন আমার বন্ধুরা যেই ম্যাথ গুলোতে মার্ক বেশি ছিল সেই ম্যাথ গুলো পরে করতে গিয়ে টাইম ম্যানেজ করতে পেরেছিল না।কিন্তু আমি সেদিন আগে বেশি মার্ক এর ম্যাথ গুলোই করেছিলাম ।এজন্য আরকি ওরা আগেরদিনের ভুলটি থেকে শিক্ষা নিয়েছিল আর আমার যেহেতু আগের দিন ভুল ছিলনা তাই শেষের দিন গিয়ে এই ভুলটি হয়ে গিয়েছিল তাই ঝামেলাপূর্ণ ম্যাথ করতে গিয়েছিলাম।আমাদের জীবনে প্রতিটি ভুল থেকেই আমরা প্রতিনিয়ত শিখতে পারি।এখানে আমি একটি বিষয় লক্ষ্য করলাম যে যেকোনো বিষয়ে আমাদের চাপ মুক্ত থাকতে হবে ।সেদিন প্রথমেই আমার খাতায় কোড পূরণে ভুল করা।আর আগে থেকেই চিন্তায় ছিলাম সব প্রশ্নের উত্তর সময়ের মধ্যে করতে পারব কিনা যেখানে একটি ম্যাথ এতটা টাইম লাগে।যেগুলো সেদিন আমার জন্য আলাদা চাপ ছিল।যদি চাপ না নিয়ে আগের দিনের মতো বেশি মার্কের কম ঝামেলাপূর্ণ ম্যাথ গুলো আগে করতাম।তাহলে পরীক্ষাটি ভালো দিতে পারতাম।তাই যেকোন অবস্থাতেই আমাদের সকলকে চাপ মুক্ত থাকতে চেষ্টা করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 24thJune,2024
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বুঝাই যাচ্ছে আপু আপনি বেশ চাপেই ছিলেন। তবে আমিও বলি কোন বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চাপ নেওয়াটা একদম ঠিক না। যে কোন পরিস্থিতিতে নিজেকে শান্ত রাখা এবং মানিয়ে নেওয়াটা বেশ জরুরী। বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের লেখা গুলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু কোনো পরীক্ষায় আমি সুস্থ থাকতে পারিনা।প্রিপারেশন ভালো থাকলেও যা খারাপ থাকলেও। এজন্যই জানা জিনিস ভুল করে ফেলি,ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অতিরিক্ত চাপ নেওয়া মোটেও ভালো না। যদি সেটা হয় আরো পরীক্ষার ক্ষেত্রে। পরীক্ষার ক্ষেত্রে সব সময় আমাদের ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষা দিতে হয় না হলে একটু ভুলের কারণে সবটা গুলিয়ে যেতে পারে। আপনি অতিরিক্ত টেনশনের কারণে পরীক্ষার কোড ভুল করেছিলেন।পরবর্তীতে আবার কেটে আবার লিখেছিলেন।কোন কাজের আগে ভেবে চিন্তে ঠান্ডা মাথায় কাজ করা অনেক ভালো। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু সবাই আমরা বুঝি এটা কিন্তু এরপরও এসে যায়,ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই ধরনের সেনসেটিভ কাজ গুলো একটু সাবধানে করতে হয় আপু। আসলে ভুলগুলো আমাদের অজান্তেই হয়ে যায়। যখন আমরা কোন কারণে অতিরিক্ত চাপে থাকি তখন এদিক ওদিক ঝামেলা হয়ে যায়। আমাদের উচিত সবার একটু চাপ কম নিয়ে কাজ করা। আপনি স্যারকে বললেন ভালো হলো না হয় আরো ঝামেলায় পড়ে যেতেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু ওইটাই আমার জীবনের প্রথম ভুল ছিল এরকম আগে হয়নি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যেকোনো কাজে চাপ নেয়াটা সত্যি ই ক্ষতির কারন।আর এক্সামের মত এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে তো আরো বেশী ক্ষতির কারন।এম্নিতে এক্সামের সময় মাথা ঠান্ডা রেখে করতে হয় সবকিছু।বিশেষ করে এক্সামের খাতার প্রথম যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তার দিকে সজাগ থাকতে হয়। এরপর ভিতরের লেখার বিষয়টি।আপনার পোস্ট পড়ে আমার যেনো কষ্ট হচ্ছিল এই ভুলগুলো পড়ে। আশাকরব সামনের দিনগুলোতে নিজেকে স্থির রেখে সব কাজ করবেন।অতিরিক্ত চাপ নয় বরং নিজের মধ্যে স্হিরতা আনা জরুরী।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি। আপু স্থির থাকতে চেষ্টা করি কিন্তু অটোমেটিক কাপনি শুরু হয়ে যায় আমার🙂।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো হয় না সেটা হোক সৈয়ের জন্য উপকার কিংবা ক্ষতিকর। অতিরিক্ত চাপ নিলে শরীর নানারকম রোগী জীবাণু বাসা বাঁধে। কারণ অতিরিক্ত চাপে থাকলে আমাদের স্নায়ু দুর্বল হয়ে যায় এর ফলে নানারকম রোগের সৃষ্টি হয়। ভুল করে করে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এসএসসির নাম্বার লিখে ফেলেছেন এর জন্য আপনি একটু টেনশনে পড়ে গিয়েছিলেন তবে টেনশন না করে সমাধান খুঁজে বের করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ঠিক বলেছেন মানসিক চাপ আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পরীক্ষার সময় অনেক ধরনের চাপ চলে আসে, তবে সেই সময়টাতে আমাদের চাপমুক্ত থাকাটা খুব জরুরী। চাপের মধ্যে থাকলে আসলেই অনেক কাজ আমাদের ভুল হয়ে যায় আপু। যেমনটা আপনার সাথে হয়েছিল সেদিন। তাছাড়া এটা ঠিক যে, আমরা ভুল থেকেই শিক্ষা গ্রহণ করি । তাই যে ভুলগুলো এইবার হয়েছে, আশা করি পরের বার আর এই ভুলগুলো করবেন না আপু আপনি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া এই ভুল গুলো থেকে বিরত থাকতে চেষ্টা করব।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit