কথার প্রভাব ভয়ঙ্কর হতে পারে

in hive-129948 •  4 months ago  (edited)
❤️আসসালামুআলাইকুম/আদাব❤️

আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।

smoking-3601594_1280.jpg

ছবির উৎস

আজকে আপনাদের মাঝে কোন টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি সেটা নিশ্চয়ই পোস্টের টাইটেল দেখে বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা।আমরা কোনো ব্যক্তিকে হুট করেই তার সার্বিক দিক বিবেচনা না করে একটি মন্তব্য করে দিই।এই বিষয়টা জঘন্যতম কাজগুলোর মধ্যে একটি।পৃথিবীতে যত সংখ্যক মানুষ রয়েছেন সবার মধ্যেই কমবেশি দোষ ত্রুটি রয়েছে।এই দোষ গুণ নিয়েই একজন মানুষ।যদি আপনার মধ্যে গুণ থাকে শুধু তাহলে আপনি মানুষ নন সৃষ্টিকর্তার বিশেষ সৃষ্টি।কেননা সৃষ্টি লগ্ন থেকেই মানুষ ভুল করে আসছেন।ইসলাম ধর্মমতে প্রথম মানব দুজনেই তাদের ভুলের কারণে পৃথিবীতে এসেছিলেন। যেটা আমাদের সকলেরই জানা।আর আমরা এই ভুলের ঊর্ধ্বে কেউ নেই এটাই চিরন্তন সত্য।

ধনুকের তীর, আর মানুষের কথা দুইটির মধ্যে রয়েছে বিশেষ মিল।ধনুকের তীর যেমনি ছুঁড়ে দেওয়া হলে সেটি আর ফিরে আসেনা।ঠিক তেমনি মানুষের কথা কারো মনে আঘাত লাগলে বা তার কষ্টের কারণ হলে সেই কথাটিও আর ফেরত নেওয়া যায়না।দুইটি জিনিসেই আকস্মিক মিল রয়েছে।যখন আমরা কোনো ব্যক্তির সর্ম্পকে না জেনে শুনে একটি ভালো কিংবা খারাপ ধারণা করে সেটি মন্তব্য করে ফেলি সেটা আমাদের জন্য জঘন্য রকমের একটি ভুল হয়ে দাঁড়ায়।পৃথিবীতে প্রত্যেক মানুষের বৈশিষ্ট্যই ভিন্ন ভিন্ন।এর মধ্যে রয়েছে কর্কশ হৃদয়ের মানুষ আবার রয়েছে কোমল হৃদয়ের মানুষ।সাধারণত কোমল হৃদয়ের মানুষেরা তার সর্ম্পকে কোনো মন্দ কথা সহ্য করতে পারেনা।যদি একজন কোমল হৃদয়ের মানুষ কোনো অন্যায়ের সাথে জড়িত না থাকে আর তার বিরুদ্ধে নেতিবাচক কথা শোনেন।তাহলে সে প্রচন্ড কষ্ট পান এবং একপর্যায় গিয়ে বিরাট দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেন।পৃথিবীতে নিজের আত্মসম্মানের চেয়ে বড় আর কিছুই না।প্রত্যেকেই তার আত্মসম্মান বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করেন এটাই পৃথিবীর নিয়ম।

অন্যদিকে কর্কশ হৃদয়ের মানুষ নিজের বিরুদ্ধে একটি নেতিবাচক কথা শুনলে সেটাকে আরো বেশি নেতিবাচক করে তোলেন।আত্মসম্মানের পরোয়া না করে নিজের স্বাধীনতাকেই প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন।পৃথিবীর সবার মধ্যেই ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।আর এই বৈশিষ্ট্যকে ঘিরে মানুষের বিচরণ।আমাদের প্রত্যেককেই ভেবে চিন্তে কোনো সিদ্ধান্তে এসে কারো দিকে কথার তীর ছুড়তে হবে।আর সর্বদা ভাবতে হবে কথাটি যেই মানুষটিকে বলছি মানুষটা কি আসলেই দোষী না নির্দোষ।কেননা একজন নির্দোষ ব্যক্তি সর্বদাই চাইবেন তার আত্মসম্মান বজায় থাকুক।অন্যথায় তিনি তার সম্পর্কে সকলের নেতিবাচক ধারণার জন্য দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পিছপা হবেন না।তাছাড়া প্রত্যেককেই কথার লাগাম রাখতে চেষ্টা করতে হবে।কেননা কথার মাধ্যমেই রাজ্য জয় সম্ভব আবার কথার মাধ্যমেই সম্ভব যুদ্ধ।আমরা অবশ্যই যুদ্ধে না গিয়ে রাজ্য জয় চেষ্টা করবো আন্তরিকতার সাথে।একটি কথা মাথায় রাখতে হবে যেকোনো কিছুতেই নিদ্দিষ্ট সীমার বাইরে গেলে সৃষ্টিকর্তাও পছন্দ করেন না।

ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।


❤️আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি❤️
আমি রাহনুমানূর দিশা।আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী।আমি বর্তমান অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়াশুনা করছি।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সাথে দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় থেকে যুক্ত রয়েছি।বাংলা ভাষায় লিখতে, পড়তে এবং নতুন নতুন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে আমার ভালো লাগে।এছাড়াও ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতে অনেক ভালো লাগে।অবসর সময়ে গান শুনতে এবং বাংলা নাটক দেখতে পছন্দ করি।

Post by-@rahnumanurdisha
Date- 30th July,2024


Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

কারো সাথে কোন একটি মন্তব্য করার সময় সঠিকভাবে চিন্তা করে বলতে হয়। কারণ যে মন্তব্যটি যে কথাটি বলবো সেটা সঠিক কিনা বলা উচিত কিনা সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে করা উচিত। আপনি ঠিক বলছেন তীর যেমন মানুষের শরীর ছেঁদ করে চলে যায়। ঠিক তেমনি কথাও এমন মানুষের হৃদয় ছেঁদ করে ফেলে। তাই আমাদের উচিত কোন কথা হিসেবে করে বলা। যেমন তেমন কথা যেখানে সেখানে না বলা উচিত।

জি আপু ঠিক বলেছেন,ধন্যবাদ।

কোনো কিছুই সীমার বাইরে গেলে সহ্য করার মত না। আর কথার আঘাত হলো বড় আঘাত,যার জন্য কোনো মলম নেই। ধনুকের তীর বিঁধলে যে কষ্ট হয়, তিক্ত কথাতেও সেই কষ্ট পাওয়া যায়। আপনি দারুণ কিছু কথা লিখেছেন আপু।পড়ে খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে।

জি আপু একদম,আমার লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম,ধন্যবাদ।

সবকিছু লিমিট এর ভেতরেই থাকা প্রয়োজন। লিমিট ক্রস করলে অনেক কিছুই হয়ে যেতে পারে। কথা এমন একটা জিনিস যেটা কিনা মানুষকে হাসাতেও পারে আবার কষ্ট দিতে পারে। কিন্তু কথার ফলে যদি একজন মানুষের মনে কষ্ট চলে যায় তাহলে কিন্তু সেই কথাটা আমরা আর কখনো ফেরত নিতে পারব না। ধনুকের তীরের সাথে কথার আসলেই অনেক বেশি মিল রয়েছে । এই কথা গুলো মানুষকে সফলতার কাছেও নিয়ে যায় আবার ধ্বংস ও করে দেয়। কথা সত্যি সব থেকে আলাদা। অনেক সুন্দর করে লিখেছেন আপনি কথা নিয়ে এই লেখাগুলো।

আসলে আমাদের সবকিছুই লিমিটের ভিতর রাখা উচিত, সেটা কথাবার্তা হোক কিংবা অন্য যে কোন কিছু। তবে একটা মানুষ সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করার আগে অবশ্যই সেটা বুঝে শুনে তারপর করা উচিত। কারণ আপনি যে কথাটা বললেন যে, ধনুকের তীর এবং মানুষের মুখের কথা একবার বেরিয়ে গেলে সেটা আর কখনো ফেরত আনা যায় না, এটা একেবারেই ঠিক। খুব সুন্দর একটা টপিকস নিয়ে আলোচনা করেছেন, যেটা আমার কাছে খুব ভালো লাগলো আপু।