||নওয়াবীয়ানা তে কাচ্চি খাওয়ার অভিজ্ঞতা-By @raihanul2512|| [10% @shy-fox & 5% @abb-school]

in hive-129948 •  2 years ago 
আসসালামু আলাইকুম
♦️১৭ই শ্রাবণ,১৪২৯
01 August,2022♦️


আমি মো: রায়হানুল ইসলাম @raihanul2512 । আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।

আজ আমি আপনাদের সামনে ময়মনসিংহ শহরের নওয়াবীয়ানা রেস্টুরেন্ট এ কাচ্চি খাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আপনারা হয়তো অনেকেই জেনে থাকবেন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকি। হলে থাকলে খাওয়া-দাওয়া হল ডাইনিং এ অথবা বাইরের ভাতের হোটেলগুলোতে হয়ে থাকে। একই খাবার সব সময় ভালোও লাগেনা। তাই বন্ধুরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম আজকে শহরে খেতে যাব। সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হলো নওয়াবীয়ানা রেস্টুরেন্টে যাব।

20220801_213615.jpg

যেই সিদ্ধান্ত সেই কাজ। পুরো দিনের ক্লাসের ব্যস্ততা শেষ করে মাগরিবের নামাজের পর আমরা শহরের দিকে রওনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় হতে শহরের দিকে বাস যায়। আমরা বাসে যাবো বলে বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে অপেক্ষা করি। সময়মতো আসলে আমরা বাসে উঠে শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

আমরা মোট চারজন বন্ধু যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। একজন বন্ধু শহরেই থাকে। সে তার বাবা মার সাথে থাকে। তাই আমরা তিনজন বাসে গিয়েছিলাম। আমরা সময়মতো সেখানে গিয়ে বসে থাকি। কিন্তু আমাদের সেই ফ্রেন্ড সময় মত না পৌঁছানোর কারণে আমরা তার জন্য অপেক্ষা করি। সে আসলে আমরা কাচ্চির অর্ডার দেই।

20220801_195940.jpg

অর্ডার দেয়ার পর তারা ১০ মিনিট সময় চেয়ে নেয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খাবার আমাদের সামনে চলে আসে। খাবার আসার পরে আমিও একটি সেলফি উঠিয়ে নেই খাবারের সাথে। খাবার যা ছিল একজনের জন্য যথেষ্ট। খাবারের স্বাদ ও বেশ ভালো ছিল। সেই সাথে আমরা কোক ও নিয়েছিলাম। খুব তৃপ্তি সহকারে আমাদের খাওয়া আমরা শেষ করলাম।

20220801_210356.jpg

একটু পর ওয়েটার কে খাবারের বিল রেডি করতে বললাম। আমরা সবাই মিলেই টাকাটা দেব সেটাই কথা ছিল। কিন্তু একজন বন্ধু হঠাৎ করে বলল সম্পূর্ণ বিল সেই দিবে। আমরা সবাই অবাক হয়েছিলাম এবং জানতে চাইলাম সে কেন দিবে। সে আজকে তার টিউশনির টাকা পেয়েছে। এটাই তার প্রথম মাসের টাকা। তাই সে সম্পূর্ণ বিলটাই দিবে। তবে মনে মনে সবাই অনেক খুশিই হয়েছিলাম।

এরপর আমরা কিছুটা সময় সেখানে আলাপচারিতায় মগ্ন ছিলাম। তারপর আমরা আবার সেই হলের উদ্দেশ্যে রওনা দেই । রাত প্রায় দশটা বেজেছিল। সে সময় বাস না থাকার কারণে রিক্সা দিয়ে আসতে হয়।

আজ নওয়াবীয়ানা তে কাচ্চি খাওয়ার অভিজ্ঞতা এ পর্যন্তই। আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন আশা করি।

ফটোগ্রাফার@raihanul2512
ডিভাইসgalaxy A12
লোকেশননতুন বাজার,ময়মনসিংহ

🌷ধন্যবাদ সবাইকে🌷




Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

পুরো দিনের ক্লাসের ব্যস্ততা শেষ করে মাগরিবের নামাজের পর আমরা শহরের দিকে রওনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।

আসলে সারাদিন ক্লাস শেষে যখন এই ধরনের জায়গায় যে কাচ্চি খাওয়া হয় তখন মনের মধ্যে অন্য রকমের একটা অনুভূতি কাজ করে। সেই অনুভূতিগুলো আজকে আপনি আমাদের মাঝে খুবই চমৎকার ভাবে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আসলে আমরা সব সময়ই দেখি প্রথম টিউশনি টাকা দিয়ে বন্ধুদের সাথে এ ধরনের খাবার গ্রহণ করতে ভালো লাগলো ব্যাপারটি জেনে।

বন্ধুরা মিলে যদি রেস্টুরেন্টে খাওয়া যায় তাহলে আসলেই মজাই আলাদা। আর আপনার খাবারের মান ভাল ছিল এটা শুনে ভালো লাগলো। কিন্তু আসলে খাবার খেতে গেলে যদি খাবারের মান ভালো না হয় সেখানে খারাপ লাগে। ।

কাচ্চি খাওয়ার কথা শুনেই জিভে জল চলে আসলো কাচ্চি বিরিয়ানি আমার খুবই ফেভারি। সুন্দর সময় অতিবাহিত করে মজাদার খাবার খেয়েছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য

পোস্টটি মোটামুটি ভালোই হয়েছে।তবে পোস্টে লেখা,মার্কডাউন এবং ছবির পরিমাণ খুবই কম।