আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে এমন একটা পরিস্থিতির শিকার হয়েছি। যেটা আসলে ভাবলাম যে আপনাদের সাথেও একটু শেয়ার করা যাক। তাহলে আপনারাও বুঝতে পারবেন যে, আমাদের সমাজে এখনো কিছু কিছু এমন ব্যাপার ঘটে। যেগুলো আসলে সত্যিই সমাজের শিষ্টাচার কিংবা সমাজের নিয়মের সাথে যায় না।
এখানে আশা করি আমরা মোটামুটি অনেকেই শিক্ষা অর্জন করেছি কিংবা করছি। অর্থাৎ আমি যদি আমার কথা বলি, তাহলে আমি এখনো পড়াশোনা করছি। আমি একজন ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট এবং ইউনিভার্সিটিতে যে ব্যাপারটা অনেক বেশি লক্ষ্য করেছি। সেটা হচ্ছে, টিচারদের ফেভারিজম। কারণ আসলে কিছু কিছু টিচারেরা কিছু কিছু স্টুডেন্টকে একেবারে আলাদা চোখে দেখে। আর সবচেয়ে খারাপ লাগে তখন। যখন আমার সামনে ওই টিচারটা এক রূপ ধারণ করে। আর তার ওই প্রিয় স্টুডেন্টদের সামনে সেই টিচারটা আরেক রূপ ধারণ করে।
কারণ আমি নিজেই তার ভুক্তভোগী। অর্থাৎ একটা আমাদের ক্লাসের টিচার তার প্রিয় দুই থেকে তিনজন স্টুডেন্টের সাথে এতো বেশি ভালো ব্যবহার করেন যে, দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। আর তিনিই পুরো বাকি ক্লাসের সাথে এতো বেশি বাজে ব্যবহার এবং এত বেশি বাজে ভাবে আচরণ করেন। যেটা দেখলেই খারাপ লাগে।
আমার কাছে মনে হয় এসব কখনোই একজন শিক্ষকের কোয়ালিটি হওয়া উচিত নয়। কারণ একজন শিক্ষকের প্রথমে যেটা অবলম্বন করতে হবে। সেটা, হচ্ছে সমতা। একজন টিচার যদি একটা সমাজের মধ্যে সমতা ই আনতে না পারে। তাহলে সে কিসের শিক্ষক! আমার ব্যক্তিগতভাবে এইসব শিক্ষক একেবারেই পছন্দ না। আর আমি এখানে যদি কোনো শিক্ষক থেকেও থাকেন। তাহলে আমি উনাদের উদ্দেশ্যে এটাই বলবো যে, অবশ্যই আপনাদের উচিত প্রতিটি স্টুডেন্টকে একই চোখে দেখা। কারণ শিক্ষক হলো আমাদের সকলের রোল মডেল।তারাই যদি আসলে স্টুডেন্টদের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করি তাহলে আমরা কি শিখবো তাদের কাছ থেকে!তারা তো জাতির মেরুদণ্ড। তাদের কাছ থেকেই তো আমরা সব ভালো জিনিষ শিখবো!