আমাদের সময়ের শিক্ষক

in hive-129948 •  6 days ago 

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে আমাদের সময়ের শিক্ষক সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।




লিংক


আসলে সময় যত বাড়ছে ততই পৃথিবী অনেক বেশি আধুনিক হচ্ছে। মানুষ যতই আধুনিক হোক না কেন মানুষ কিন্তু আস্তে আস্তে তাদের মনুষত্ব দিন দিন হারিয়ে ফেলছে। আসলে এখন বাচ্চারা যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায় সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা যতই ভালো শিক্ষা দান করুক না কেন তারা কিন্তু তাদেরকে সঠিক সম্মান করতে জানে না। আসলে এখনকার শিক্ষক এবং আমাদের সময় শিক্ষকের মধ্যে কিন্তু অনেক পার্থক্য রয়েছে। কেননা আমরা তখন শিক্ষককে সম্মান করতাম এবং শিক্ষকের দেওয়া প্রতিটা উপদেশ আমরা কিন্তু আমাদের জীবনে প্রয়োগ করার চেষ্টা করতাম। আসলে আমাদের সময় শিক্ষকরা কিন্তু বন্ধুত্বসুলভ না থাকলেও তারা কিন্তু তাদের শিক্ষা থেকে কখনো পিছিয়ে থাকেনি। অর্থাৎ ঝড় বন্যা যা কিছুই হোক না কেন তারা কিন্তু তাদের শিক্ষাদান থেকে কখনো পিছনে পিছিয়ে আসতো না।


আর বর্তমান সময়ে আমরা কিন্তু এর উল্টোটা দেখতে পারছি। অর্থাৎ কোন কারণ হলেই শিক্ষকরা এখন তাদের শিক্ষাদান বন্ধ করে দেয়। আসলে আমরা যখন স্কুলে পড়াশোনা করতে যেতাম তখন কিন্তু আমাদের শিক্ষকদের প্রতি একটা ভয় সবসময় কাজ করতো। আসলে তখনকার শিক্ষকেরা অনেক বেশি কঠোর ছিল এবং যদি কোন ছাত্র বা ছাত্রী পড়াশোনা না করে আসতে তাহলে এর জন্য একে শাস্তি দেওয়া হতো। আসলে আমরা কিন্তু শাস্তির ভয়ে প্রতিদিনকার পড়া প্রতিদিন করে আসতাম। আর শিক্ষকেরা আমাদের এমন শাসন করতো বলে আমরা কিন্তু কখনও আমাদের পড়াশোনা না করে স্কুলে আসতাম না। আর আমরা যদি কোন কারণে স্কুল ছুটি দিতাম তাহলে শিক্ষকরা আমাদের বাড়িতে গিয়ে আমাদের খোঁজ খবর নিতে যে কেন আমরা স্কুলে আসেনি।


আসলে এখন আমরা এর সম্পূর্ণ উল্টোটা দেখতে পাই। কেননা এখনকার শিক্ষকরা শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের জন্য স্কুলে আসে। আর তাদের স্কুলের বাইরে আর কোন কাজ তারা আর কখনো করতে চায় না। এছাড়াও তারা বিভিন্ন ধরনের বাইরে কোচিং খুলে নিয়ে সেখানে বাইরের স্টুডেন্টদের টাকার বিনিময়ে শিক্ষাদান করে থাকে। কিন্তু আমাদের সময় আমরা দেখেছি যে যেসব ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসে তেমন একটা ভালো ফলাফল করতে পারত না তাদের জন্য কিন্তু স্কুলের শিক্ষকেরা স্কুলের বাইরে আলাদা করে তাদেরকে বিনামূল্যে শিক্ষা দান করতেন যাতে করে তারা পরবর্তী ক্লাসে ভালো কোন রেজাল্ট করতে পারে। আসলে এসব বিষয়গুলো এখন আর কোথাও দেখতে পাওয়া যায় না। এখন জ্ঞান দান সম্পূর্ণ অর্থের উপর নির্ভর করে।


কেননা আপনি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যত বেশি পয়সা খরচ করতে পারবেন ততই আপনার ছেলে মেয়েদেরকে শিক্ষকেরা ভালো শিক্ষা দিয়ে থাকবে। এছাড়াও এখনকার সময়ের তুলনায় আমাদের সময় শিক্ষকদের বেতন খুবই নগণ্য ছিল। তবুও তারা কিন্তু স্কুলের বাইরে কোন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পয়সার বিনিময় শিক্ষা দান করতেন না। কেননা তারা মনে করতেন যে শিক্ষা এমন একটা জিনিস যা কিন্তু কখনো পয়সার বিনিময় দান করা উচিত নয়। আর এ জন্য এখনকার শিক্ষক এবং আমাদের আগের শিক্ষকের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষকদেরকে পূর্বের শিক্ষক দেখে তাদের থেকে শিক্ষা নিয়ে ঠিক সেই রকম কর্মকাণ্ড কিন্তু এখন করা উচিত। আর এর মাধ্যমে শিক্ষকেরা যেমন সমাজে একজন সম্মানীয় ব্যক্তি হবেন এবং প্রত্যেক ছাত্রছাত্রী শিক্ষকদের সম্মান করবে।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এখনকার বেশিরভাগ স্টুডেন্টরা টিচারদের একেবারেই সম্মান করে না। বরং সুযোগ পেলে অসম্মান করতেও দ্বিধাবোধ করে না। তবে আমাদের সময় টিচারদেরকে সবাই সম্মান করতো। টিচারদের সাথে বেয়াদবি করার চিন্তাও কেউ করতো না। বরং টিচারদের দেখলে সবাই ভয় পেতো। যাইহোক সবার উচিত টিচারদের সম্মান করা। কারণ টিচাররা হচ্ছে আমাদের গুরুজন এবং আমাদের জীবন গড়ার কারিগর।