হ্যালো বন্ধুরা,,,
আশা করি সবাই ভাল আছেন। আল্লাহর রহমতে আমি অনেক ভালো আছি। আমি বিগত কয়েকদিন ধরে স্টিমিট এ পোস্ট দিতে পারিনি, কারণ আমি অসুস্থ ছিলাম। আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে আপনাদের কাছে আবার আমি ফিরে আসলাম।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ধন্যবাদ এত সুন্দর কনটেস্ট দেওয়ার জন্য। প্রতিযোগিতা হলো আমাদের গ্রাম বা শহর নিয়ে রচনা। তাই আমাদের গ্রাম নিয়ে একটি রচনা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম ।আশা করি সবাইকে ভালো লাগবে
আমাদের গ্রাম
ভূমিকা : আমাদের দেশের নাম বাংলাদেশ।সবুজে শ্যামলে ভরা আমাদের এই দেশ ।আর এ দেশের বেশিরভাগ স্থান জুড়ে রয়েছে গ্রাম । গ্রামের সবুজ প্রকৃতি যেকোনাে মানুষের হৃদয় কেরে নেয় । গ্রামের এত সুন্দর শান্ত পরিবেশ মানুষের সকল ক্লান্তি দূর করে।
গ্রামের অবস্থান : আমাদের গ্রামের নাম হরিরামপুর। এটি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার ১ নং বেলাইচন্ডি ইউনিয়ন এ অন্তর্গত। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে করতোয়া নদী। নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের গ্রামকে যেন আলোকিত করে রেখেছে । আমাদের গ্রামটি হলো উত্তররে সৈয়দপুর উপজেলা ও দক্ষিণে পার্বতীপুর উপজেলার মাঝখানে । আমাদের গ্রামের পাশ পার্বতীপুর ও সৈয়দপুর হাইওয়ে এবং পূর্ব পাশ দিয়ে চলে গেছে রেলওয়ে লাইন । তাই যাতায়াতের কোনো সমস্যা নেই।
গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য : আমাদের গ্রামখানি সবুজে ঘেরা ও মনোমুগ্ধকর । আমাদের গ্রামে দুইটি বড় শাল বাগান রয়েছে , তাছাড়া আম-জাম, কাঁঠাল-লিচু, নারিকেল-সুপারি, শিমুল-পলাশ, তাল ইত্যাদি গাছপালায় সুসজ্জিত আমাদের গ্রাম। পাখপাখালির কলহলিতে সব সময়ই মুখর থাকে গ্রাম। সবুজে ভরা বিশাল ফসলের মাঠ, ধান ও বিভিন্ন ধরনের সবজির হাতছানি। বিল-ঝিল, দিঘী-ডােবা,কী এক মন ছোঁয়া সৌন্দর্যের সঞ্চয়!
গ্রামের মানুষ : আমাদের গ্রামে মুসলমান ও হিন্দু ধর্মের মানুষ বাস করে। তাদের মধ্যে ধর্মের কোনাে ভেদাভেদ নেই। যার যার ধর্ম সে সে পালন করে । তাই সব মানুষ এখানে সুখে-শান্তিতে বসবাস করে আসছে।
গ্রামের মানুষের জীবিকা: আমাদের গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। আবার কিছু মানুষ লেখাপড়া শিখে শহরে চাকরি করে। তবে সে সংখ্যা খুবই কম। এছাড়া কিছু মানুষ দিনমুজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করে।
গ্রামের অর্থনৈতিক উৎস : গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই কৃষির উপর নির্ভরশীল। কৃষিজাত পণ্য যেমন : ধান, পাট, গম ও নানা ধরনের সবজি তরকারি তেমন : আলু , পটল , করলা , মরিচ , ঝিঙে ,লাউ ইত্যাদি কাল অনুযায়ী আমাদের গ্রামে সব রকম ফসল উৎপাদন হয় এবং ফসল বিক্রি করেও গ্রামের মানুষ অর্থ রােজগার করে। প্রতি রবিবার ও বুধবার গ্রামে হাট বসে। শহর থেকে লোকজন এসে তাঁরা কৃষিজাত পণ্য সংগ্রহ করে ।
গ্রামের প্রতিষ্ঠান: আমাদের গ্রামে একটি প্রাথমিক , একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দুটি মাদ্রাসা রয়েছে। আরাে রয়েছে একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স । ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটি মসজিদ, একটি মন্দির রয়েছে । ।
গ্রামের সংস্কৃতি: মুসলিমদের ঈদ ও হিন্দুদের পূজা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আমাদের গ্রামে বিভিন্ন ধরনের মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। যেমন : বৈশাখি মেলা, চৈত্রসংক্রান্তির মেলা, , পৌষ মাসে পিঠার অনুষ্ঠান , নবান্ন অনুষ্ঠান, ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন জাতীয় দিবসে স্কুলে অনুষ্ঠানের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবেও লােকজন নানা অনুষ্ঠানের করে থাকে।
উপসংহার : হরিরামপুর গ্রাম আমাদের কাছে খুব প্রিয়। এ গ্রামের প্রকৃতি মায়ায় জড়ানাে। আমাদের গ্রামের লোকেরা সহজ-সরল ও অতিথিকে বেশি ভালোবাসে। করতোয়া নদীর সৌন্দর্য এ গ্রামকে করেছে অন্য সব গ্রাম থেকে আলাদা। ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমাদের গ্রামের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। গ্রামের বর্ণনা দিতে গিয়ে যেন শেষ হচ্ছিল না। আশা করি আমার গ্রামের রচনা আপনাদের সবাইকে ভালো লাগবে।
সবাইকে ধন্যবাদ! ভাল থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এবং নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন।
অনেক সুন্দর লিখেছেন। নিজের গ্রাম সম্পর্কে ধন্যবাদ ভাই আপনার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাদের গ্রামের দৃশ্যগুলো আমার কাছে ভালো লেগেছে। খুবই সুন্দর আপনাদের গ্রাম এবং পরিবেশ। অনেক শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit