বাল্যবিবাহ ( 10% beneficiaries to @shy-fox)

in hive-129948 •  3 years ago 

শুভ রজনি,

@amarbanglablog - এর হিতৈষী এবং
শুভাকাঙ্ক্ষিণীগণ আশা করি সকলেই অনেক ভালো আছেন। সকলের জন্য ভালোবাসা এবং শুভকামনা অবিরাম। সকলের সুস্থ্যতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

বাঙালি সমাজে গেড়ে বসা একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নিয়ে আমি আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। লিখার বিষয় এবং শিরোনাম দিয়ে শুরু করতেছি যাতে বুঝতে সহজ হয়। আমরা সাহিত্যিক কথা পছন্দ করি কিন্তু কল্যাণকর নিয়ম মানতে নারাজ!!! কিশোর-কিশোরীর কিছু সমস্যা এবং সমাধান তুলে ধরার চেস্টা করবো।

- কিশোর সমস্যা

- কিশোরী সমস্যা

বাল্যবিবাহ( কিশোর-কিশোরীর সমস্যা)

pexels-photo-4841961.jpeg
Image Source pexels

সংজ্ঞার্থঃ

কিশোর-কিশোরীরা হচ্ছে একটি জাতির অভ্যন্তরে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মূল উৎস।কৈশোর জীবনের এমন একটি সময় যখন শিশুকাল থেকে বয়ঃপ্রাপ্তি ঘটে থাকে এবং আচারন ও জীবনধারার গঠিত হওয়ার অভিপ্রায় প্রকাশুত হয়।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, কৈশোর হলো বয়সের এমন একটি সময় যা কিশোর-কিশোরীদের জীবনের ভবিষ্যৎ গঠন করে। বাংলাদেশের ২৮ মিলিয়ন কিশোর-কিশোরী রয়েছেন; তাদের মধ্যে ১৩.৭ মিলিয়ন কিশোরী এবং ১৪.৩ মিলিয়ন কিশোর।

বাংলাদেশর প্রেক্ষাপটে কিছু কথাঃ

বাংলাদেশে পরিবার ও সমাজে কিশোরীদের অবস্থান অসমতা ও পরাধীনতা দ্বারা পরিচালিত হয়। এই অসমতা ব্যাপক বাল্য বিবাহের প্রচলন, স্বাস্থ্য, শিক্ষ, অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রান্তীয়করণের এবং সহিংসতা ও যৌবন হয়রানির শিকারে দিকে ধাবিত করে। যা বাংলাদেশের মুর্খ পরিবার ও সমাজ কিছুতেই অবলোকন করতে পারেনা। । আমাদের সমাজে এখনো প্রচলন আছে মেয়েদের ১২-১৩ বছরে বিয়ে দেওয়া যায় কিন্তু ১২-১৩ বছরে যখন একটা মেয়েদের বিবাহ দেওয়া হবে তখন তার বাল্যকাল কেটে ওঠে না। বিবাহর পর তা নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিবে এবং এমনকি মাতৃ মৃত্যুর অথবা শিশু মৃত্যু দেখা যেতে পারে। তবে আমাদের সমাজ এবং পরিবার একটা জিনিস খুবই করতে পারে সেটা হচ্ছে যখন মাতৃমৃত্যু অথবা শিশু মৃত্যুর হার দেখা দিবে তখন বলবে যে মৃত্যু লেখা ছিল কিন্তু পেছনের কারণ কখনো উদ্ঘাটন করে তারা দেখতে চায় না। এটাই হল আমাদের সমাজ এবং পরিবার ব্যবস্থা।

বাংলাদেশে, বিবাহের বৈধ বয়স মেয়েদের জন্য ১৮ এবং ছেলেদের জন্য ১৯ বছর। ৩৩ শতাং কিশোরীর ১৪ বছর বয়সের পূর্বেই বিয়ে হয় এবং ১৭ বছর বয়সের মধ্যেই ৬০ শতাংশ মা হয়ে যায়। গবেষণার দেখে যায় উচ্চতর শিক্ষাসম্পন্ন ও স্ম্রান্ত পরিবারের কিশোরীর বেশি বয়সে বিয়ে করতে চায়৷ তবে কিশোরা, পক্ষান্তরে কৈশোর ও তরুণ হওয়ার মাত্র কয়েক বছর পরেই বিয়ের জন্য উপযুক্ত হয়ে যায়।

কিশোরীর বাল্যবিবাহ জনতি সমস্যাঃ

pexels-photo-568027.jpeg
Image Source pexels

  • যখন কোন মেয়ের বিয়ে হয় সে সাধারণত স্কুল ছেড়ে দেয় এবং তার শ্বশুরবাড়িতে সারাক্ষণ সাংসারিক কাজ শুরু করে। শ্বশুরবাড়িতে তাকে একঘেয়েমি করে রাখা হয়।
  • যৌতুক বিষয়ক সহিংসতায় সকল ধরনের নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
  • সন্তান ধারণ ও বাচ্চা প্রসাবের ক্ষেত্রে নানা রকমের ঝুকির সম্মুখীন হতে হয়।
  • বাল্যবিবাহ হওয়ার কারণে সেসকল মেয়েদের স্বস্থ্য ও গর্ভনিরোধ বিষয়ে অজ্ঞাত অথবা অল্প পরিমানে জ্ঞান থাকে।
  • কিশোরীদের মাতৃ মৃত্যুর হার স্বাভাবিক অনুপাতের চেয়ে অনেক বেশি দেখা দেয়।
  • মানশিক চাপ সহ্যশক্তি কম থাকে।

কিশোরদের বাল্যবিবাহ জনতি সমস্যাঃ

pexels-photo-4858873 (1).jpeg
Image Source pexels

  • কিশোরদের ক্ষেত্রেও বাল্যবিবাহ হওয়ার কারণে প্রথম স্কুল থেকে ঝড়ে পরে।
  • বিয়ের কিছু দিন বাদে নানা ধরণের ঝুঁকিতে পোহাতে হয় কিন্তু সেগুলো সহ্যশক্তি থাকে না।
  • সন্তান ধরণের বিষয়ে জ্ঞাম কম থাকে তাতে কিশোর-কিশোরী উভয়ের ঝুকি পোহাতে হয়।
  • বাল্যবিবহের ফলে অনেক বিবাহ বিচ্ছেদও দেখা যায় এবং পরর্বতীতে কিশোর-কিশোরীদের জীবনের দিক হারিয়ে ফেলে!

বাল্যবিবাহর মতো মরণ ব্যাধি থেকে উত্তরনের উপায়ঃ

  • বাল্যবিবাহের ভয়াবহ ঝুকি সম্পর্কে সমাজ এবং পরিবারের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
  • বিশেষ করে বাল্যবিবাহের মারাক্তক ক্ষতি যেমন সেক্সুয়াল সমস্যার ভয়াবহতা এবং সন্তান ধারনের ভয়াবহতা সম্পর্কে যানাতে হবে।
  • পিতা-মাতাদের সন্তানদের সঙ্গে আন্ত্রিক হতে হবে। এখানে একটা বড় সমস্যা বাঙালি সমাজে দেখা যায় সেটা হলো মেয়েদের পিরিয়ডসের প্যাড কিনার জন্য বাবাকে বা বড় ভাইকে বলতে লজ্জা পায়। সুতরাং এখান থেকে উত্তরনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
  • ছেলে সন্তানদের বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন শুরু হয় এই সময়ে তারা মাদকের সঙ্গে আসক্ত হতে পারে সে দিকে দিশেষ নজর রাখতে হবে।

আশা করা যায় আজকে আমি আমার কিছু কথা দিয়ে আপনাদের মাঝে বাল্যবিবাহ সম্পর্কে আলোড়ন তুলতে সক্ষম হতে পারবো। তবে এই ব্যধি থেকে উত্তরন হতে পারলে সমাজে নতুন ধারার শুরু করা যাবে।

IMG20210728204545.jpg

আমি মোঃ দেলোয়ার রহমান রাজু। আমি একজন বাবা, আমি একজন শিক্ষক, আমি একজন নতুন ব্লগার, আমি একজন নতুন ধারার মানুষ হিসেবে আপনাদের মাঝে নিজেকে প্রকাশ করতে চাই। @amarbanglablog- এর জন্য যদি নিয়মিত কাজ করে যেতে পারি এবং জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত থাকতে পারি তাহলে নিজেকে একজন সার্থক ব্লগার মনে হবে। আপনাদের কাছে দোয়ার দরখাস্ত রইলো।

ধন্যবাদ সকলকে

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বাল্য বিয়ে সমাজের,দেশের ও ভবিষ্যত প্রজন্মের সুস্থতার জন্য হুমকি স্বরুপ
সমাজ সচেতনতা মূলক দারুণ কার্যকরী পোস্ট লিখেছেন।

শুভেচ্ছা অবিরাম আপু।

আমাদের সমাজে এখনো প্রচলন আছে মেয়েদের ১২-১৩ বছরে বিয়ে দেওয়া যায় কিন্তু ১২-১৩ বছরে যখন একটা মেয়েদের বিবাহ দেওয়া হবে তখন তার বাল্যকাল কেটে ওঠে না। বিবাহর পর তা নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিবে এবং এমনকি মাতৃ মৃত্যুর অথবা শিশু মৃত্যু দেখা যেতে পারে।

অনেক সুন্দর ভাবে আপনি বাল্যবিবাহ সম্পর্কে উপস্থাপন করেছেন। প্রতিটি লাইন থেকে আমাদের কিছু শিক্ষা নেওয়া দরকার। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোষ্ট করার জন্য।

পোস্ট এর মাঝে কিছু কিছু জায়গায় বানান আছে, সেগুলো একটু ঠিক করে নিবেন। তাছাড়া সবকিছু ঠিক আছে।

ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

বাল্যবিবাহ সম্পর্কে যথার্থ উপস্থাপন করেছেন। পড়ে অনেক কিছু বুঝলাম এবং অনেক কিছু শিখলাম। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল আপনার জন্য।

বাল্যবিবাহ নিয়ে আপনার বক্তব্য খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।আসলেও আমাদের দেশে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করাটা খুবই কষ্টকর হয়ে গেছে।অনেক বিয়েতে দেখা যায় সরকারি চাকরি জিবি অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ে করতে এসেছে।যখন সরকারি কর্মকর্তা গণ বাল্য বিবাহ কে প্রাধান্য দেয় সেখানে জন সাধারণের কিছুই করার থাকে না।আমার মতে অভিভাবক দের সতর্ক হওয়া উচিত এবং উপযুক্ত সময় সন্তানদের বিবাহ দেওয়াটা উচিত।

বাংলাদেশের ২৮ মিলিয়ন কিশোর-কিশোরী রয়েছেন; তাদের মধ্যে ১৩.৭ মিলিয়ন কিশোরী এবং ১৪.৩ মিলিয়ন কিশোর।

অঙ্কটা মেলাতে পারছি না ভাই🤭 আমি ভাবছিলাম একজন কিশোরের জন্য ৩ জন কিশোরী।এখন তো দেখছি কিশোরীর সংখ্যায় ঘাটতি রয়েছে🤭

শুভ কামনা রইলো ভাই।

পোস্টটি খু্ব সুন্দর হয়েছে। যদিও এই পোষ্টের কিছু ব্যাপারের সঙ্গে আমার অমত রয়েছে। কিন্তু আপনি প্রচুর তথ্য দিয়েছেন এখানে। আসলে আমাদের বাল্যকাল কে ভালোভাবে ডিফাইন করতে হবে। বাল্যবিবাহের বিপক্ষে অবস্থান নিতে গিয়ে এখন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে বাংলাদেশের ছেলে মেয়েদের বিশেষ করে শিক্ষিত যারা তাদের বিয়ের বয়স অনেক পিছিয়ে গিয়েছে। যেটা মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। কারণ একজন নারী ৩০ বছরের পর থেকে তার সন্তান জন্মদান ক্ষমতা কমতে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ ভাই, আপনার মন্তব্যেও সার্মম আছে।

বাল্যবিবাহ আমাদের দেশে দিন দিন বেড়েই চলছে, আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব বাল্যবিবাহ রোধ করি। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর পোষ্টের জন্য।

আপনি বুঝতে পেরেছেন বলে খুবই ভালো লাগছে। আমরাই পারি বাল্যবিবাহ সম্পর্কে পরিবার এবং সমাজের মাঝে সচেতনতা বাড়িয়ে তুলতে।

প্রশাসন থেকে এই ব্যাপারগুলোতে অনেক কড়াকড়ি ভূমিকা পালন করা হয় এবং অনেকাংশেই এই সমস্যাটি এখন কমে এসেছে। ধন্যবাদ এত বিস্তারিতভাবে তথ্যসহ ক্ষতিকর দিক গুলো শেয়ার করার জন্য।

ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। এভাইল বিবাহটা আমাদের সমাজে একটা বেদি হিসেবে আক্রমণ করে আসছে। আপনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে পশ্চিম উপস্থাপন করেছেন। আমাদেরও শিক্ষনীয় অনেক কিছু ছিল অনেক কিছু জানলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।