প্রিয় বন্ধুরা,
"আমার বাংলা ব্লগ" এর সকল সদস্যদের জানাই আমার আন্তরিক সালাম-আসসালামু আলাইকুম। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিলাহ ভালো আছি। আজকে আমি আলোচনা করতে চাই যে বিষয়টি সেটি হলো-সত্য বলার সৎ সাহস, যা অনেকেরই নেই। আমাদের সমাজের উক্ত বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যাও তুলে ধরবো। চলুন শুরু করা যাক...
ঘটে যাওয়া অপ্রত্যাশিত ঘটনা
আমার সাথে ঘটে যাওয়া যে অপ্রতাশিত ঘটনার কথা বললাম সেইটা একটু বলি-আমাদের এলাকার একটা সালিসে গিয়েছিলাম, যদিও আমি বিচারক হিসেবে অনেক বিজ্ঞ না, কিন্ত সত্য মিথ্যা যাচাই করতে পারি, সত্য কে সত্য আর মিথ্যা কে মিথ্যা বলার সৎ সাহস আছে বলেই আমাকে ডাকেন তারা। ঘটনাটি এমন একটা পর্যায়ে ছিলো যেখানে আমি সত্য বললে উভয় পক্ষ নিস্তার পাবে, আর মিথ্যা বললে যেকোনো এক পক্ষ ফেঁসে যাবে, যা ঘোর অন্যায়। সেখানে উপস্থিত এলাকার বিজ্ঞ বিচারকরাও ছিলো। তারা আমাকে ফোনে মেসেজের মাধ্যমে মিথ্যা কথা বলতে বলে অথবা চুপ থাকতে বলে, অন্যথায় আমার ক্ষতি হতে পারে। আমি সেই জায়গায় সত্যি সবার সামনে বলে দিয়ে মিটমাট করে দিয়ে আসছি, আমার এখনো ভয় লাগছে না যে আমার কি ক্ষতি তারা করবে, আমি ভাবিছিও না ওসব। গ্রামের অঞ্চলের বিচারব্যবস্থার এমন করুন দশা দেখে আমি হতভাগ। সত্যের জয়গান কি একেবারেই উঠে গেছে? নাকি আমরা সময়ের পরিবর্তন এর সাথে মনুষত্ব হারিয়ে ফেলছি। আমার মনে আজ প্রশ্ন জাগে আমি ক আমার জায়গায় অটুট আছি?? আমি কি আমার সমাজের কিছু অনিয়মের দ্বাড়া প্রভাবিত হয়েছি? এই যে প্রশ্নগুলো মনে আসে এতেও খারাপ লাগা কাজ করে। আমরা প্রত্যেকের জায়গা থেকে যদি আমরা সত্যের পথে থাকি আমাদেরকে কোনোভাবেই মিথ্যার আশ্রয় নিতে হবে না তাহলে।
সৎ চিন্তাধারা
লক্ষনী বিষয় এই যে-যারা সত্যবাদী,যারা নির্ভীক,যাদের কাছে মিথ্যার কোনো আশ্রয় নেই দেখবেন তারা কোনো না কোনো ভাবে একটা পক্ষের কাছে জিম্মি, কোনো না কোনো ভাবে তারা হেনস্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ জন্যই বলি আমাদের সমাজ মিথ্যার কড়াল গ্রাসে আহত। আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব-সাদা কে সাদা বলা আর কালো কে কালো বলা। নিজের অধিকারের জায়গা নিজেকে গুছিয়ে নিতে হবে। মিথ্যার মধ্যে কোনো সুখ নেই, মিথ্যার মধ্যে কোনো প্রাপ্তি নেই।সত্যেই আছে প্রকৃত সুখ,প্রাপ্তি এবং আত্মসম্মান।
আপনি যদি সৎ চিন্তা ধারার মানুষ না হতে পারেন আপনি কখনো সত্যের পথে ফিরতে পারবেন না, সর্ব প্রথম অর্জন করতে হবে আমাদের ধৈর্য ,কারন আমাদের সমাজে অনেক লোক আছে যারা পিছন থেকে কথা বলবে, আপনাকে ধৈর্য ধরা শিখতে হবে এবং তাদের সুন্দর করে বুঝিয়ে বলতে হবে যে তাদের এমন ব্যবহারের কারনে তাদেরকে সৎ চিন্তাধারার মানুষ কিভাবে দেখে, কোন চোখে দেখে। আপনি যখন ধৈর্যশীল হয়ে যাবেন তখন আপনা আপনি আপনার ভেতরে একটা সৎ চিন্তাধারা সৃষ্টি হবে যা আপনার জন্য মঙ্গলকর। নিজেকে বুঝতে হবে ,নিজেকে জানতে হবে, নিজে ঠিক তো দুনিয়া ঠিক। আমারা যদি সকলে জনসচেতনতার মাধ্যমে সত্যকে তুলে ধরতে পার, মানুষের মাঝে থাকা কুপ্রথা ও ভ্রান্ত ধারনা ভেঙে দিতে পারি তাহলেই সমাজের উন্নতি সাধন সম্ভব। সৎ চিন্তাধারার অধিকারী হওয়ার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষার প্রয়োজন পড়ে না। সব শেষে একটি কথা সবার উদ্দেশ্যে বলতে চাই-সত্য বলার সৎ সাহস রাখুন দেখবেন আপনি নির্ভীক হয়ে গেছেন, আপনি স্বাধীনতা পেয়ে গেছেন, পেয়ে যাবেন নিজের সঠিক জায়গা। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে কখনো বুক ফুলিয়া কথা বলা যায় না, সত্য কথায় যে জোর দিতে পারবেন সেটি মিথ্যায় সম্ভব না।
ভাই আপনার পোস্টটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো, সম্পুর্ন পোস্ট ছিল বাস্তব ভিত্তিক, যা আমাদের পৃথিবীতে এবং বেঁচে থাকার পেছনে এর গুরুত্ব অপরিসীম, সত্য বলার সৎ সাহস না থাকার কারণে আমাদের সমাজ জীবন ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit