হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। যদিও এই তীব্র গরমে জোশ মুড খুজে পাওয়া মুশকিল। রোদের তাপই তো সব কিছু ভুলিয়ে দেয়। তো আজ আপনাদের সাথে আমার পাবজি মোবাইল গেম এর স্কুয়াডের সাথে মিটআপ এর গল্প। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
ভার্চুয়াল লাইফে আমরা কত কিছুই না করি। এর মধ্যে অন্যতম হলো গেম খেলা। সময়টা ২০১৮ সাল। তখন সবাইরে দেখতাম পাবজি খেলা নিয়ে হইচই করতো। একদিন একটা শপ এর ফেসবুক পেজ থেকে একটা ঘোষণা দেখতে পেলাম। যেখানে লেখা পাবজি মোবাইলে ৩০ কিল করে স্ক্রিনশট দেখাতে পারলে একটা দামী ইয়ারফোন গিফট করবে। সেই তখন প্লে স্টোরে সার্চ করে গেম খানা নামাই। এরপর থেকেই যেনো এর নেশায় পরে যাই। আমি এখনো পাবজি খেলি মাঝে মাঝে। পাবজিতে মিশে আছে অনেক আবেগ অনেক ভালোবাসা। এখানে গেম খেলতে খেলতেই পরিচয় অনেক মানুষ এর সাথে। কেউ হয়েছে ভাই কেউ হয়েছে বোন। কেউ আবার মামার যায়গা টুকুও নিয়েছে। সবার জন্যই ভালোবাসা অবিরাম। ২০১৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আমি ফোনে যতটুকু সময় ব্যয় করেছি তার বেশির ভাগই ছিলো পাবজিতেই। অনেক গুলো মানুষ এর সাথেই পরিচয় হয়েছে। তাদের কিছু মানুষ এর নাম নিতে চাই আমি যাদের মধ্যে রয়েছে লাবিবা, আরাফ, জেমি, সাইদুল মামু, শাওন ভাই, এনামুল ভাই, সানজানা, নুসরাত আমিন সহ আরো অনেকেই।
এদের মধ্যেই কিছু মানুষ এর সাথে আজ দেখা করবো। আসলে আমাদের গেম এর একজন টিমমেট হচ্ছে সাইদুল মামু। তারে মামু ডাকি কেন এর পেছনেও রয়েছে এক কাহিনী। সাইদুল মামুর গেম এ নাম ছিলো তোমার মামু। সেই থেকেই তিনি আমাদের মামু হয়ে গেছেন। মামু কুয়েত প্রবাসি। তো এবার বাংলাদেশে এসেছেন ছুটিতে। তাই আমরা প্ল্যান করলাম এক সাথে একটা মিটআপ হয়ে যাক। তো আমরা ৩০০ ফিট রাস্তার পুর্বাচলে বসবো ঠিক করি। তো লাবিবা থাকে উত্তরাতে। ঠিক করলাম আমি বাইক দিয়ে গিয়ে লাবিবা কে নিয়ে আসবো। তাই আমি বিকেলে বের হয়ে গেলাম। সাইদুল মামু ইতিমধ্যে এসে পরেছে। আমার বন্ধু শুভো আর সচিন কে বললাম মামুর কাছে যাইতে। আমি উত্তরা চলে গেলাম। সেখান থেকে লাবিবাকে পিক করে রওনা হলাম ৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়ের দিকে। শুক্রবার দেখে রাস্তা ফাঁকাই ছিলো। তাই আমি টেনে চলে আসি। এরপর নীলা মার্কেটের ঐদিক যেয়ে বাকিদের ফোন দেই। ওরা তখনো আসেনি। তখন আমি আর লাবিবা সামনের আকাশের ছবি তুলতে থাকি।
তো একটু পর সাইদুল মামু ও আমার বন্ধু দুইটা চলে আসে। মামুর সাথে ছিলো আরো দুজন। আমাদের বাইক হয়েছে মোট ৪ টা। সেখানে আমরা কিছুক্ষন কথা বলে চলে যাই ভাইরাল চত্তরে। যেখানে সবাই ছবি তোলে। সেখানে আমরা হাজার হাজার ছবি তুলি। এরপর আমরা রওনা দেই হর্দি বাজার এর উদ্দেশ্যে। সেখানে যেয়ে আমরা সেখানের বিখ্যাত মাখা খাই। ছোলা পেয়াজু মিশিয়ে এটা বানায়। এরপর সন্ধ্যা হয়ে গেলে সেখান থেকে ব্যাক করি। এবার আমরা চলে আসি নীলা মার্কেট। এখানে এসে আমরা একটা চাপটির দোকানে বসলাম। এরপর হাঁসের মাংস ও চাপটি অর্ডার করলাম। যদিও খাবার গুলো তেমন মজাদার ছিলোনা । এরপর খেয়ে দেয়ে সেখান থেকে বিদায় নেই। এরপর আমি আবার লাবিবাকে নামিয়ে দিয়ে আসি উত্তরাতে। এরপর বাসায় এসে পরি।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
![Banner.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV44ipDFZ9PNUMtyufYoaoMvPW4QZqAZUvWi9TkCh9NWx/Banner.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit